পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ—আদিযুগ SNO) BDDBB gg DDD DBS SDYCuDB DBBDDD SBEELE DBDD EBBB DDS এইটুকু বলা যাইতে পারে যে, অপরাপর দোহাকারেরা যে ভাষায় লিখিয়াছেন, তাহা আদৌ বাঙ্গলা নহে, কিন্তু কানুপাদের ভাষার মাঝে মাঝে বাঙ্গলার লক্ষণ একটু একটু দৃষ্ট হয়,-কিন্তু তাহা এত প্রচুর নহে যে তত্বারা উহা বাঙ্গলা ভাষারই আদিরূপ বলিয়া নিঃসন্দেহে গৃহীত হইতে পারে। “ডাকার্ণব” নামধেয় পুস্তক একেবারে দুর্বোধি ; শাস্ত্রী মহাশয় তাহার ভূমিকায় নিজেই লিখিয়াছেন যে উহার এক বৰ্ণও তিনি বোঝেন নাই, তথাপি আশ্চর্যের বিষয় এই, তথাকথিত নবম কি দশম শতাব্দীতে লিখিত রচনার মধ্যে তিনি কমা, LBBDDD KDuuDu D S Dg DDD DDD SL D DBB BBBDBB DBB করিয়াছেন। এই সকল চিহ্ন তিনি নিশ্চয়ই মূল পুথিতে পান নাই। বৌদ্ধ দোহা ও গান ছাড়িয়া দিয়া আমরা অতি সংক্ষেপে খাটি বাঙ্গলা সাহিত্যের कांgठा5भ कब्रिय । ংস্কৃতের দ্বারা প্রভাবান্বিত হইবার পূর্বে বাঙ্গলা ভাষার যে রূপটি ছিল, তাহ প্ৰাকৃত শব্দবহুল ! বস্তুতঃ বাঙ্গলা ভাষাকে বহু প্ৰাচীন বাঙ্গলা লেখক “প্ৰাকৃত” সংজ্ঞায়ই অভিহিত করিতেন । ( বঙ্গভাষা ও সাহিত্য, ষষ্ঠ সংস্করণ দ্রষ্টব্য )। সংস্কৃতের প্রভাব চণ্ডীদাসের সময় হইতে আমরা পাইতেছি। সেই প্রভাবের লক্ষণগুলি এই—(১)” ৰহু আভিধানিক সংস্কৃত শব্দের প্রয়োগ, যাহা সেকেলে পাড়া গেয়ে লোকের ব্যবহার করিতেন না । (২) সংস্কৃত অলঙ্কার-শাস্ত্রোক্ত উপমার ছড়াছড়ি যথা-উরুর সহিত কদলী-তরু-কাণ্ডের, বাহুর সহিত নাগের এবং উহা আজানুলম্বিত বলিয়া বর্ণনা, কর্ণের সঙ্গে গৃধিনীর কাণের, স্কন্ধ বৃষের জ্ঞায়, মুখের সহিত পদ্মের, কণ্ঠের সঙ্গে কম্বুর, অধীরের সঙ্গে পাক বিশ্বের, স্তনের সঙ্গে শ্ৰীফলের, গমনভঙ্গীর সঙ্গে গজগতির কিংবা রাজহংসের গতির, চক্ষুর চাঞ্চল্যের সঙ্গে খঞ্জনের গতির, বেণীর সঙ্গে ভুজঙ্গের ইত্যাদি । (৩) বিষয়গুলির বিস্তারিত বর্ণনা ও একই কথার পুনরাবৃত্তি । (৪) ব্ৰাহ্মণের প্রতি অগাধ ভক্তি । (৫) প্ৰতিবিষয়ে দেবতার নিকট সাহায্যপ্রার্থনা । (৬) দেবতার ও দৈবের উপর অচলাভক্তি ও বিশ্বাস । মোটামুটি এইগুলি চতুৰ্দশ হইতে অষ্টাদশ পৰ্যন্ত পাঁচ শতাব্দীর ভদ্ৰ-সাহিত্যের লক্ষণ বলিয়া গ্ৰহণ করা যায়। কিন্তু এখানে একটা কথা বলিয়া রাখা উচিত, এইরূপে সাহিত্যের শ্রেণীবিভাগ করিতে যাইয়া সব সময়ে আমাদিগের কালের পৌৰ্ব্বাপৰ্য্যের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত হইবে না। অষ্টাদশ শতাব্দী পৰ্য্যন্ত বাঙ্গলা সাহিত্যকে মোটামুটি দুইভাগে বিভক্ত করা যাইতে পারে ; এক ভাগ সংস্কৃত-প্রভাবের পুর্ববৰ্ত্তী ও অপর ভাগ সংস্কৃতপ্রভাবের অনুৰক্তী। প্ৰথম ভাগের আদিকাল নবম কি দশম শতাব্দী। কিন্তু তাহা এখনও শেষ হয় নাই। দ্বিতীয় ভাগের উৎপত্তি চতুর্দশ শতাব্দী এবং ইহারও শেষ হয় নাই। প্রথম যুগের ভাষা ও ভঙ্গীতে এখনও হয়ত বাঙ্গলার কোন নিভৃত পলীতে বসিয়া নিরক্ষর কবি গান বঁাধিতেছেন বা গল্প রচনা করিতেছেন, তাহ একান্তরূপে সংস্কৃত बत्रिशांव्र नांभ &थांकुष्ठ् ।