পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃহৎ বঙ্গ 9ܬܬ জীবন-সম্বন্ধে এরূপ ঐতিহাসিক ও চিত্তাকর্ষক পুস্তক আর নাই। চৈতন্যভাগবত শ্ৰীবাসের ভ্রাতুষ্পপুত্রী নারায়ণীর পুত্ৰ ব্ৰন্দাবন দাসেনর রচিত। ইহা একখানি সৰ্ব্বজন-সমাদৃত গ্ৰন্থ। চৈতন্যের জীবন-সম্বন্ধে অনেক অলৌকিক কথা ইহাতে থাকিলেও পারিপাৰ্ষিক ও তাৎকালিক ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা হেতু ইহার গুরুত্ব খুব বেশী। চৈতন্যের সমকালবৰ্ত্তী জানুয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলেও অলৌকিক কথা এবং ঐতিহাসিক তত্ত্ব উভয়ের সংমিশ্রণ BBBBSS SBBDBBB DBDBBBBu S SBDLY DDDBDBBD S uDTBKKK S DBBDBK নিবার-স্বরূপ, কিন্তু ইহার ঐতিহাসিক মূল্য অল্প। রূপ গোস্বামীৰৱ বিদগ্ধমাধব ও ললিতমাধবে কৃষ্ণলীলা বাণিত হইয়াছে। রূপ প্রথমতঃ একই পুস্তকে এই দুই নাটকের বিষয় লিখিতে পরিকল্পনা করিয়াছিলেন। কিন্তু চৈতন্য-প্রভুর উপদেশে মথুরার ঐশ্বৰ্য্যময়ী লীলা ও বৃন্দাবনের মাধুৰ্য্যপূর্ণ কথা স্বতন্ত্র করিয়া কবি দুইটি নাটক লিখিয়াছেন। মধ্যযুগের সংস্কৃত-সাহিত্যে এই দুই নাটকের স্থান খুব উচ্চে। রূপের উজ্জল-নীলমণি’ বৈষ্ণব অলঙ্কারশাস্ত্রের চূড়ান্ত গ্ৰন্থ। সনাতনেকুৱা ‘হরিভক্তিবিলাস’ চৈতন্তের উপদেশ-ভিত্তির উপর পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই গ্ৰন্থ বৈষ্ণবসমাজের পরিচালক একমাত্ৰ স্মৃতিগ্ৰন্থ। কাপ ও সনাতনের ভ্রাতুষ্পপুত্র জীব গোস্বামীর “যটুসন্দর্ভ’। গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সমাজের সর্বাপেক্ষা প্ৰসিদ্ধ দার্শনিক গ্ৰন্থ। এই সকল এবং ইহা ছাড়া সংস্কৃত বহু বৈষ্ণব গ্ৰন্থ-যাহা বাঙ্গালী বৈষ্ণবেরা বৃন্দাবনে বসিয়া লিখিয়াছিলেন, তাহাদের বিস্তারিত বিবরণ নরহরিহর বুকত ‘ভক্তিব্যত্নাকরা” এবং আমার Medieval Vaishnava Literature of Bergal SfNKP পুস্তকে পাওয়া যাইবে এই সকল পুস্তক ছাড়া সপ্তদশ শতকের শেষভাগে পূর্বোক্ত নরহরি চক্ৰবৰ্ত্তিকৃত ‘ভক্তিরত্নাকর” ও নিত্যানন্দ দাসেন ব্ল ‘প্রেমবিলাস’ দুইখানি অমূল্য ঐতিহাসিক পুস্তক । উহাতে তাৎকালিক বৈষ্ণব-সমাজের যথাযথ চিত্র প্রদত্ত হইয়াছে। ভক্তি-বত্নাকরের সঙ্গীতবিজ্ঞান-সম্বন্ধীয় অধ্যায়টি উক্ত শাস্ত্রের একটি মূল্যবান সম্পদ।। চৈতন্যচরিতামৃত ছাড়া প্ৰাচীন বাঙ্গলায় ইহার মত পাণ্ডিত্যপূর্ণ পুস্তক আর নাই। হরিচরণ দাসেনর অদ্বৈতBDS DBeuBB uLiDDuDBBDD SDBBBBuS uDuDuBDD BBBDSDBBES SBDDDuDuS নাখোৱা ‘সীতা-চরিত্র” প্রভৃতি অসংখ্য পুস্তক সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম সময়ের মধ্যে লিখিত হয়। বৈষ্ণব মহাজনগণের পদ-সংগ্ৰহ অনেকগুলি আছে - তন্মধ্যে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে লিখিত বৈষ্ণবদাসীন ( গোকুলানন্দ সেন, মুর্সিদাবাদ টেয়া-নিবাসী)-কৃত ‘পদকল্পতরু” সৰ্ব্বাপেক্ষা প্ৰসিদ্ধ গ্ৰন্থ। তৎপূর্বে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভুর পৌত্র ব্ৰাপ্ৰামোহন উচ্চাকুর পদার্শ্বত-সমুদ্র নামক গ্রন্থে অনেক বাঙ্গলা পদ সংগ্ৰহ করিয়া তাহার টীকা সংস্কৃতে করিয়াছিলেন। বৌদ্ধযুগ-অবসানে “ভাষায়” লিখিত পুস্তকের এতাদৃশ সমাদর আর কেহ দেন নাই। নরহরি চক্রবর্তী স্বয়ং সংস্কৃতে কৃতবিদন্ত পণ্ডিত হইয়াও তাঁহার ভক্তি-রত্নাকরে সংস্কৃত শ্লোকের সঙ্গে বাঙ্গলা গ্রন্থের শ্লোকও প্ৰমাণ-স্বরূপ উদ্ধৃত করিয়া মাতৃভাষার প্রতি শ্ৰদ্ধা দেখাইয়াছেন। বৈষ্ণবের