পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳՀ বৃহৎ বঙ্গ জনসাধারণাও যে আদর্শের ভাগীদার হইয়াছিল--এই প্ৰাচীন শিবচরিত্রে তাহার কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না । শিবের গানে শিব যে রূপ, কৃষ্ণ-ধামালীতে কৃষ্ণও কতকটা সেই প্রকারের, ইনি চাষার ঘরের ছেলে, রাধা চাষার ঘরের মেয়ে ; কৃষ্ণ রাধার দইয়ের ভাড় বহিবার বঁাক তৈরী করিবাব জন্য বঁাশ চাছিতেছেন, কখনও তাহার মোট বহিতেছেন—সমস্তই রাধার একটি চুম্বন পাইবার প্রত্যাশায়। কৃষ্ণধামালীর দৃশ্য অমার্জিতরুচিযুক্ত চাষার ঘরের ; এই ধামালী দুই শ্রেণীর ; এক শ্রেণীর নাম শুকুল, অপর শ্রেণীর নাম আসিল । এই আসল এত অশ্লীল যে তাহা চাষীরা পৰ্যন্ত নিজের ঘরে গাহে না-স্ত্রীলোক ও শিশুদিগকে দূরে রাখিয়া তাহারা মাঠে যাইয়া গায়। কিন্তু শুকুল ধামালীতেও যে রুচি পাওয়া যায়-তাহাতে মধ্যে মধ্যে কাণে হাত দিতে হয়-চণ্ডীদাসেব কৃষ্ণকীৰ্ত্তন এই কৃষ্ণ-ধামালীরই সংশোধিত সংস্করণ । বৌদ্ধযুগের এই শিবচবিত্র ও কৃষ্ণচবিত্র আলোচনা করিলে বুঝিতে পারা যায় যে চাষাদের দেবতা তাহদের মাথা ডিঙ্গাইয়া যায় নাই, তাহাদেব ঠাকুরকে চাষার নিজের দলে ভিড়াইয়া নিজস্ব করিয়া লইয়াছে। এই সকল দেবচরিত্রে কৃত্রিমতা, সাজসজ্জা বা আড়ম্বর কিছুই নাই,-কোন দ্বিধা বা সম্রামের সহিত চাষার তাহদের দেবতাকে দেখে নাই, তঁহাকে আপনার জন বলিয়া ভালবাসিয়াছে । এইভাবে দেবতাকে মনের মানুষ করিয়া লইবার ফলে আমরা উত্তরকালে বৈষ্ণবদের পঞ্চ তত্বের অপূৰ্ব্ব দার্শনিক মহিমা দর্শন করিতে পাই। গৃহস্থালীকে শান্ত, দান্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মাধুৰ্য্য এই পঞ্চরসের গৌরবে মণ্ডিত করিয়া ইহাব আদর্শ বৈষ্ণবেরা ধৰ্ম্মবের্দীতে প্ৰতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । সেই উচ্চ আদর্শের ভিত গড়িয়া দিয়াছিল চাষার } চণ্ডীপূজা বহু প্রাচীন। শ্ৰীযুক্ত ডাঃ আব, এন, সাহা, এম. আর. এ. এস. ১৯৩১ সনের ১৮ই অক্টোবর তারিখের Advance সংবাদপত্রে চণ্ডীপূজা সম্বন্ধে একটি সন্দর্ভ লিখিয়াছেন। তাহাতে এই পূজার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে অনেক প্রমাণ দিয়াছেন ; তিনি বলেন, “বাঙ্গালী বণিকেরা অষ্টাদশভূজা উগ্ৰচণ্ডী দুর্গার পূজা শ্যাম, কম্বোজ, চীন, কোরিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপসমূহ, সুমাত্রা, জাভা, বালী, বের্নিও, সেলিবেস, এবং ফিলিপাইন দ্বীপসমূহে লইয়া যান। এই সকল স্থানে আদিম বঙ্গীয় বর্ণমালার আঠারটি অক্ষর ( ব্যঞ্জনবর্ণ) মাত্র প্রচলিত। ১৮ মহাপুরাণ, ১৮ উপপুরাণ ও মহাভারতের ১৮ পর্ব, বাঙ্গলাব ১৮টি বীজ অক্ষরের মহিম-জ্ঞাপক।” দক্ষিণপথের একটি গিরিগুহায় অঙ্কিত অষ্টাদশ হস্তবিশিষ্টা প্ৰাচীন মহিষমৰ্দিনীর মূৰ্ত্তি যেরূপ, সেইরূপ প্ৰাচীন শক্তিমূৰ্ত্তি স্মরণাতীত কাল হইতে জগতের নানাস্থানে দৃষ্ট হয়। veins “History of the Bengali Language and Literature riters Scrps &cs পৃষ্ঠায় লিখিয়াছি, ক্রীট দ্বীপ হইতে ডাঃ ইভান্স ৩০০০ খৃঃ পূঃ অব্দের সিংহবাহিনী মূৰ্ত্তি আবিষ্কার করিয়াছেন। খৃঃ পুঃ ২৮০০ অব্দে প্ৰস্তুত এসিয়া মাইনরের ‘ইয়াসিলি” क्रुरु-क्षांभांव्ौ । 5-76