পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংস্কৃত প্ৰভাবান্বিত বাঙ্গলা-সাহিত্য Sዓዓ পল্পীসাহিত্য একেবারে আড়ালে পড়িয়া গেল ; ব্ৰাহ্মণ শাস্ত্রব্যাখ্যা করিতে লাগিলেন ও ব্রাহ্মণ কথকেরা পুষ্পমাল্যের দ্বারা মস্তক বেষ্টন করিয়া বেদীতে বসিয়া ব্যাখ্যা, বর্ণন ও কীৰ্ত্তনের ভার লাইলেন । পল্লীভাষার বিরুদ্ধে রাজদ্বার বন্ধ হইল। র্যাহারা সংস্কৃত শাস্ত্রের কথা। কথিত ভাষায় লিখিবেন, অথবা শ্রবণ করিবেন।--তাহাদিগের জন্য রৌরব নরকের ব্যবস্থা श्रुञ्छेन् ; ব্ৰাহ্মণগণ এই অভিসম্পাত করিলেন । বঙ্গ-ভাবতী এই বিপদের সমযে বিদেশী বাজগণের বাহু আশ্রয় করিয়া দাড়াইলেন। মুসলমান নবাবেরা এ দেশেব শত শত ধৰ্ম্ম-উৎসব সম্বন্ধে তথ্য ও বিবরণ জানিতে চাহিলেন । ব্ৰাহ্মণের এই দুরূহ ব্যাপার কতবন্ড অসম্ভব কাৰ্য্য, তাহা তাহাদিগকে বুঝাইতে চেষ্টা করিলেন। মোটকথা তাহাবা মুসলমান নবাবদিগকে শাস্ত্ৰকথা জানাইবেন না, ভয দেখাইলেন-শুধু ব্যাকরণ পড়িতেই এক জীবন কাটিয়া যাইতে পাবে ; তুকিবা এদেশে বাস করিয়া এদেশের একরূপ অধিবাসী হইয়া পডিযাছিলেন, তাহারা বাঙ্গলা কথা কহিতে ও লিখিতে জানিতেন। মুসলমান রাজারা সংস্কৃতের মাহাত্ম্য শুনিয়া কতকটা সন্ত্রস্ত হইয়া পন্ডিলেন। তঁহারা সংস্কৃত হইতে মহাভারত, ভাগবত প্ৰভৃতি পুস্তক বাঙ্গলা ভাষায় অনূদিত করিয়া তাহাদিগকে শুনাইতে আদেশ. করিলেন । এই কাৰ্য্য ব্ৰাহ্মণগণ অবশ্য ঘোর অনিচ্ছায় গ্ৰহণ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । ন্যসবত সাহেব আদেশে একখানি মহাভারত রচিত হইযাছিল, তাহা এখন লুপ্ত কিন্তু তাহার উল্লেখ পাওয়া গিয়াছে। এই মহাভারত হয় তা খুব উৎকৃষ্ট ভাবে সঙ্কলিত হয় নাই-এজন্য হুসেন সাহের সেনাপতি চট্টগ্রাম-বিজয়ী পরাগল খাঁ কবীন্দ্র পরমেশ্বর নামক আর একজন কবি-দ্বারা মহাভাবতের অনুবাদ সঙ্কলন করাইয়াছিলেন । এই অনুবাদেব প্রাচীন পুথি বঙ্গদেশের সব্বত্র খাওয়া যাইতেছে এবং ইহার প7 ৭ পত্রে পরাগল খাঁর অনেক স্তুতিবাদ আছে । জৈমিনী-কৃত অশ্বমেধ পর্বের একখানি অনুবাদ পরাগল খাঁর পুত্র বীরবার ছুটি খার আদেশে বিবচিত হইয়াছিল, সাহিত্য-পরিষৎ এই পুস্তক প্ৰকাশ করিয়াছেন । এই অনুবাদকারকের নাম শ্ৰীকরণ নন্দী । গৌড়েশ্বর সামসুদিন ইউসফেব। আদেশে মালাধর বসু ভাগবতের অনুবাদ খৃঃ ১৪৭৩-৮০ অব্দে সঙ্কলন করেন, বঙ্গেশ্বৰ তাহাকে ‘গুণরাজ খা' উপাধি প্ৰদান করিয়াfছলেন। বিদ্যাপতি সসম্মানে “প্ৰভু গয়ে সুদিন সুলতানের” উল্লেখ করিয়াছেন । তিনি একটি পদে লিখিয়াছেন যে, নাসির শাহ প্ৰেমেব প্ৰকৃত মৰ্ম্ম অবগত আছেন এবং “চিরঞ্জাব--রহু গৌড়েশ্বর, কবি বিদ্যাপতি ভণে” বিলিয়া তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিযাছেন । কিন্তু এই সকল মুসলমান বাদ সাহগণের মধ্যে হুসেন সাহই “দেশী ভাষার” সর্বাপেক্ষা বেশী পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলিয়া মনে হয়। পরাগলী মহাভারতে ইহাকে “কলিযুগের কৃষ্ণ অবতার” বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে। খৃঃ ১৪৯৪ অব্দে রচিত মনসামঙ্গলে বিজয়গুপ্ত ইহাকে “সনাতন হুসেন সাহ নৃপতি-তিলক” বলিয়া অভিনন্দিত করিয়াছেন। আরও কয়েকখানি প্ৰাচীন বাঙ্গলা কাব্যে ইহার সুখ্যাতি আছে। বৃহৎ বঙ্গ/৬৭ फू* न११प्प्रद्धा घाब्र बनडांगf ठ९नश् ि2नन । মুসলমান নৃপতিগণের GefR