পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a SV বৃহৎ বঙ্গ DB DBD DLBBSDD DDB DDD LL0S D LDBBDB LBDDDD LSHBuD BD D BBD ধরা। মাঘ মাসে বর্ষে দেবা, রাজা ছেড়ে প্ৰজার সেবা । ( যদি অগ্রহায়ণে বৃষ্টি হয়, তবে এরূপ দুভিক্ষ হইবে যে, রাজাকেও ভিক্ষণভাণ্ড লইয়া বাহির হইতে হইবে। পৌষে বৃষ্টি হইলে দুৰ্ভিক্ষ আরও ভয়ানক হয়, তখন তুষ বিক্রয় করিয়াও অর্থলাভ হয়। যদি জ্যৈষ্ঠমাসে বৃষ্টি না হইয়া আষাঢ়ে। খুব বৃষ্টি হয় তবে অপৰ্য্যাপ্ত শস্য হয়। মাঘ মাসে বৃষ্টি হইলে প্ৰজারা এত ধনী হইবে যে, রাজা ছাড়িয়া প্ৰজার কাছে গেলেও অর্থলাভ হইবে। ) ( ৬ ) মেঘ করে রাত্রে আর দিনে হয় জল। তবে জেনো মাঠে যাওয়াই বিফল । ( ৭ ) আষাঢ়ে নবমী শুকুল পখা, কি করা শ্বশুর লেখা জোখা । যদি বর্ষে রিমিঝিমি । শষ্যের ভার না। সহে মেদিনী । যদি বর্ষে মুষলধারে, মধ্যসমুদ্রে বগা চরে। যদি বর্ষে ছিটে ফোটা, পৰ্ব্বতে হয় মীনের ঘট । ( শুক্লপক্ষীয় আষাঢ়ের নবমীতে যদি মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তবে খনা তাহার শ্বশুরকে বলিতেছেন, কেন আর হিসাবটিসাব কবিতেছেন- আমার কথা মানিয়া লাউন, ঐ তিথিতে ঐরূপ বৃষ্টি হইলে সেবার এরূপ অনাবৃষ্টি হইবে যে, মধ্যসমুদ্রও শুকাইয়া যাইবে—সেখানে চড়া পড়িবে ও তথায় বক চরিয়া বেড়াইবে। যদি খুব প্ৰবল বৃষ্টি না হইয়া ঐ তারিখে ছিটেফোটা অৰ্থাৎ অল্প বৃষ্টি হয়, তবে সেবাব বর্ষ। এরূপ বেশী হইবে যে, পৰ্ব্বতেব উপরও মৎস্য দেখা দিবে। যদি রিমিঝিম বৃষ্টি হয় অর্থাৎ অনেকক্ষণ ব্যাপিয়া ছোট ছোট বিন্দুতে অবিশ্রান্ত বর্ষ হয়, তবে সেবার অপৰ্য্যাপ্ত শষ্য হইবে । ) ( ৮ ) খন ডেকে ব’লে যান। রোদে ধান ছায়ায় পান । ( যত বৌদ্র বেশী পাইবে, ততই ধান্য ভাল হইবে এবং যত বেশী ছায়া পাইবে, ততই পান বেশী হইবে । ) ( ৯ ) আশ্বিনে উনিশ কাৰ্ত্তিকের উনিশ, বাদ দিয়া যত পারিস মটর কলাই বুনিস । ( ১০ ) খন বলে চাষাব পো । শরতের শেষে সরিষা রো। (১১) সাত হাত তিন বিঘাতে । কলা লােগাবি মায়ে পুতে। কলা লাগিয়ে না। কাট পাত ! তাতেই কাপড় তাতেই ভাত । ( ১২ ) যদি থাকে টাকা কববার গো, তবে চৈত্র মাসে ভুট্টা রো। { ১৩ ) দিনে রোদ রাতে জল, তাতে বাড়ে ধানের বল। ( ১৪ শুনরে বাপু চাষার বেটা। মাটীর মধ্যে বেলে যেটা । তাতে যদি বুনিস পটোল। তাতেই তোর আশা সফল। ( ১৫ ) বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রোও । দাবা পাশা খেলা ফেলিয়া থোও । ( ১৬ ) ফাঙ্কনে আগুন চৈতে মাটী । বঁাশ বলে শীঘ্ৰ উঠি । শুন বাপু চাষার বেটা। বঁাশের ঝাড়ে দিও ধানের চিটা। দিলে চিটা বঁাশের গোড়ে। দুই কুড়া ভুই বেড়বে ঝাড়ে । ( ১৭ )। খনা বলে শুন শুন । শরতেব শেষে মুলো বুন । ( ১৮ ) তামাক বুনে গুড়িয়া মাটী। বীজ পুত গুটি গুটি । ঘন ঘন পুত না । পৌষের অধিক রেখো না । ( ১৯ ) ব’লে গেছে বরাহের পো । দশটি মাস বেগুন রো । চৈত্র বৈশাখ দিবে বাদ । ইন্থে নাই কোন বিবাদ । ( ২০ ) অগ্রহায়ণে যদি না হয় বৃষ্টি । তবে না হয়। কঁাটালের সৃষ্টি । ( ২১ ) ডাকছেড়ে বলে বাবণ। কলা রোবে আষাঢ় শ্রাবণ। তিন শত ঝাড় কলা রুয়ে । থাক গৃহী ঘরে শুয়ে। এইরূপ অসংখ্য প্ৰবচন আছে। কতকগুলি রন্ধন সম্বন্ধে-যথা, যত জালে ব্যজন মিষ্ট । ৩৩ জালে ভাঙি নষ্ট । { ব্যঞ্জন রাধিতে যত বেশী জাল দিবে ততই ভাল, কিন্তু ভাত রাধিতে