পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जिन्क-ौक्षांद्ध कथ। APG শিল্প-নিদর্শন পাওয়া গিয়াছে।--তাহা আৰ্যসভ্যতার পূর্ববৰ্ত্ত, তাহারই ক্ৰমবিকাশ আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও ইসলাম-যুগে দেখিতে পাই এবং তাহার কেন্দ্ৰভূমি ছিল ভারতবর্ষ। মোগল-সম্রাট আকবর ইসলাম ও হিন্দুধৰ্ম্মের মিলন ঘটাইতে চেষ্টত ছিলেন। তঁহারই উদারতার ফলে মোগল-দরবারে স্থাপত্য ও সূক্ষ্মশিল্পের এরূপ আশ্চৰ্য্য বিকাশ হইয়াছিল। তাহারই উদারতার ফলে তাহার সময়ে ও তঁহার পরবত্তী দুই বিশ্ববিশ্রুতকীৰ্ত্তি বংশধরের রাজত্বকালে হিন্দু ও মুশ্লিম এই উভয় জাতির আদর্শে তাজমহল, সাজাহানের মসজিদ, সম্মনবুরুজ ( আগ্ৰা ), ইতি মাদউল্লার সমাধিমন্দির (আগ্রা), দেওয়ানি খাস প্রভৃতি বিখ্যাত সৌধমালা গঠিত হইয়াছিল। কিন্তু আরঙ্গজেব শিল্প ও স্থাপত্যের শেষশিখা নিবাইয়া ফেলিলেন । তিনি সাদা জামা ও সাদা কাপড় পরিতেন, সভাসদ সমস্ত নৃপতি প্ৰভৃতিকেও তাহাই পরিয়া দরবারে আসিতে হইত। তিনি চিত্রকর ও সূক্ষ্মশিল্পের কারিগরদিগকে নিরস্ত করিলেন। বেশভূষায় নিযুক্ত গল্প বলিবার লোক থাকিত, তাহারা নাচিয়া গাহিয়া এবং নানারূপ মুদ্রাসহযোগে অভিনয় করিয়া গল্পে প্রচুর রস সঞ্চার করিত, তাহাদিগকে তিনি কৰ্ম্মচ্যুত করিলেন না বটে, তবে নৃত্য, গীত, বাদ্য ও অঙ্গভঙ্গী একেবারে নিষেধ করিয়া দিলেন (মুতক্ষরিন )। এ যেন জটায়ুব পক্ষচ্ছেদ করা হইল। সঙ্গীত বিদ্যাটাকে তিনি অতি হেয় মনে করিয়া তাহ নিগৃহীত করিলেন। যমুনার পারে বীণা ও বেণুরব থামিয়া গেল, কোরানের আবৃত্তি চলিল। এই কাৰ্য্যের দ্বারা দুইটি বিষয় প্ৰতিপন্ন হয়-প্ৰথমতঃ ইসলাম ধৰ্ম্মের সুন্নিমতের গোঁড়ামি, কিন্তু মূলতঃ বোধ হয় পিতৃদ্বেষী পুত্র তাহার বাপের কীৰ্ত্তিগুলি কিছুই নহে বলিয়া উহার অসারতা প্ৰমাণ করিতে চেষ্টত ছিলেন, তাই নিজে একটা নূতন সহজ সরল জীবনের মৌলিক আদর্শ খাডা করিবার প্রচেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহার শিষ্ট ও কলা-চৰ্চার বিদ্বেষ ধৰ্ম্মের গোড়ামি না পিতৃবিদ্বেষের ফল তাহ বলা কঠিন। সমস্ত ভারতবর্ষ হইতে যে টাকা আসিত, তাহা আগ্ৰায় ব্যয় হইত। আরঙ্গজেব সে অর্থ ব্যয় করিতেন যুদ্ধবিগ্ৰহে, কিন্তু তঁাহার পূর্ববত্তী সম্রাটুদ্বয় তাহা শিল্পচর্চায় ব্যয় করিতেন । এই মোগল যুগের শিল্প বঙ্গদেশে প্ৰবেশ করিতে পারে নাই। শিল্পের কায়দা-কানুন ও পরিচ্ছন্নতার এই ইঙ্গিত যদিও অজান্তাযুগেও অনেক পরিমাণে দৃষ্ট হয়, ( সুতরাং তাহাকে ভারতীয় শিল্প নাম দিতে বাধে না )-তথাপি মোগল-শিল্প এদেশের জনসাধারণের অনায়ত্ত । বাঙ্গলাদেশ সর্বদা গণতান্ত্রিক, মোগলের সাম্রাজ্যবাদ ও কেন্দ্ৰীয় শাসন তাহাদের প্রকৃতির অনুকুল নহে, এইজন্য তাহারা মোগলাধিকারের পথে এত বাধার সৃষ্টি করিয়াছিল। যে প্রভূত অর্থে মোগল স্থাপত্য-শিল্পের আদর্শ রচিত হইয়াছিল, তাহ সাৰ্ব্বভৌম শক্তি ভিন্ন অন্যের আয়ত্ত নহে। বিশেষ তটভঙ্গে নিত্য-লীলা চঞ্চল নদনদীপূৰ্ণ বাঙ্গলা দেশে স্থাপত্যের সেরূপ অবকাশ নাই। কিন্তু মোগলচিত্ৰও বাঙ্গালীদিগকে ততটা আকর্ষণ করিতে পারে নাই। এদেশ আধ্যাত্মিক সৌন্দর্ঘ্যের প্রতি বদ্ধলক্ষ্য। হাভেল সাহেব বলেন, ग्रांब्रत्रगाव-कृऊ लिंब्र ও সঙ্গীতের নিরুৎসাহ । বাঙ্গালী মোগল কলমের °क्°ांडी cकन ड्रुझ नांक्षे ।