পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-ত্রিপুরারাজ্য $ e8ፃ নিকট।। ৩২ সংখ্যক নৃপতি প্ৰতর্দন সাগরদ্বীপের রাজধানী ছাড়িয়া কিরাতদিগকে পরাজয়পূর্বক কাছাড়ে, যাইয়া ব্ৰহ্মপুত্র নদের তীরে বর্তমান ত্রিপুররাজ্য সংস্থাপিত করেন। এই কিরাত-জাতি-বেষ্টিত হইয়া ইহারা অনাৰ্য্য আচার ও উপাধি অবলম্বন করেন। ৭৩ সংখ্যক রাজার সময় হইতে ত্রিপুর-রাজগণ অনেকে “ফা” ( পিতা বা প্ৰভু) উপাধি ধারণ করিয়াছেন। চীনদেশের প্রভাবান্বিত ‘হালাম” নামক পাৰ্ব্বত্য জাতির এক সময়ে ত্রিপুরাঞ্চলে বিশেষ প্ৰভুত্ব ছিল, সেই জাতির সংস্পর্শে আসিয়া ত্রিপুরায় পুনরায় আৰ্য শিক্ষা-দীক্ষার প্রতিপত্তি আরব্ধ হইবার পূর্বে ত্রিপুর-রাজগণ উক্ত চীন-প্ৰভাবান্বিত হালাম জাতির ভাষা হইতে অনেক সময়ে উপাধিগুলি গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। এইভাবে শক ও হুণ রাজারা তাহদের নিজেদের নামের সঙ্গে হিন্দু উপাধি গ্ৰহণ করিতেন ( ১২০ পৃঃ ) । এই ‘হালাম” ভাষার প্রচলন এত বেশী হইয়াছিল যে ধন্যমাণিক্য ( ১৪৬৩ খৃঃ-১৫১৩ খৃঃ) পৰ্য্যন্ত রাজত্বের প্রথম সময়ে বাঙ্গলা ভাষা বুঝিতে পারিতেন না। খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে ব্ৰাহ্মণ্য ধৰ্ম্মের পুনরুত্থানে, বৌদ্ধ প্রভাব এদেশ হইতে সম্পূর্ণ লোপ পাইবার পর, সংস্কৃত ও “সুভাষার” ( বাঙ্গলা ভাষার ) প্ৰচলন এতদ্দেশে বেশী হইয়াছিল। স্মরণাতীত কাল হইতে ত্রিপুরার পার্বত্য প্রদেশে বয়ন-শিল্পের প্রচলন আছে। পাছুড়ি, দুবেড়া, পরী ( আসন) প্ৰভৃতি বস্ত্ৰ প্ৰায় সমস্ত পাহাড়িয়া রমণীরাই প্ৰস্তুত করিতে পারেন। যুধিষ্ঠিরের সম-সাময়িক বলিয়া কথিত সুলোচন রাজা শিল্পের বিশেষ উৎসাহদাতা ছিলেন । তিনিই তাদেশে কার্পাস-বস্ত্রেব বেশী প্ৰচলন করিয়াছিলেন । ১৪১ স্থানীয় রাজা রাজ-সুৰ্য্যের ( আচঙ্গ ফা) মহিষী জয়ন্ত-রাজ-কুমারীই রাজ-পরিবারে বস্ত্ৰ-শিল্পের উৎকর্ষ সাধন করেন। তাহার পুত্রবধুও পরে এবিষয়ে খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন } সম্ভবতঃ জয়ন্ত-রাজ-কুমারী আচঙ্গ ফার মহিষীই ত্রিপুরার সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট বস্ত্ৰ "রিয়া”র উদ্ভাবন করেন। এই “রিয়া” প্ৰাচীন কালের, সুপ্ৰসিদ্ধ “কঁচুলী”, ইহাতে নানারূপ ফুল-লতা, পশুপক্ষী, মনুষ্য ও দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি সুত্রদ্বারা প্ৰস্তুত হইত। এই “রিয়া” শুধু রাজপরিবার ও ঠাকুর সাহেবদের গৃহলালনারাই প্ৰস্তুত করিয়া থাকেন ; ইহার ব্যবহারও তাহদের মধ্যেই আবদ্ধ। মসলিনের ন্যায় রিয়ার আদরও বঙ্গে সর্বজন-বিদিত। ত্রিপুরেশ্বরগণের অনেকেরই শিল্পের দিকে এতটা ঝোঁক ছিল যে শিল্পের পটুত্ব দেখিয়া তাহারা রমণীকুল হইতে মহিষী নিৰ্বাচন করিতেন। কথিত আছে, উদীয়মাণিক্য শিল্পকুশলী ২৪৩টি রমণী বিবাহ করিয়াছিলেন, ইহাদের প্রত্যেকেই বস্ত্রশিল্পে কৃতী ছিলেন ( ১৫৭২-৭৬ খৃঃ) । ত্রিপুর-রমণীগণ এখনও হাতের চরকা ছাড়েন নাই, ১৯২০ সনের সেন্সাসে দৃষ্ট হয়, পাৰ্বত্য-ত্রিপুরায় মোট ৩৪,৮৫৬ ঘর গৃহস্থ, তন্মধ্যে ৩১,৪৮৫ খানি তঁাত চলিয়াছে। বয়নশিল্পের সঙ্গে স্বর্ণ-খচিত গজদন্তের পাটীর জন্যও ত্রিপুর-বাসীরা DLD BDBBD DBDBD SS SDBDBBDBD DDDBBDSSLLLLSSLD gSS DBBD DDDB BBBDD কাৎস্য-বণিক্‌ আনিয়া ত্রিপুরায় কঁাস-পিতলের শিল্পের শ্ৰীবৃদ্ধি করিয়াছিলেন। ত্রিপুরা হালামাদের উপাধি । ਹਿ ਵਿਸ਼ |