পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস- ত্রিপুরারাজ্য à 098 পুনঃ বিপৰ্য্যপ্ত করিতে লাগিলেন। অগত্যা ইন্দ্ৰমাণিক্য পুনরায় নবাবের শরণাপন্ন হইলেন। এদিকে আলিবন্দী খাঁর প্ৰিয়পাত্ৰ হাজি হুসেনকে হাত করিয়া জয়মাণিক্য ত্রিপুরার সনদ পাইবার চেষ্টায় ছিলেন,-ইন্দ্ৰমাণিক্য মুর্শিদাবাদে তদ্বির করিতে যাইয়া আর ফিরিলেন না, মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন । পুনৰ্বার জয়মাণিক্য রাজা হইলেন । কিন্তু অল্পকাল পরেই তাহার মৃত্যু ঘটিল। জয়মাণিক্যের কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা হরিধান ঠাকুর “বিজয়মাণিক্য” উপাধি লইয়া সিংহাসনে অভিষিক্ত হইলেন, ইনিও অতি অল্পকাল পরে মৃত্যুমুখে পতিত হন এবং ইন্দ্ৰমাণিক্যের কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা যুবরাজ কৃষ্ণমণি সিংহাসনের দাবী করিলেন। কিন্তু এই সময়ে এক সামান্য প্ৰজা প্ৰবল পরাক্রান্ত হইয়া কিছু দিনের জন্য ত্রিপুরা শাসন করিয়াছিল, তাহার ইতিহাস আমরা এখানে একটু বিস্তারিত ভাবে প্ৰদান করিয়া উপসংহার করিব, যেহেতু আমার এই ইতিহাস ইংরেজ শাসনের পূর্ব পৰ্য্যন্তই আপাততঃ লিখিত হইল। এখন হইতে ত্রিপুর-রাজ্যের প্রকৃত স্বাধীনতা ও দুর্দাপ্ত প্ৰতাপ লুপ্ত হইয়াছিল। যে বংশের এক রাজ্ঞী। গৌড়েশ্বরের সমবেত সৈন্যের প্রতি অবজ্ঞাপূর্ণ ভ্ৰাভঙ্গীর সহিত স্বয়ং বণ-অভিযানের নেতৃত্ব করিয়া স্বীয় রাজ-স্বামীকে শৃগালবৎ গণ্য করিয়াছিলেনরণস্থলে হস্তীর উপর তঁাহার মহীয়সী রণচণ্ডীমূৰ্ত্তি দেখিয়া – এক লক্ষ সৈন্য বিনাশের পরু-গৌড়েশ্বরের বিরাট বাহিনী ভঙ্গ দিয়াছিল, যে বংশের ধন্যমাণিক্য তঁাহার মহাবীর সেনাপতি চয়চাগের সাহায্যে হুসেন সাহের ন্যায় পরাক্রান্ত বাদ সাহিকে পরাজয়পূর্বক চট্টগ্রাম ও আরাকান কাড়িয়া লইয়াছিলেন, যে উজ্জ্বল মহিমান্বিত বংশের এক রাজা সোলেমান সাহের শু্যালক মমারককে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়া চতুৰ্দশ দেবতার মন্দিরে বলি দিতে সাহসী হইয়াছিলেন, —অন্য এক রাজা হেরম্বাধিপতির অজেয় থান’খছি দুর্গ আট মাসের চেষ্টায় বিধ্বস্ত করিয়া তদুপরি ত্রিপুরার বিজয়ধ্বজ উডীন করিয়াছিলেন এবং যে মহাবংশের উজ্জল রত্ন বিজয়মাণিক্য দিগ্বিজয়ে অভিযান করিয়া একদিকে নানারাজ্য জয়, অপরদিকে নানা দীঘি, সরোবর, মন্দির ও নগর প্রতিষ্ঠিত করিয়া স্বীয় নামে এক নদীর ন্যায়। সুদীর্ঘ ও সুবিস্তৃত খাল খনন কবিয়া বিশাল ব্ৰহ্মপুত্র নদের উপর সেতু নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, চন্দ্ৰবংশীয় সেই প্ৰথিতযশা নৃপতিদের বংশধর দিগকে এইবার নবাবের সামান্য তালুকদারের মত নথি-পত্ৰ লইয়া জ্ঞাতিদের সঙ্গে বিরোধ ও অভিযোগ করিতে ঘন ঘন মুর্শিদাবাদে যাইতে দেখলে মনে হয়-ত্রিপুরলক্ষ্মীর পদাঙ্ক এত নিম্প্রভ ও মান হইয়া গিয়াছিল যে তাহার চিহ্নও ঐতিহাসিকগণের পক্ষে খুজিয়া বাহির করিতে কষ্ট পাইতে হইত। figurtfts e शन्निवभाकिj --»१७० ,ः ዋiቐUቖg |