পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bዖዓbሠ বৃহৎ বঙ্গ সেনাপতি দিগকে আদেশ করিলেন, যে পৰ্য্যন্ত তিনি কোন নিরাপদ স্থানে না পৌছিবেন, সে পৰ্য্যন্ত যেন তাহারা তাহার অনুগমন করেন। তঁাহারা মীরজাফরের করতলগত, কেহ তাহার আদেশে কর্ণপাত করিলেন না। এমন কি তাহার শ্বশুর মির্জা রেজাখাও তঁাহাকে কোন সহায়তা না করিয়া তাহাকে ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন । একটা দিন তিনি রাজপ্রাসাদে ছিলেন, তখন জনপ্ৰাণী তাহার খোজ নিতে আসে নাই। মহাবিপদ আশঙ্কা করিয়া তিনি রাজমহলের দিকে চলিলেন, পথে ফরাসী সেনাপতি মুসিয়ার লাসকে আসিতে চিঠি পাঠাইলেন। গোলাম হুসেন লিখিয়াছেন, “রাজমহলে যদি স্থলপথে যাইতেন। তঁহার অনেক সুবিধা হইত ; কিন্তু পূৰ্ব্ব সিদ্ধান্ত ত্যাগ করিয়া তিনি জলপথে চলিলেন । কিছু খিচুড়ীর ব্যবস্থার জন্য তিনি নৌকা ভিড়াইলেন। এমন সময়ে একটি ফকির আসিয়া আতিথ্য করিতে আগ্ৰহ দেখাইতে লাগিল। তিন দিন তিনি, বেগম সাহেবা, সন্ততিবর্গ ও অপরাপর স্ত্রীলোকেরা এক ফোটা জল পৰ্য্যন্ত খাইতে পান নাই ; এই সম্পূর্ণ অভুক্ত রাজ-পরিবারকে দানা সা ফকির খাইবার নিমন্ত্রণ কবিয়া ডাকিতে লাগিল। এদিকে সে মীরজাফরের চরদিগকে পূর্বেই খবর দিয়া রাখিয়াছিল, তাহার নাকি সিরাজউদ্দৌলার প্রতি আগেকার কি এক আক্রোশ ছিল ! যখন অভুক্ত ব্যক্তিগণ খাইতে বসিবেন, এমন সময়ে মীরজাফরের লোকজন আসিয়া নবাবকে ধরিয়া লইয়া গেল। নবাব অভুক্তই রহিয়া গেলেন, এ জীবনে তাহার আর খাওয়া হইল না। মীরন যখন সিরাজউদ্দৌলাকে মুসিঁদাবাদে লইয়া আসে, তখন র্তাহার অভুক্ত ও বিড়ম্বিত অবস্থা দেখিয়া সৈন্যগণ চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিল। আটদিন পূর্বে যিনি তরুণ সুৰ্য্যের ন্যায় দীপ্তি পাইতেন, আজ র্তাহার একি দুৰ্দশা! সেই বিচলিত সৈন্যগণ কোন উৎসাহই পাইল না, কারণ সেনাপতিগণ সকলেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মীরজাফরের পুত্র মীরন একটা হিংস্র পশু, মুর্থতা ও নিষ্ঠুরতার অবতার। সিরাজকে আবদ্ধ করিয়া সে বহু অর্থের লোভ দেখাইয়া একজন হত্যাকারীর খোজ করিল। কিন্তু এই দুষ্কৰ্ম্মে কেহই স্বীকার পাইল না। অবশেষে মহম্মদী বেগ নামক অপর এক পশু-প্ৰকৃতি লোক জুটল। সে আলিবর্দী ও সিরাজের অন্নে চির-প্ৰতিপালিত। এক আঘাতে সে হত্যা করিতে পারিত কিন্তু তাহা না করিয়া বারংবার আঘাত করিয়া হতভাগ্য নবাবকে নিহত করিল। মরিবার পূৰ্ব্বে সিরাজ বলিলেন, “আমি সত্যই আমার যোগ্য শাস্তি পাইলাম, হুসেন কুলি, তোমার আত্মার এখন তৃপ্তি হইবে।” * যখন সিরাজ এইরূপ নিষ্ঠুরভাবে নিহত হন, তখন • গোলাম হুসেন লিবিয়াছেন “তিনি বেশী কিছু বলিতে পরিলেন না, কারণ কসাইট তাহার উপর ক্ৰমাগত খড়গাঘাত করিতেছিল। এই আঘাতগুলির কয়েকটি তাহার মুখের উপর পড়িল ; যে মুখেয়া লাবণ্য ও BiDBB BB DBB DBDBBD KDBDDDDB D DBDuTBSB gg uBBDBB DBBDLDD DDD DDBDBSS DrDD হেলিয়া পড়িল ।” গোলাম হুসেন এই মারনের নিষ্ঠুরতার অনেক কথা লিখিয়াছেন, এই নরপিশাচের একটা DD DDD DD DBDB DDBS rDDBBDD Bg DDDBD DDBD S SDBBDBBBB B D DB KDBDLL YY