পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V98 বৃহৎ বঙ্গ গৌড়ে থাকিতে সুবিধা করিয়া দেন। বাবর দেখিলেন, বঙ্গদেশকে নসরত সাহ পলায়িত আফগান আমির ও সেনাপতিদের একটা আড়ায় পরিণত করিয়াছেন, সুতরাং কালবিলম্ব না। করিয়া তিনি বঙ্গেশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযান করিয়া আসেন । নাসরত সাহি তাহাকে অনেক উপঢৌকনাদি দিয়া নিরস্ত ও বশীভূত কবেন । ১৫৩১ খৃষ্টাব্দে বাবরের মৃত্যু হয়, তখন মহম্মদ সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া মোগলদের হস্ত হইতে জোয়ানপুর রাজ্য বলপূর্বক গ্ৰহণ করেন। সৈয়দ-বংশোদ্ভূত হুইলেও নুসরত সাহেব প্রকৃতি, অতি নিষ্ঠুন্য ছিল। কোন খোজাকে তিনি গুরুতর শাস্তি প্ৰদৰ্শনেব ভয় দেখাইয়াছিলেন । একদিন যখন তিনি পিতার সমাধি-মন্দিরে উপাসনা করিতে গিয়াছিলেন, সেই খোজা তাহাকে সুবিধা পাইয়া হত্যা করে ( ১৫৩২১৫৩৩ খৃঃ) । এই ১৫৩৩ খৃষ্টাব্দে বঙ্গদেশে চিরস্মরণীয, কারণ ঐ বৎসর চৈতন্যদেবের লীলাবসান হইয়াছিল। নাসরত সাহের হত্যার পর তাহার পুত্র ফিরোজ সাহ সিংহাসনে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন, কিন্তু তিন মাসের মধ্যে তাহার খুল্লতাত ( নসরত সাহের ভ্রাতা ) মহম্মদ সাহি তাহাকে হত্যা করিয়া সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই নিষ্ঠুব কাৰ্য্যের জন্য হাজিপুরের শাসনকৰ্ত্ত মকদুম আদম বিদ্রোহী হইয়া শের সাহেব সঙ্গে মিলিত হন। শের সাহ উত্তরকালে হিন্দুস্থানের অধিপতি হইয়াছিলেন, এখন হইতেই সৌভাগ্যলক্ষ্মী তাহার প্রতি প্ৰসন্ন হইলেন । এদিকে বেহাবাধিপতি তৰুণবয়স্ক জেলাপ শের সাহের উপর বিরক্ত হইয়া মহম্মদের সহিত মিলিত হয । শের সাহ বিহারের দুর্গে আশ্রয় গ্ৰহণ কবেন । জেলাপি এই দুর্গ অববোধ করেন। এখানে পাঠান ও বাঙ্গালীদের মধ্যে ভীষণ যুদ্ধ হইয়াছিল। জেলাপের অধীনে গৌডসৈন্য শের সাহেব কৌশল বুঝিতে না পারিয়া পরাস্ত হইল ( ১৫৩৫ খৃঃ) । শেব সাহ চুনার অধিকার করিয়া সমস্ত বিহার দেশ দখল করিয়া লাইলেন এবং গৌড়ের দিকে অভিযান করি৩ে প্ৰবৃও হইvলন । গৌড়েশ্বর মহম্মদ বিপদে পড়িয়া হুমায়ুনের নিকট উপস্থিত হইয়া সাহায্যপ্রার্থ হইলেন। তখন বঙ্গদেশ শের সাহেয় হস্তগত । চুনার দুর্গ দখল করিয়া হুমায়ুন বঙ্গদেশটা শের সাহের হাত হইতে উদ্ধার করিতে মনঃস্থ কৱিলেন। কিন্তু তাহার গতি ও কাৰ্য্যনীতি অতি মন্থর ছিল, সুবিধাগুলি হারাইয়া তিনি বঙ্গে উপস্থিত হইলেন । শের সাহ প্ৰাচীর তুলিয়া নিজের বাসস্থান শত্রুর অনধিগম্য করিয়া রাখিয়াছিলেন । মোগল-সৈন্য বাঙ্গলার আবহাওয়া সহ্য করিতে না পারিয়া এখান হইতে চলিয়া যাইতে ব্যস্ত হইল। তিনমাস কালের মধ্যে কোন যুদ্ধবিগ্ৰহাদি হইল না। হুমায়ুনের মোগল-সৈন্য অত্যন্ত অসন্তুষ্ট ও অসহিষ্ণু হইয়া উঠিল। শের সাহ একটা সন্ধির উদ্যোগ করিলেন, হুমায়ুন। এই সুযোগ ভগবানের দান মনে করিয়া খুন্সী হইলেন। মোগলসৈন্যদের আনন্দের পরিসীমা রহিল না । শের সাহের গুরু দরবেশ খিলিলের যত্নে ও চেষ্টায় সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হইল। হুমায়ুন শের সাহকে বঙ্গ ও বিহারের স্বাধীন নৃপতি বলিয়া স্বীকার डांवांgलिन शिtझांसी मांश-fडन भन्न भांडणी, ोिं द्वॉलिन भश्4 नाश् a OR-2 GV9b7 R 8 ||