পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা SENరీ রচনা করিয়া বাহাদুরী লাইতে চেষ্টিত হন। কিন্তু আসামের মেয়ের ভাল রেশমে নিত্য প্ৰয়োজনীয় বস্ত্ৰাদি বয়ন করিয়া থাকেন । কার্পাস দ্বারা বস্ত্রবয়ন ভারতবর্ষে যে কত প্ৰাচীন, তাহা নির্ণয় করা কঠিন । ঋগ্বেদের প্রাচীনতম অংশে তাঁতিদেব সূত্রের উল্লেখ আছে (“হে শতক্ৰতু, ছুচােগুলি যেরূপ তীতিদের সুতা খাইযা ফেলে, দুশ্চিন্তা আমাকে তেমনই খাইয়া ফেলিতেছে-১০৫-৫৮ ) ! এই শ্লোকের ইঙ্গিতাৰ্থ-তাতিরা সেই প্ৰাচীন কালেও সুতায় মাড় দিত। খৃঃ পূঃ ২০০ বৎসর পূর্বে গ্রীকেরা ভারতীয কাৰ্পাসের কথা জানিতেন । ষ্টাটিটিয়াস (Statitius) কার্পাসকে “কার্বাসম” নামে উল্লেখ করিয়াছেন । জে. *PCár (Cai (J. Forbes Royle, M. D., F. R. S.) vici: "Early History of Cotton” পুস্তকে লিখিয়াছেন, “গ্রীকেরা ঢাকার মসলিনের কথা বিলক্ষণ জানিতেন, তাহারা বস্ত্ৰশিল্পের সর্বোৎকৃষ্ট বলিয়া ইহাকে নির্দেশ করিয়াছেন এবং “গ্যাঞ্জোটিকা’ নাম দিয়াছেন, যেহেতু ইহা গঙ্গার উপকূলে প্ৰস্তুত হইত (১২০ পৃঃ)।” বাঙ্গালী শিল্পী যে এ বিষয়ে জগতে অপ্ৰতিদ্বন্দ্বী-ত্যাহা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন। প্লিনি হইতে আরম্ভ কবিয়া ডাক্তার উরে (Dr. UI re) এবং টেইলর পর্য্যন্ত বহু লেখক ঢাকার মসলিনেব অশেষ সুখ্যাতি করিয়াছেন। প্লিনির সময় বাঙ্গলার মসলিনের নাম ছিল “কার্পাসিয়াম” ; এই শব্দটি সংস্কৃত ‘কার্পাস’ শব্দের অপভ্রংশ। অতীতকালের মসলিনের সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্র, ঢাকার অদূরবর্তী ভাওয়াল পরগনার আন্তর্গত “কাপসিয়া” এখনও ঐ নামে পবিচিত । বাইবেলে এই মসলিনেব। উল্লেখ দৃষ্ট হয় ( ইজেকিল, ১৪শ অধ্যায়, ১০, ১৩ এবং ইসিয়া, ७ग् ऊर्श्वJश, २७ ) ।। প্লিনি লিখিয়াছেন, “রোমের মেয়েরা মসলিনেব ভান করিয়া স্বীয় নগ্ন অবয়ব সাধারণের 5Gbig fiksi ToffgVS 3:5(k, ”—“A dress under whose slight veil our women continue to show their shapes বিদেশী মাত । to the public.” ডাক্তার উরে বলিয়াছেন, “রোমেব পূর্ণতম ঐশ্বৰ্য্যের যুগে ঢাকাব মসলিন তথাকার xfering itésie e fag flict: it is far (Cotton Manufacture of Great Britain by Dr. Ure) | ইয়েটস লিখিয়াছেন, ভারতীয় কার্পাস છુછે জন্মিবার দুইশত বৎসর পূৰ্ব্বে গ্ৰীসদেশেব বাজারে প্রচলিত ছিল । (Testrum Antiquorum.) জুভিনেলের পুস্তকেও মসলিনের প্রশংসাসূচক উল্লেখ দৃষ্ট হয়। প্লিনির লেখাতে পাওয়া যায় যে বঙ্গদেশেব ঢাকানগরীই এই বস্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্ৰভূমি ছিল। সমস্ত জগতে সুপ্ৰাচীন কাল হইতে ইহার ব্যবহার ও আদর হইত ག། ། “একদিকে চীন, অপর দিকে তুরস্ক, সিরিয়া, আরব, ইথিওপিয়া এবং পারস্তাদেশের সহিত এই বাণিজ্য চলিত ; ইহার কিছুদিন পরে প্ৰভেন্স, ইটালী, ল্যাংগুই ডক এবং স্পেন দেশেও ঢাকার মসলিন প্রেরিত হইত (১৩২০,