পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रांद्रवर्णे बांग्रजांश्ॉ* b”¢ ዓ এককোটী টাকাব প্ৰস্তাবের উত্তরে হ, না, কিছু না বলিয়া-কথার ছলে ভাড়াইয়া রাখিতে লাগিলেন। ভাস্কর ইহার মধ্যে প্ৰায় মুরাসিন্দাবাদের কাণের কাছে পলাশী ও দাউদপুর প্রভৃতি গ্ৰাম লুণ্ঠন কবিতে লাগিলেন। তিনি নবাবের বিদ্রোহী কৰ্ম্মচারী মীরহবিবের সহায়তায় হুগলী ও হিজিলি হইতে আরম্ভ করিয়া বৰ্দ্ধমান জেলার সমস্ত অংশ এবং উড়িষ্যা বালেশ্বর পৰ্য্যন্ত, এতদ্ব্যতীত পূর্ণিয়া, বীরভূম ও রাজমহল প্ৰায় দখল কবিয়া না হলেন, সুতরাং মুরাসিন্দাবাদ ও তাহার সমীপবৰ্ত্তী কয়েকটি পল্লীছাড়া গঙ্গার পশ্চিম পারে নবাব আলিবর্দীর আর কিছুই রহিল না। এই সময়ের রচিত বাঙ্গলার ছড়া “খোকা ঘুমাল, পাড়া জুড়াল, বৰ্গী এল দেশে। বুলবুলিতে ধান খেয়েছে, খাজনা দিব কিসে ?”—সকল বাঙ্গালীই জানেন। স্নেহের দুলালকে ঘুম পাড়াইবার সময়ও মাতা বগীর বিভীষিকা ভুলিতে পারেন নাই। এই সময়ে নবাব আলিবর্দীর অনুমতিক্ৰমে ইংবেজের কলিকাতা অঞ্চলের চারিদিকে একটা পরিখা খনন করিতে লাগিয়া গেলেন । এই পরিখা সাত মাইল ব্যাপক হইবার কথা ছিল, ছয় মাসে তিন মাইল পৰ্য্যন্ত খনন করা হইয়াছিল, কিন্তু কলিকাতার দিকে বগীরা না আসাতে তাব।পর আর খননকাৰ্য্য চলে নাই । নবাব এবার যুদ্ধের জন্য প্ৰস্তুত হইযাছিলেন। নৌসেতু দ্বাবা ভাগীৰথী উত্তীর্ণ হইয়া তিনি সহসা ম্যাবহাটা শিবিবের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন । এই আক্রমণের জন্য ভাস্কর পণ্ডিত প্ৰস্তুত ছিলেন না। তিনি পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়া অতি দ্রুত পালাইয়া বিষ্ণুপুধেব বনবহুল দুৰ্গমস্থানে আশ্রয় লইলেন। এদিকে নাছোড়বান্দা আলিবর্দী যত জোরে শত্রুসৈন্য পালাইতেছিল, তত জোরে তাহাদিগকে অনুসরণ করিতেছিলেন। ভাস্কর পণ্ডিত স্থির হইযা কোনস্তানে থাকিতে পাবেন নাই। বিষ্ণুপুরের লোকে বা মনে ভাবিল, বৰ্গীরা তঁহাদের রাজধানী লুট করিবে। রাজাকে তাহারা সমস্ত অবস্থা জানাইল, বাজ’ পলিলেন, “আমি জানি কি ? তোমাদের কথা মদনমোহনকে জানাও ;” এই বলিয়া তিনি ধন্না দিয স্বয়ং মন্দিপের প দ্বাবে অনেক রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত পড়িয়া রহিলেন । পাণ্ডা শেষ রাত্ৰে দেখিল এক দীর্ঘ}র তি রুমঃঙ্গ ধাৰূঢ় শ্যামমষ্টি পুরুষবর বর্গীদিগেব বিরুদ্ধে অভিযান করিতেছেন। প্ৰাতে সকলে দেখিল বৰ্গীরা অনেক গোলাগুলি নিকটবৰ্ত্তী স্থানে ফেলিয়া চলিখা গিয়াছে। পাণ্ডা মন্দিরদ্ধাব খুলিয়া দেখিল, মদনমোহন-বিগ্রহের সর্বাঙ্গে বারুদ, হস্তপদ বারুদের কালী মাখা । বাঙ্গলার ছড়াটিব মৰ্ম্ম এই যে, বগীরা পলায়নের পথে বিষ্ণুপুরে উকি মবিয়া গিয়াছিল। প্ৰজারা ভাবিল স্বয়ং ভগবান তাহাদিগের পক্ষে যুদ্ধ করিয়া বৰ্গীদিগকে তাড়াইয়া দিয়াছেন। অকস্মাৎ অজ্ঞাতভাবে বিপদ হইতে মুক্তি পাইয়া তাহারা ইহা ভগবানের কৃপা এবং তঁহারই বাহুবলেব আশ্রয়েব ফল মনে করিয়া সেই সুন্দর ভক্তি ও কাকাণ্যমিশ্রিত ছড়াটি রচনা কবিযাছিল ( বঙ্গসাহিত্য-পরিচয়, দ্বিতীয় ভাগ ) । মেদিনীপুরে ভাস্কর পণ্ডিতের সঙ্গে নবাবের যে যুদ্ধ হয়, তাহাতে বৰ্গীবা হারিয়া যায। কিন্তু বৰ্গীর হাঙ্গামা এখানেই শেষ হইল না। রঘুজী ভেঁাসল। র্তাহার সেনাপতির পরাজয়-সংবাদে চটিয়া গিয়া বহু সৈন্য স্বয়ং লইয়া বঙ্গদেশে অভিযান করিলেন। সকলেই