পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`ა e 8სთ বৃহৎ বঙ্গ রাজ্যের পর্বত্য-প্রদেশে ও সমতল ক্ষেত্রের যেখানে সেখানে ধাতব ও প্ৰস্তরনিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। ত্রিপুরাব কোন কোন স্থানের প্রস্তরে ক্ষোদিত এবং পাহাড়ের গায় উৎকীর্ণ মুঠি খৃষ্ট জন্মিবার পূর্বের বলিয়া বোধ হয়। বিশেষ করিয়া উল্লেখযোগ্য উনকোটী তীর্থের উনকোটীশ্বর শিব। যে যুগে মনুষ্য-কল্পনা অতিকায় মূৰ্ত্তি ধারণা করিতে ভালবাসিত, এই মূৰ্ত্তি সেই যুগের। শত শত ভগ্ন ও অদ্ধভয় ক্ষোদিত অজ্ঞাত দেব-মূৰ্ত্তি-সস্কুল ধূসর পর্বতে উনকোটীশ্বর এখনও সমাধি আশ্রয় করিষা দাড়াইয়া আছেন। কৈলাসহর হইতে কাছাড়ের সীমা পৰ্য্যন্ত—উনকোটী তীর্থ-এই দেবতার অধিকার-ভুক্ত বলিয়া মনে হইতে পারে। এই মহামূৰ্ত্তি পৰ্ব্বত খুড়িয়া প্ৰস্তুত হইযাছিল, ইহার নিম্নভাগ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। মূৰ্ত্তির এক কান হইতে অপর কান পৰ্য্যন্ত ২১ ফুট এবং সমগ্ৰ মূৰ্ত্তিটি ১৮০ ফুট । গোফের একটা দিক ভগ্ন, অপর দিক দুই ফুট তিন ইঞ্চি । ত্রিপুরার একটি পল্লীতে আর একটি মহাকায় দেবমূৰ্ত্তি আছেন, ইনি মৃন্ময় এবং নির্দিষ্ট সময় পরে ইহাকে সংস্কার করা হয়— এই মূৰ্ত্তিও স্মরণাতীত কাল হইতে পুরিজত হইতেছেন । ইতিহাস পৰ্য্যালোচনা করিলে জানা যায়, মুসলমান ইতিহাস-লেখকেরা অনেক সময়েই সত্যের অপলাপ করিয়াছেন। রাজা বােব হাম্বীর ( বিষ্ণুপুবে ), রাজা চাদরায় ( গৌডদ্বারে ), ত্রিপুর, কোচবিহার ও আসামেব রাজারা মুসলমানাধিকাবেব অনেক কাল পৰ্য্যন্ত বঙ্গেশ্বরের সঙ্গে প্ৰতিদ্বন্দিতা করিয়া মধ্যে মধ্যে যুদ্ধে জয়ী হইয়াছেন। সোলেমান খাঁর শুষ্ঠালক সেনাপতি মমারক খাকে পূজক চন্তাই চতুর্দশ দেবতার নিকট বলি দিয়াছিলেন, একথা মুসলমান লেখকেরা গোপন কবিয গােযাছেন, অথচ রাজমালাব লেখকেবা তাহাদের পরাজয় গোপন করেন নাই। ধন্যমাণিক্য বহু যুদ্ধে হুসেন সাহের সৈন্য পরাভূত করিয়াছেন, কিন্তু পাঠানদেব আশ্রিত কবি শ্ৰীকরণ নন্দী লিখিয়াছেন, “ত্রিপুর-নৃপতি যার ডরে এডে দেশ । পৰ্ব্বত-গহবাবে গিয়া কবিল প্ৰবেশ।” এদিকে উদীয়মাণিক্যের সঙ্গে পাঠানদের যুদ্ধে ত্রিপুরসৈন্য গুরুতর ক্ষতি সহ-পূর্বক হারিয়া গিয়াছিল, রাজমালায় লিখিত হইযাছে-“পঞ্চ সহস্ৰ পাঠান পডিল এই রণে। চল্লিশ সহস্র পড়ে ত্রিপুরার গণে ৷”-- আমরা কোচবেহারের ইতিহাসেও মুসলমান লেখকদের এই পক্ষ-পাতিত্বের পরিচয় পাইয়াছি। হিন্দুদেব প্ৰাদেশিক ইতিহাসগুলি লুপ্ত হইয়াছে, এজন্য এইরূপ ক্ষেত্রে সত্যনিৰ্ণয় দুরূহ হইয়াছে। এক সময়ে ত্রিপুরবাজ্য উত্তর সীমানার পার্বত্য-প্ৰভাবে পড়িয়া-অনাৰ্য্য রীতিনীতি গ্ৰহণ করিয়াছিল, কিন্তু রাজারা ক্রমাগত নিম্ন ভূমে অভিযান করিয়া, কেহ কেহ ধিস্থিজযে প্ৰবৃত্ত হইয়া বাঙ্গালীদিগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা পাশে বদ্ধ হইয়াছেন। ধন্যমাণিক্যের পূর্বে ত্রিপুর-দেশ বাঙ্গালাদিগকে শক্ৰ বলিয়া গণ্য কারিত ; ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে বাঙ্গালীদিগকে বলি দেওয়া হইত। ধন্যমাণিক্য এই शिन्सू ७ भून्नव्मन झेडिशन-८ळथंद । बांटांकी ब्र नीच शनिछेड ।