পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ङठ्J-मू o Oe) -মুসলমান-সংঘর্ষের যে কৌতুকাবহ চিত্র এই কাব্যে প্রদত্ত হইয়াছে—তাহাতে এই দুই সমাজের কতকটা খাটি কথা আমরা জানিতে পারি। এইরূপ অনেক কাব্য আমরা দেখিয়াছি Was Folk Literature of lengal NaN3 পুস্তকে এ সম্বন্ধে कऊकत्रिों विरुठांब्रिड ভাবে আলোচনা করিয়াছি। সহজিয়াদের পুথির সংখ্যা নাই—তাহা এক সমুদ্র-বিশেষ। এই সহজিয়া পুথিগুলির কতক কতক সন্ধ্যা-ভাষায় লিখিত এবং অনেকগুলির মধ্যেই উক্ত সম্প্রদায়ের সাঙ্কেতিক শব্দ আছে, বাহিরের লোকোব পক্ষে তাহা বুঝিতে কষ্ট হয়। দৃষ্টান্তস্থলে আমার বঙ্গসাহিত্য-পরিচয়ের দ্বিতীয় খণ্ডে ১৮৩৪-৫০ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত লালশশীর গানের উল্লেখ করিতে পারি, এই সকল গানের ভাষা অতি সহজ বাঙ্গল, কিন্তু ইহাদের ভাব এত জটিল যে আমরা মাথা খুড়িয়া অনেকগুলির কোন অর্থ করিতে পারি নাই। সহজিয়াসাহিত্য বাঙ্গলার জনসাধারণেব নিজস্ব। এই সাহিত্যে হিন্দু দর্শন, বৌদ্ধ দর্শন এবং মুসলমান সুফী সম্প্রদায়েব মত ও তাহদের আনুষ্ঠানিক সাধনা-সহজ ভাষায় কিন্তু অতি জটিল ভাবের সঙ্কেতের দ্বাবা ব্যক্তি হইয়াছে। এই সুপ্রসার সাহিত্যেব বিস্তৃতি ও সংখ্যাবাহুল্যদৃষ্টে মনে হয়- বৌদ্ধগণ প্ৰস্থানের পথে এই প্রাচীন ধৰ্ম্ম ও সংস্কারের অবশেষ এতদ্দেশে রাখিয়া গিয়াছিলেন ; আউল, বাউল, ফকির প্রভৃতি বিভিন্ন নামধারী সম্প্রদায়গুলির অনেকেই বৈষ্ণব-মেডিকে আঁটিয়া সেই বৌদ্ধ-যুগের কথাগুলি এখনও এদেশে চালাইতেছেন। এই অক্ষয় বটের বংশ ধ্বংস হইবার নহে, যুগ-যুগ ধরিয়া ইহা এদেশের ভূমিতে শিকড় গাডিযছে, বৈষ্ণবেরা ইহা তুলিয়া ফেলিয়া নিজেদের ভণবদ-ভক্তির উন্মাদনার ফুল গাছ রোপণ করিতে পারেন নাই, বরঞ্চ ইহাদেব সাধনপ্রণালী গুরুবাদ, পরকীয়া, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি তাহাদিগকে গ্ৰহণ কবিতে হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত মণীন্দ্রমোহন বসু মহাশয় এই অরণ্যের আশৈ পাশে আজ ১১/১২ বৎসর * । ”ং ঘুরিয়াও খেই পাইতেছেন না। চারুদৰ্শন নামক পুস্তকে লেখক স্বৰ্গীয় পাৰ্ব্বতীচরণ কবিশেখর মহাশয় খানিকটা তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়াছিলেন বটে, কিন্তু তিনি এই সম্প্রদায়ের প্রতি আতি বিরূপ, সুতরাং ত্যাহার আলেখ্য কতকটা বিবর্ণ হইয়াছে। আমরা এ সম্বন্ধে বিস্তৃতভাবে ৭৬৯-৮২ পৃষ্ঠায় আলোচনা কবিয়াছি । এখানে আমাদের বক্তব্য এই যে বৰ্ত্তমান বঙ্গদেশীয মুসলমান সমাজের নিম্ন শ্রেণীর অধিকাংশ লোকই বৌদ্ধ সম্প্রদায় হইতে গৃহীত, সুতরাং ইহাদের কতক শ্রেণীর মধ্যে বৌদ্ধসাধনার প্রভাব খুব বেশী। বৌদ্ধভাবাপন্ন সুফী সম্প্রদায়ের মত ধীরে ধীবে বাঙ্গলার পল্পীভবনকে ছাইয়া ফেলিয়াছে। মুসলমান ফকিরের পল্লীবাসীদিগের মধ্যে সুফীদিগের মত চালাইতেছেন। হিন্দু ও মুসলমান একত্র হইয়া সেই ফকিরদের শিক্ষা গ্ৰহণ করিতেছে—সুতরাং আমরা যে ক্ষুদ্র একদল শিক্ষাভিমানী হইয়া বাঙ্গলা ভাষাটার উপর কর্তৃত্ব ও মুরাব্বীয়ানার চাল চালাইতেছি, তাহা শুধু ভাষার উপরকার স্তরটি স্পর্শ করিয়াছে। বিদেশী প্রভাবের দরুন শিক্ষিত সম্প্রদায়ের সাহিত্য, ঠিক দেশজ উপকরণে নিৰ্ম্মিত হয় নাই। কিন্তু অবজ্ঞাত কোট কোটী নরনারীর মধ্যে যে শিক্ষা এখনও প্রচারিত হইতেছে-পাগলা কানাই প্ৰভৃতি খাট জন-নেতারা যাহা দেশময় চালাইয়াছেন-আমাদের অগোচরে যে সাহিত্য বাঙ্গলার