পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাসিরুদ্দিন ও পরবর্তী পাঠান-রাজগণ V94 করিয়া লইলেন। হুমায়ুনের রাজ্যে শের সাহ উৎপাত করিবেন না এবং সম্রাটের গতিবিধির বিঘ্ন ঘটাইবেন না, এই সৰ্ত্তে কোরান স্পর্শ করিয়া শের সাহ অঙ্গীকার করিলেন। রাত্ৰি-ভোর মোগন্স-সৈন্যের আনন্দোৎসব চলিল । কিন্তু শেষ রাত্রে শের সাহ কোরানের অবমাননা করিয়া ও সন্ধিলঙ্ঘনপূর্বক অতর্কিতভাবে হুমায়ুনের শিবির আক্রমণ করিয়া আট হাজার মোগল সৈন্ত হত্যা করিলেন। হুমায়ুন স্বয়ং অশ্ব হইতে অবতরণপূর্বক সন্তরণ করিয়া গঙ্গা পার হইলেন। এই ঘটনা ১৫৩৯ খৃঃ অব্দে ঘটিয়াছিল। শের সাহের পিতার নাম হুসেন সুর। জোয়ানপুরের শাসনকৰ্ত্তা যুবক হুসেনকে সুদক্ষ ও পরিশ্রমী দেখিয়া সাসারাম ও তাণ্ডাতে কতকটা জমিদারী প্ৰদান করেন । হুসেনের প্রথম স্ত্রীর গর্ভে দুই পুত্র জন্মে, ফরিদ এবং নিজাম। কিন্তু তাহার দ্বিতীয় স্ত্রী হিন্দু ঘরের মেয়ে ছিলেন, তঁহার অনেকগুলি পুত্রকন্যা হইয়াছিল। ফরিদ জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। হুসেন তাহার দ্বিতীয় স্ত্রীর বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন, তজ্জন্য প্ৰথম স্ত্রীর গর্ভজাত ফরিদ জ্যেষ্ঠ হইলেও তাহাব প্ৰতি স্বাভাবিক মেহের কতকটা বাধা উপস্থিত হইয়াছিল। জোয়ানপুরের শাসনকৰ্ত্তা জেন্মালের অনুগ্ৰহে ফরিদ ভাল লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন। তরুণ বয়সেই তিনি সাদির সমস্ত কবিতা মুখে মুখে আবৃত্তি করিতে পারিতেন এবং তৎকালপ্ৰচলিত সমস্ত শাস্ত্ৰে সুপণ্ডিত হইয়াছিলেন ; ইতিহাস ও কবিতার দিকেই তাহার বিশেষ বেঁক ছিল । এই ফরিদ একদা একক এক ব্যাস্ত্ৰ স্বহস্তে বিনাশ করিয়া “শের সাহ’’’ উপাধি প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন । শের সাহ কতক কাল জোয়ানপুরে অ্যাসিয়া তাহার পিতার জায়গীর শাসন-সংরক্ষণ করেন। হুসেন দেখিলেন, পুত্ৰেব অসাধারণ প্ৰতিভায় কাজ অতি সুচারুরূপে সম্পন্ন হইতেছে। তিনি উহাকে ঐ কাৰ্য্যেই বাহাল করিতে সঙ্কল্প করিলেন, কিন্তু তঁহার দ্বিতীয় স্ত্রী, তাহার দুই পুত্ৰ সোলেমান ও আহাম্মদের জন্য স্বামী কিছুই করিলেন না, এই আক্ষেপবাণী তাহার কৰ্ণে অবিরত গুঞ্জরণ করিতে লাগিলেন। সোলেমান এখন বড় হইয়াছে, তাহাকেই পৰগনার শাসন কর্তৃত্ব দেওয়া হউক, তিনি এই আবদার করিয়া হুসেনের জীবন অতিষ্ঠ করিয়া তুলিলেন। শের অতি দক্ষতার সহিত কাজ করিতেছিলেন, সুতরাং তঁহার পিতা প্ৰিয়তমার অনুরোধ লইয়া সত্যই ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িলেন । শের সাহ দেখিলেন, অবস্থা বড় জটিল হইয়া তাহদের গাৰ্হস্থ্য স্বচ্ছন্দতা ও শান্তি নষ্ট হইবার মধ্যে দাড়াইয়াছে। তখন তিনি স্বয়ং স্বেচ্ছায় ঐ পদ ছাড়িয়া দিয়া দিল্লী চলিয়া গেলেন। রাজধানীতে উপনীত হইয়া দৌলত নামক ইব্রাহিম লোডির এক প্রধান ওমরাহের আশ্রয় গ্ৰহণ করিলেন। এই ব্যক্তি শের সাহের কাৰ্য্যদক্ষতা ও নানা গুণে মুগ্ধ হইয়া সম্রাটের সঙ্গে শেরের আলাপ-পরিচয় করাইয়া দিলেন। দৌলতের মারফত শের তঁহার পৈতৃক সম্পত্তি দাবী করিয়া এক আবেদন র্শের সাহ কর্তৃক হুমায়ুনের 19eg- 8 vela : Caso * 73-——> devo R-Y Q Govo ३: । दाक्षा ७ &क ८*fद्र ।