পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য Savo দেবতার নিকট বলি দিলেন। বলির সময় পাঠান অধিনায়ক পশ্চিম দিকে মুখ ফিরাইতে BDDBBDS SDBDB BDDBD BBBDBD DBD BB DODSS SDDDBD STY D LDDY বলিল, “খা সাহেব পূর্বই বা কি পশ্চিমই বা কি, ঈশ্বর সর্বত্র আছেন” ; তখন পূর্বদিকেই তিনি মুখ ফিরাইলেন, তাহার কাৰ্ত্তিত মুণ্ড দেখিয়া রাজা অনেক দুঃখ প্ৰকাশ করিলেন। ইহার মধ্যে বাদাসাহের চিঠি আসিল--মমারককে ছাড়িয়া দিলে তিনি পদ্মানদীর তীর পর্য্যন্ত সমস্ত ভূভাগ ত্রিপুরেশ্বরকে ছাড়িয়া দিবেন। কিন্তু যখন মামারকের হত্য-সংবাদ পৌছিল, তখন রণদুন্দভি আবার বাজিয়া উঠিল । কিন্তু এই সময় দাউদ খা বাদসাহ হইয়া মোগলদিগের বিরুদ্ধে জীবনপণ যুদ্ধে নিযুক্ত, এই জন্য এই সকল অন্তবিরোধ স্থগিত হইল। চট্টগ্রাম বিজয়ের পর বিজয়ামাণিক্য দিগ বিজয়ার্থ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রওনা হইলেন। কেহ তাহার সহিত বিবাদ করিতে সাহসী হইল না। সুবৰ্ণ-গ্ৰামে আসিয়া তিনি দেখিলেন, বিক্রমপুরের লোকেরা ত্রিপুর-সৈন্যদিগকে বিদ্রুপ করে। রাজা এক সহস্র টাকা ও এক এক খানি চতুৰ্দোলা পাঠাইয়া কুলীন চৌধুরীদিগের সুন্দরী কন্যাদিগকে শয্যাসঙ্গিনী করিতে লাগিলেন । এই অভিযানের সময় বিজয়মাণিক্য ব্ৰহ্মপুত্রের উপরে এক সেতু নিৰ্ম্মাণ बिस्म भffacकब्र प्रेिविं- করাইয়াছিলেন ।। কৈলাগড়ে তিনি একটি স্ববৃহৎ খাল কাটাইলেন। জয়, ত্রিপুরার খাল, ত্রিপুরার উহা নদীর মতই হইল, এই নদীর নাম হইল “বিজয়-নন্দিনী” । बाशन শ্ৰীহট্ট পৰ্য্যন্ত একটি প্রশস্ত পথ নিৰ্ম্মাণ করাইলেন"বিজয়পুর। ইহা “ত্রিপুরার জাঙ্গাল” নামে পরিচিত হইল। জিনারপুরে তিনি আর একটি খাল কাটাইলেন, তাহার নাম হইল। “ত্রিপুরার খাল”। বালিশিরা নামক এক স্থানে যাইয়া রাজা সেই স্থানের নাম ‘বিজয়পুর’ রাখিলেন। বিজয়ের দুই পুত্ৰ—ডাঙ্গরফা ও অনন্ত। গণকগণ গণিয়া বলিল ডাঙ্গরফার ‘ছেদ যোগ” আছে। রাজা তাহার বন্ধু উড়িষ্যার অধিপতি মুকুন্দদেবের নিকট জ্যেষ্ঠ পুত্রকে পাঠাইয়া দিলেন, র্তাহাকে বহু ধনরত্ন দিয়া বুঝাইলেন, জগন্নাথ তীর্থে থাকিলে তাহার ইহকাল ও পরকালের সদগতি হইবে। মুকুন্দদেব রাজপুত্রকে আটখানি গ্রাম দিলেন। বিজয়মাণিক্যের মৃত্যুর পর কনিষ্ঠ পুত্ৰ অনন্ত সিংহাসনে আসীন হইলেন। বিজয়মাণিক্য মৃত্যুকালে ভিষকশ্ৰেষ্ঠ যাদুরায়কে মিনতি করিতে লাগিলেন, “আমাকে বাচাইয়া দিন, আমি আপনার সর্বাঙ্গ সুবৰ্ণ দ্বারা জড়িত করিয়া দিব।” এই ভাবে রাজা ৪৭ বৎসর বয়সে প্ৰাণত্যাগ করেন। ইনি দেখিতে উজ্জ্বল গৌরবর্ণ ও অতি সুদৰ্শন ছিলেন। রাজমালায় বিজয়মাণিক্যের দিগ্বিজয় কৌতুহলপ্ৰদ ভাষায় বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত আছে। র্তাহার বিখ্যাত অভিযানে ৫০,০০০ নৌকার এক বহর ছিল। প্রথমতঃ ব্ৰহ্মপুত্ৰে স্নান করিয়া তথায় জয়ধ্বজ প্রোথিত করিয়া “পঞ্চাদ্রোণা” নামক ব্রাহ্মণাধুষিত গ্রাম স্থাপন করেন। তৎপরে তিনি লক্ষ্যা পার হইয়া ইচ্ছামতি অতিক্রমপুৰ্ব্বক পদ্মাতীরে উপস্থিত হন। তিনি পথে পথে ব্রাহ্মণদিগকে মুক্তহস্তে তাম্রশাসনাদি দ্বারা বহু ভূমি ও স্বর্ণ দান করিয়া নিৰ্দয়ভাবে শত্রু দলনপূর্বক অগ্রসর হইয়াছিলেন এবং মনে হয় তিনি সমস্ত পূর্ববঙ্গ দখল করিয়া লইয়াছিলেন। আবুল ফজল বিজয়মাণিক্যের নাম আইন