পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা Sy মোহন ভট্টাচাৰ্য্য, এম. এ. সম্বাদ-ভাস্করের প্রাচীন স্তৃপ হইভে আবিষ্কার করেন এবং তাহার সহায়তায় শ্ৰীযুক্ত ব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এ সম্বন্ধে একটি প্ৰবন্ধ প্ৰবাসীতে ( ১৩৩৮ সন, ফান্ধন) প্রকাশিত করিয়াছেন। দ্রবময়ী দেবী। ১৮৫১ খৃষ্টাব্দে মাত্র চতুর্দশ বৎসরবয়স্ক ছিলেন। সম্বাদ-ভাস্কবে তঁাহাব- সেই সময়ের কথাই লিখিত হইয়াছিল। এই অস্তুত প্ৰতিভাশালিনী বালিকা কৈবত্তের ব্রাহ্মণ চণ্ডীচৰণ তর্কালঙ্কারের কন্যা। ইনি ১৮৩৭ খৃষ্টাব্দে খানাকুল কৃষ্ণনগরের সন্নিহিত বেড়াবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ কবেন । অতঃপর আমরা সম্বাদভাস্কর হইতে উদ্ধৃত কবিতেছি। :-“দ্রবময়ী বালিকাকালে বিধবা হইয়া পিতা চণ্ডীচরণ তর্কালঙ্কারের টোলে পডিতে আরম্ভ কবিলেন, তাহাতে সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণ ও মূল সাতখানি টীকা এবং অভিধান-পাঠ সমাপ্ত হইলে চণ্ডীচৰণ তর্কালঙ্কার স্বীকন্যাৰ বুৎপত্তি দেখিয়া কাব্যালঙ্কার পড়াইলেন এবং ন্যায়শাস্ত্ৰেবও কিধ দংশ শিক্ষা দিলেন ; পাবে দ্রবময়ী গৃহে আসিয়া পুরাণ মহাভারতাদি দেখিযা হিন্দুজাতিব প্রায় সৰ্ব্বশাস্ত্ৰে সুশিক্ষিত হইলেন, এইক্ষণ দ্রবময়ীর বয়ঃক্রম চৌদ্দ বৎসর। পুৰুষেবা বিংশতি বৎসর শিক্ষা করিধাও যাহা শিক্ষা করিতে পারেন না, দ্রবময়া চতুৰ্দশ বৎসবের মধ্যে ততোধিক শিক্ষা করিয়াছেন । এইক্ষণে র্তাহাব পিতা চণ্ডীচরণ তর্কালঙ্কার বৃদ্ধ হইয়াছেন, সকল দিন ছাত্রগণকে পড়াইতে পাবেন না, তাহার টোলে ১৫,১৬ জন ছাত্ৰ আছেন, দ্রবময়ী কিঞ্চিৎ ব্যবধানে এক আসনে বসিয়া পিতাব ছাত্ৰগণকে ব্যাকরণ, কাব্যালঙ্কার প্রভৃতি শাস্ত্র পডাইতেছেন, তঁাহাব বিদ্যার বিবরণ শ্ৰবণ করিয়া নিকটস্থ অধ্যাপকেরা অনেকে বিচাবি করিতে আসিয়াছিলেন, সকলে পরাজয় মানিয়া গিয়াছেন। দ্রবময়ী কর্ণাটবাজের মহিষীর ন্যায় যবনিকান্তরিত হইয়া বিচার করেন না । আপনি এক আসনে বৈসেন, সম্মুখে ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতগণকে বসিতে আসন দেন, র্তাহার মস্তক ও মুখ নিরাবরণ থাকে , তিনি চাৰ্ব্বঙ্গী, ৰূপ তী, ইহাতেও পুরুষদিগের সাক্ষাতে বসিয়া বিচাবি করিতে শঙ্কা কযেন না, ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতগণের সহিত বিচাবি কালে 'অনর্গল সংস্কৃত ভাষায় কথা কহোন, ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেবা তাহাব তুল্য সংস্কৃত ভাষা বলিতে পারেন না, গৌড়ীয় ভাষায় বিচারেও পরাস্ত হন। দ্রবময়ীর ভাব দেখিতে বোধ হয় লক্ষ্মী কিংবা সরস্বতী হইবেন, তাহাকে দর্শন করিলে ভক্তি প্ৰকাশ পায়, এ স্ত্রীলোককে দেখিবার জন্য কাহার উৎসাহ না হয়। বেড়াবাড়ী গ্রামে যাইয়া দ্রবময়ীকে দেখুন, তাহার সহিত বিচার করুন, আমরা দ্রবময়ীব বিদ্যা-শিক্ষার বিষয়ে যাহা লিখিলাম। যদি ইহার এক বর্ণ মিথ্যা হয়, তবে আমাদিগকে মিথ্যাজলক বলিবেন, এরূপ সতী বিদ্যাবতী স্ত্রীলোক কেহ লীলাবতীর পরে এদেশে জন্মগ্রহণ করেন নাই।” ১২৩১ বাং সনে কলিকাতা স্কুল বুক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত “স্ত্রী শিক্ষা বিষয়ক” নামক পুস্তক হইতে হাটী বিদ্যালঙ্কার নামী অপর এক মহিলার বৃত্তান্ত উদ্ধৃত করিতেছি। — “রাঢ়ীয় ব্ৰাহ্মণ কন্যা হটী বিদ্যালঙ্কার নামে একজন ছিলেন, তিনি ही छिांलक्षांद्र। বাল্যকালে আপন আপন গৃহকাৰ্য্যের অবকাশে পড়াশুনা করিয়া ক্ৰমে ক্রমে এমন পণ্ডিত হইলেন, যে সকল শাস্ত্রের পাঠ দিতেন। পরে তিনি কাশীতে