পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cbउद्य-सूर्श So পাইয়া মনের ভিতর পাইয়াছিলেন। ভাব-সম্মেলন বৈষ্ণব কবির অপূৰ্ব সৃষ্টি,-চিরবিরহের भgथJ 5िद्धभिवान् । চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির পাবে বাঙ্গলায় শ্ৰীখণ্ডের নরহরি সরকার, বাসুদেব ঘোষ, অনন্ত দাস, বংশী দাস, গোবিন্দ দাস, বলরাম দাস, জ্ঞান দাস, চন্দ্ৰশেখর বা শশিশেখর, ঘনশ্যাম দাস প্রভৃতি শত শত কবি পদ রচনা করেন ; নৰৱেহৰুিৱ সমােলকচাৰুর শ্ৰীখণ্ডের সর্বজনপরিচিত বৈষ্ণবগুরু ও চৈতন্যের অন্তরঙ্গ। ইহার রচিত “অঙ্গনে রহিল মোর হিয়ার হেম হাব, পিয়া যেন গলায় পরয়ে একবার, রোপিলু মল্লিকা নিজ করে, গাগিয়া ফুলের মালা পরাইও তারে। নরহরি ক’র এই কাম, সে সময়ে কৰ্ণে শুনা”ও হরিনাম”-প্রভৃতি পদ প্রেমের পীযুষপূৰ্ণ ; অনন্ত দাসের অভিসার অতি সুন্দর ; বংশীবদনের “না ষেও না যেও, রাই, বৈস তরুতলে, আসিতে পেয়েছ ব্যথা চরণকমলে।” প্ৰভৃতি পদ অতুলনীয়। ইহাদেব অনেকেই চৈতন্যের সহচর ছিলেন। গোবিন্দ দাস, জ্ঞান দাস, শশিশেখর, বলরাম প্ৰভৃতি কবি পরবর্তী যুগের। গোবিন্দ দাসের কথা ইতিপূর্বে ৭৫৬ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে, ইনি বেজবুলিতেই অধিকাংশ পদ লিখিয়া গিয়াছেন। চণ্ডীদাস ও বিদ্যাপতির পর ইনিই বৈষ্ণব কবিকুলের শীর্ষস্থানীয়-ইহার রচিত “করযুগ নয়ন মুদি চলু ভামিনী তিমির পয়ানক আশে৷ ” “মণিকিঙ্কণপণ ফণিমুখবন্ধন, শিখযে ভুজগ-গুৰু পাশে” এবং “যে পদতল থলকমল ধরণী-পরশে উপশঙ্ক । অব কণ্টকময় বাটহি আওত যাত নিশঙ্ক।” প্ৰভৃতি পদ-প্ৰেম যে ইন্দ্ৰিয়বিকার নহে-কঠোর সাধনা, তাহাই প্ৰমাণ করিতেছে । কঁদড়া-বাসী অজ্ঞানদাসীন ব্ৰাহ্মণ ছিলেন, ইনি চণ্ডীদাসেব পদের বিবৃতি করিয়া, কোথাও বা আশ্চর্য মৌলিকতা দেখাইয়া যে সকল পদাবলী রচনা কবিয়াছেন, তাহা এখন কীৰ্ত্তন-গায়কদের প্রধান আশ্রয় । কতকগুলি পদের তুলনা নাই, যথা “রূপলাগি আঁখি ঝুরে, গুণে মন ভোর। প্ৰতি অঙ্গ লাগি কঁদে প্ৰতি অঙ্গ মোর ৷ হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কঁাদে। পরাণ পীবিতি লাগি স্থির নাহি বাধে ॥”-পদে মানুষ যে অপূর্ণ-শুধু নির কি নারী একক যে স্বীয় স্বাভাবিক অপূর্ণতায় ব্যথিত এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলনের জন্য বেদনাতুর ও চিরপিপাসিততাহাই বুঝাইতেছে। এই অপূর্ণতা লইয়া নারী-জাতি পুরুষকে ছাড়িয়া টিকিবেন। কিরূপে ? যদি ভগবানের প্রেম দ্বারা এই চিরতুষ্ণাৰ্ত্তের তৃষ্ণ না মিটে, তবে নরনারীর দেহ ও মনের অপূর্ণতা লইয়া দাড়াইবার আর স্থান নাই। “কবি নৃপজ-বংশজ জয় ঘনশ্যাম BBBD S S DSLuDuDLu S Duu S DuDuuBuuu S0DBBBDS DBBBDBB BBBBBBDSS ঘনশ্যাম গোবিন্দ-পুত্ৰ দিব্যাসিংহের পুত্র। বলরাম দাসের পদ অতি সরল পল্লীভাষায় রচিত, ইহার “সখি হের দে আসিয়া ব্যা। নিদি যায় চান্দবদনী শুষ্ঠাম অঙ্গে দিয়া পা ৷ নিশ্বাসে দুলিছে, রতন বেশর, হাসিখানি তাহে মিশা৷” এবং শশিশেখরের “তুঙ্গ মণিমন্দিরে, বিজুলী ঘন সঞ্চারে-মেঘরুচি বসন পরিধান” কিংবা “অতি শীতল, মলয়ানিল, মন্দমধুরবহুনা” প্ৰভৃতি পদ বাঙ্গলাদেশে সুপরিচিত। গোবিন্দ দাস-প্রমুখ ঐ সকল কবিগণ ষোড়শ শতাব্দীর শেষ এবং সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাৰ্দ্ধ পৰ্য্যন্ত বিদ্যমান ছিলেন ইহাদের প্রত্যেকের বৃহৎ বঙ্গ/৬৮ - 1