পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরা-রাজ্য à 0 R0 উল্লিখিত আছে-যথা, থানাংচি, তৈতানব, ছায়ের নদী ( এইখানে ভ্ৰাতৃগণ পৃষ্ঠভঙ্গ দেওয়ার মন্ত্রণা করেন ), তৈলাইঙ্গ, কাবতৈ ( এই স্থানে ভ্ৰাতারা বন্দী হইয়া ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন ), সমার ( এই স্থানে এক রাজকুমারের শির কত্তিত হইয়াছিল ) ( আমরা এখানে কালীপ্রসন্নবাবুর সহিত একমত হইয়া-মুড়া অর্থে পৰ্ব্বতের শৃঙ্গ মনে করিতে পারি না ), তৈলাইফঙ্গ (এই স্থানে ভ্রাতারা খাদ্যাভাবে কদলীর খোসা খাইয়াছিলেন ) { যুদ্ধ জয় করিয়া রত্নফা গৌড়েশ্বরকে বহু হস্তী ও অন্যান্য উপঢৌকন প্ৰদান করেন । রত্নফা গৌড়েশ্বর হইতে “মাণিক্য” উপাধি প্ৰাপ্ত হন। রত্নফার মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে, তাহার তারিখ ১৩৬৩ খৃঃ অন্দ । সুলতান সামসুদিন ১৩৪৭ श्रू: হইতে ১৩৫৮ খৃঃ অব্দ পৰ্য্যন্ত রাজত্ব করেন। ইহার জাজনগর (ত্রিপুরা ) আক্রমণ করিয়া বহু অর্থ ও হস্তী পাওয়ার কথা ইতিহাসে পাওয়া যায়। সুতরাং খুব সম্ভব সুলতান সামসুদ্দিন হইতেই ত্রিপুরার রাজাদের “মাণিক্য” উপাধি চলিয়া আসিয়াছে। মহারাজ রত্নমাণিক্যের সঙ্গে গৌড়েশ্বরের এই সৌহার্দ্যের হেতুতে তিনি বাঙ্গলা হইতে ১০,০ ০০ ঘর বাঙ্গালী লইয়া গিয়া তথায় তাহাদিগকে উপনিবিষ্ট করিবার অনুমতি পাইয়াছিলেন । তদনুসারে তিনি বঙ্গে স্বর্ণগ্ৰাম হইতে ৪,০০০ সেনা ও বহু ভদ্রলোক লইয়া তীহার রাজ্যে বাস করাইয়াছিলেন। রাঙ্গামাটিতে দুই হাজার ঘর, রত্নপুরে এক হাজার, যশপুরে ৫০০ এবং হীরাপুরে ৫০০ ঘর বাঙ্গালী উপনিবিষ্ট করাইয়াছিলেন । ইহাদের অনেকে সৈন্যশ্ৰেণীভুক্ত হইয়াছিল। রত্নমাণিক্যের সময় হইতে বাঙ্গালীর সঙ্গে এই ভাবে ত্রিপুরার সম্বন্ধ ঘনিষ্ঠতার হওয়ায় তথায় এদেশের শিক্ষাদীক্ষা প্ৰবেশে বা পথ সুগম করিয়া দিয়াছিল। श्लडॉन नांभ१निभ । মাণিক্য উপাধি । दछfजी 3*निcब=िक । দ্বিতীয় পৰিৱচ্ছেদ ধৰ্ম্মমাণিক্য দ্রুহু হইতে ১৪১ স্থানীয় মহামাণিক্যের পুত্র মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য প্রথমযৌবনে সন্ন্যাসী হইয়া গিয়াছিলেন। কাশীতে কৌতুক নামক এক ব্ৰাহ্মণ, ইনি - রাজা হইবেন, এই ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন । ধৰ্ম্মমাণিক্য অতঃপর দেশে ফিরিয়া আসিয়া রাজা হইলেন। তিনিই ত্রিপুরভাষা হইতে রাজমালা বাঙ্গলা পয়ারে অনুদিত করাইয়াছেন। “পূর্বে রাজমালা ছিল ত্রিপুর ভাষাতে। পয়ারে গাথিল সব সকলে বুঝিতে। সুভাষাতে tfit-Ysex Y Bon