পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

विका-न्काद्भ कृषं SYNC) পারেন, এমন কিছুই নাই, গীতি কবিতাগুলির পত্রে পত্রে দেখিতে পাইবেন ; বীরত্ব, ত্যাগ, আত্মসমৰ্পণ, কষ্ট-সহিষ্ণুতা, স্বার্থের বলিদান এবং তপস্যা-এ সমস্ত বিষয়েই র্তাহারা পুরুষকে ছাড়াইয়া গিয়াছেন। আমরা মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কাজল-রেখা, সখিনা প্ৰভৃতি নারী-চরিত্রের প্ৰতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি। এই চিত্রগুলি আমি যখন প্ৰথম দেখিয়াছিলাম, তখন আমার মনে হইয়াছিল যে দশমহাবিদ্যার রূপ আমার চাক্ষুষ হইল। এক একটি দেৰী-চরিত্র পড়িয়া আমি ২/৩ দিন আবিষ্টের মত থাকিতাম। হিন্দু মেয়েরা যে কিরূপ নিৰ্ভীকভাবে সহমরণে যাইতেন, তাহা বিদেশী লোকেরা বিস্ময়ের সহিত লিখিয়াছেন। আমরা ইতিপূর্বে কিছু দৃষ্টান্ত দিয়াছি, কিন্তু গ্ৰীক ঐতিহাসিক হইতে সেদিনকার হ্যালিডে সাহেব পৰ্য্যন্ত যে সকল চাক্ষুষ দৃশ্য বর্ণনা করিয়াছেন, মার্শম্যান ও ওয়ার্ড প্ৰভৃতি সাহেবেরা তাহা চাপা দিয়া এই ব্যাপারের একটা বীভৎস দিক দেখাইয়াছেন। খুব উচ্চ পরিবারে ও খুব নিম্নস্তরে মাঝে মাঝে যে অত্যাচার না হইত। তাহা নহে। কিন্তু বঙ্গের মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঘরে, এই সহমরণ যে কত পবিত্র ও উজ্জ্বল ছিল, তাহার স্মৃতি বঙ্গের বহু পরিবারে প্রবাদবাক্যের মত হইয়া আছে। আমরা শৈশবে বহু পরিবারে সংঘটিত সহমরণের ইতিহাস শুনিয়াছি, সৰ্ব্বত্রই তাহা প্রেমের উচ্চবার্তা বহন করে—সহমৃতাদের স্মৃতি বঙ্গের ইতিহাসের অতি পবিত্র ও গৌরবজনক । সে কাল গিয়াছে, সে আদর্শ ভাঙ্গিয়াছে, আমরা তাহা আর ফিরিয়া চাহি না --তাহা আর হইবার নহে। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় পাদ্রীদের সঙ্গে সুর মিলাইয়া রাজা রামমোহন সেই জগদ-বন্দিতাদের স্মৃতির পূজা দিতে ভুলিয়াছেন, কেবলই অত্যাচারের পৈশাচিক লীলা দেখিয়াছেন। সহমরণের বিরুদ্ধে চেষ্টা করিয়া তিনি ভালই করিয়াছিলেন, এই চেষ্টা যুগোপযোগী। কিন্তু তিনি দেশের ছেলে হইয়া সেই দেবীদিগের অলৌকিক LLEEDB BTDT BBDB BDB sKKBBD DB DBB BDD SDDDS BDBDDDBBBBBS TODBDD DDDDD চিত্ত সেই স্বৰ্গীয়া রমণীদের পায়ে পূজার অর্ঘ্য দিতে কুষ্ঠিত হয় নাই। তিনি লিখিয়াছেন : “বাংলার প্রাণ-বিসর্জন-পরায়ণা পিতামহীকে আজ আমরা প্ৰণাম করি । তিনি যে জাতিকে স্তন্য দিয়াছেন, স্বৰ্গে গিয়া তাহাকে বিস্মৃত হইবেন না । হে আৰ্য্যে । তুমি তোমার সন্তানদিগকে সংসারের চরম ভয় হইতে উত্তীর্ণ করিয়া দাও। তুমি কখনও স্বপ্নেও জান নাই যে তোমার আত্ম-বিস্মৃত বীরত্বদ্বারা তুমি পৃথিবীর বীরপুরুষদিগকেও লজ্জিত করিতেছ। তুমি যেমন দিব্যাবসানে সংসারের কাজ শেষ করিয়া নিঃশব্দে পতির পালঙ্কে আরোহণ করিতে, দাম্পত্য লীলার অবসান-দিনে সংসারের কাৰ্য্যক্ষেত্ৰ হইতে বিদায় লইয়া তুমি তেমনি সহজে বধু বেশে সীমান্তে সিন্দুর পরিয়া পতির চিতায় আরোহণ করিয়াছ। মৃত্যুকে তুমি সুন্দর করিয়াছ, পবিত্র করিয়াছ, -চিতাকে তুমি বিবাহশয্যার ন্যায় আনন্দ-ময় করিয়াছ। বাংলা দেশের পাবক তোমারই পবিত্র জীবনাহুতি দ্বারা পূত হইয়াছে, আজ হইতে এই কথা আমরা স্মরণ করিব। আমাদের ইতিহাস নীরব, কিন্তু অগ্নি আমাদের ঘরে ঘরে তোমার বাণী বহন করিতেছে। তোমার অক্ষয়-অমর স্মরণ-নিলয় বলিয়া সেই অগ্নিকে বৃহৎ বঙ্গ/৬৩