পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষা-দীক্ষার কথা S8S পূর্বকালে পৃথিবীর সকল সুসভ্যদেশ হইতে বনিগৃবৰ্গ ঐ স্থানে আগমন করিত। অধুনা অল্পমূল্যের বিলাতি বস্ত্ৰ ব্যবহারের রীতি প্ৰচলিত হওয়াতে বহুমূল্য ঢাকাই বন্ত্রের প্রতি জনগণের তাদৃশ অনুরাগ ও স্বপূহ নাই ; তথাপি ঐ নগর নিতান্ত শ্ৰীভ্রষ্ট হয় নাই। অন্যাপি उथब्रि नानांबिक्ष बावजांौशिद्ध जयांश्रम श्व थापक । "বস্ত্ৰবয়নের প্রথম ক্রিয়া সুত্ৰ প্ৰস্তুত করণ। এই কৰ্ম্ম এদেশীয় পল্লীগ্রামের স্ত্রীলোক দ্বারা সম্পন্ন হয়। এই স্ত্রীলোকদিগকে সামান্য লোক কাটনী বা “সুতা কাটনী” বলিয়া থাকে। এই কাটনীদিগের ত্বগিন্দ্ৰিয় অত্যন্ত তীক্ষ। তন্দ্বারা ইহারা সুত্রের সূক্ষ্মত্ব-তারতম্য যে প্রকার উত্তমরূপে করিতে পারে পৃথিবী মধ্যে এরূপ আর কুত্ৰাপি কোন জাতীয়ের পারে না । অল্পবয়স্ক স্ত্রীরা সর্বোৎকৃষ্ট সুত্ৰ প্ৰস্তুত করিয়া থাকে। বয়ঃক্রম ত্রিংশৎ বৎসর অতীত হইলে তাহাদিগের নয়ন ও ত্বগিন্দ্ৰিয় তৎকৰ্ম্মে অপটু হয়, সুতরাং ত্যাহারা আর তত উত্তম সুত্ৰ প্ৰস্তুত কারণে সক্ষম থাকে না। পূর্বাহে বেলা ১০ ঘটিকা পৰ্যন্ত ও অপরারে ৪ ঘটিকার পর সুত্ৰ কাটিবার সময়, এতদ্ব্যতীত অন্য সময়ে বিশেষতঃ রৌদ্র প্রখর থাকিলে, উত্তম সুত্ৰ প্ৰস্তুত হয় না। 'মলমলখাস’ নামক সুপ্ৰসিদ্ধ বস্ত্ৰ বুনিবার সূত্র অতি প্ৰত্যুষে কাটিতে হয় ; এবং যদ্যপি সেই সময় কাটনীর চতুর্বৰ্ত্তিত স্থানে শিশির না থাকে, তবে এক পাত্রে কিঞ্চিৎ জল রাখিয়া। তদুপরি সুত্ৰ কাটিবার প্রয়োজন হয় ; নচেৎ সুত্র ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায়। এই প্রকারে যে সুত্ৰ প্ৰস্তুত হয় তাহা উৰ্ণনাভের সুত্ৰ হইতেও সুন্ম। ইহার ১৭৫ হস্ত সুত্রের পরিমাণ এক রতি মাত্র । ফলতঃ ইহার একসের পরিমাণ সুত্র বিস্তার করিলে প্ৰায় ৪০০ জ্যোতিষীয় ক্রোশ স্থান ব্যাপ্ত হয়!! অপিতু এই অদ্ভুত সুত্র যাদৃশ সুন্ম ইহা প্ৰস্তুত করণের শ্রমও তৎপরিমাণে বহুল। দুইমাস কাল নিয়ত পরিশ্রম করিলে এক তোলক পরিমাণ সূত্র প্রস্তুত হয় ; সুতরাং ইহার মূল্যও অত্যন্ত অধিক। একসের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট সুত্ৰ ৬৪০ টাকার নৃনে প্রাপ্ত হওয়া যায় না। স্বত্র প্রস্তুত হইলে ‘ফেটী’ বা 'লুটীর আকারে রাখিতে হয়। পরে তন্তুবায়েরা ঐ ফেটী বা লুটী জলে ভিজাইয়া উহা বংশনিৰ্ম্মিত এক চরকিতে বেষ্টন করিয়া ঐ সুত্রকে দুই অংশে পৃথক করে, যাহা উত্তম তাহা টানার’ ( বস্ত্রের লম্বসূত্র) নিমিত্তে ব্যবহার হয়, এবং অবশিষ্ট পড়েনের’ ( বস্ত্রের প্রস্থসূত্র) উপযোগ্য। স্বত্র ঐ প্রকার পৃথক পৃথক হইলে টানার সুত্র তিন দিবস নিৰ্ম্মল জলে ভিজাইয়া রাখিতে হয়। চতুর্থ দিবসে উহা হইতে নিপীড়ণ করত ঐসূত্র এক চরকিতে বেষ্টন করিয়া রৌদ্রে শুষ্ক করিতে হয়। অনন্তর তাহা অঙ্গারচুর্ণ মিশ্ৰিত জলে পুনরায় ভিজাইতে হয়। অঙ্গারচুর্ণের পরিবর্তে ভূষা অর্থাৎ পাক-পাত্রের তলজাত অঙ্গারৰৎ পদার্থও ব্যবহৃত হয়। छ्छ्रे बिग्न এই জলে রাখিয়া ঐ সুত্রকে পরিষ্কার জলে ধৌত করিয়া ছায়ায় শুষ্ক করা হয়। অতঃপর ঐ সূত্র পুনরায় এক রাত্রিকাল পরিষ্কার জলে ডিজান থাকিলে মাড় দিবার উপযুক্ত হয়। ঢাকা অঞ্চলে খৈয়ের মণ্ডের ব্যবহার আছে এবং উহা সুত্ৰোপরি লিপ্ত করিবার পূর্বে তাহার সহিত কিঞ্চিৎ ধন মিশ্ৰিত করিয়া থাকে। এই প্রকারে টানার স্বত্র প্রস্তুত হইলে তাহাকে