পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिचक-ौकब कथ GRA অধুনা মাধব, কালীকুমার ও দ্বারকানাথ জাহাজ-নিৰ্ম্মাণে খ্যাতি লাভ করিয়াছেন। আমাদের স্বদেশী নেতাদের ইহাদিগকে উৎসাহ দেওয়া উচিত, দুঃখের বিষয় ইহাদের নাম পৰ্য্যন্ত অনেকেই জানেন না । পল্লী-গীতিক-সাহিতে্যু “নসর মালুম” নামক গাথায় ( পূর্ববঙ্গ-গীতিকা, ৪র্থ খণ্ড, ১-৪৪ পৃ: ) জাহাজ ও সমুদ্রযাত্ৰাসম্বন্ধে অনেক তত্ত্ব লিপিবদ্ধ হইয়াছে। মালুমেরা সমুদ্রপথের সমস্ত বিষয় অবগত হইতেন, তঁহারা দীর্ঘ পৰ্যটনের প্রাক্কালে মানচিত্ৰ আঁকিয়া লইতেন এবং নক্ষত্ৰ দেখিয়া দিক নির্ণয় করিতে পারিতেন। সায়েস্তা খাঁর চট্টগ্রামে অভিযান-প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের ডিঙ্গিগুলির যে বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে তাহা কৌতুকাবহ। ( পূর্ববঙ্গ-গীতিকা দ্রষ্টব্য)। জাহাজের অংশগুলির যে নাম চট্টগ্রামে প্রচলিত আছে তাহার কয়েকটি এখানে দিতেছি। :-বাক (Rib), কাহিন (floor), ইরাক (keel), সুকানকিলা (keelson), গুদস্তা (stern post), stif (stem), tyse (mast), Nia (es চালুত (rake of the mast), हेन्का (batten)। “নুরস্নেহ ও কবর” নামক গাথায় ( পূঃ গীঃ, ৪র্থ খণ্ড, ৯৩-১৩০ পৃ: ) নীে-সৈন্য লইয়া জাহাজের বহর কি ভাবে যুদ্ধ করিতে যাইত, তাহার একটা উল্লেখযোগ্য বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। মুসলমানের কোরানবাহী জাহাজকে অগ্ৰগামী করিয়া যুদ্ধের অভিযান করিতেন। কোরানের পশ্চাতে ধৰ্ম্মপ্রচারের অন্যবিধ উপকরণ, যথা-গোলা, গুলি, কামান প্ৰভৃতি জাহাজে বোঝাই থাকিত। প্ৰাচীন হিন্দু বানিজ্য সম্বন্ধে অনেক কথা ৪৭০-৭১ পৃষ্ঠায্য লিখিত হইয়াছে। গৃহ-নিৰ্ম্মাণাদিসম্বন্ধে অনেক কথা প্ৰাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে পাওয়া যায়। কোন কোন পুরাণে এ সম্বন্ধে কতকগুলি সুত্ৰ প্ৰদত্ত হইয়াছে। আমাদের ডাক ও খন এ বিষয়ে নীরব নহেন, তাহদের সূত্র বাঙ্গলার কৃষকগণেব মুখে মুখে-“পুবে ঠাস (পূর্বদিকে জলাশয়—তথায় হংস বিচরণ করিবে), উত্তরে বঁাশ, পশ্চিম ঘিরে, দক্ষিণ ছেডে, বাড়ী করগে ভেডেব ভেড়ে।” বংশীদাসের পদ্মাপুরাণে তারাপতি নামক কৰ্ম্মকাররাজের যে লৌহ-গৃহ-নিৰ্ম্মাণের বর্ণনা আছে, তাহা পড়িলে কিরূপ সমারোহের সহিত পুবাকালে আমাদের হৰ্ম্ম্যাদি নিৰ্ম্মিত হইত। তাহার একটা আভাস চোখের সম্মুখে উপস্থিত হয়। এই স্থপতিরা হয়ত ভিন্ন দেশাগত ছিল, নতুবা সূত্ৰধর ও লৌহকৰ্ম্ম কারদের জল অনাচরণীয় রহিয়া গেল কেন ? ইহার কোনরূপ নোংরা কাজ কবে না, তথাপি ইহাদের জন্য পতিতের ব্যবস্থা কেন ? ৰংশীদাসের বর্ণনায় স্থপতিশ্রেষ্ঠ তারাপতির রূপবর্ণনা পড়িলে মনে হয় যে এইজাতীয় লোক ষে ভিন্ন দেশবাসী, তাহার একটা সংস্কার কবির মনে ছিল । তারাপতি। অবশ্য কল্পিত চরিত্র, কিন্তু এই চরিত্র যে শ্রেণী-নির্দেশ করিতেছে তাহা ঐতিহাসিক। “তাবাপতি কৰ্ম্মকার সকলের প্রধান। অধিক গুণ তার জানে সৰ্ব্বকাম ৷ দীর্ঘ দীর্ঘ হাত পা, মাথায় ঝাটা চুল। ডান হাতে হাতুর বাম হাতেতে তুল৷ शृश्-नि५ि ।।