পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y oʻR S বৃহৎ বঙ্গ নরনারায়ণ স্বয়ং সুপণ্ডিত ছিলেন এবং বিস্কার আদর করিতেন। তঁহার সভাপণ্ডিত পুরুষোত্তম বিদ্যাবাগীশ সংস্কৃতে ব্যাকরণ রচনা করেন এবং অমান্ত কন্দলী ভাগবত ও রামায়ণের পদ্যানুবাদ সঙ্কলন করেন। ইহার রাজত্বকালে শঙ্কর ও মাধবের সুললিত পদ রচিত হয়। নরনারায়ণের মৃত্যুর পর তৎপুত্ৰ লক্ষ্মীনারায়ণ রাজপদে অভিষিক্ত হন। ইনি ইন্দ্ৰিয়াসক্ত, সুদৰ্শন ও বহুস্ত্ৰীবল্লভ ছিলেন । কথিত আছে মুকুন্দ সাৰ্ব্বভৌম নামক এক መላግልግ†ጳfጓጓ-S qw ዓ- পণ্ডিতকে তাহার অবিমূৰ্য্যকারিতার জন্য রাজা অবমানিত করেন। 9&S এই ব্রাহ্মণ দিল্লী যাইয়া জাহাঙ্গীরকে উত্তেজিত করেন। মোগলদিগের সঙ্গে সংঘর্ষ উপস্থিত হইলে লক্ষ্মীনারায়ণ পরাজিত হইয়া দিল্লী যাইয়া সন্ধি কবিয আসেন। তঁহার এক কন্যাকে তিনি মানসিংহের সহিত বিবাহ দিয়াছিলেন । আকবরনামায় কথিত আছে যে মহারাজ লক্ষ্মীনারায়ণের ৪,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য, ২,০০,০০০ পদাতিক, ৭০০ হস্তী এবং ১,০০০ জাহাজ ছিল—তাহার রাজ্যের আয়তন দৈর্ঘ্যে ২০০ ক্রোশ এবং প্রস্থে ১০০ হইতে ৪০ ক্রোশ ছিল- উহা পূর্বে ব্ৰহ্মপুত্র, উত্তরে তিব্বত, দক্ষিণে ঘোড়াঘাট এবং পশ্চিমে ত্ৰিহুত পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল । মোগলদিগের সঙ্গে সন্ধি হওয়ার পরে নারায়ণী মুদ্রার অৰ্দ্ধেক মোগলানুগত্যের চিহ্ন থাকিবে, উভয় রাজত্বের সীমা বহাল থাকিবে এবং কেহ কাহারও রাজ্যে উপদ্রব করিতে পরিবেন না, এই স্থির হইয়াছিল। মহাবাজ নবনারায়ণ র্তাহার বাজ্যোব পূৰ্ব্বাংশ চিলা রায়ের সন্ততিদিগকে দিয়া গিয়াছিলেন। এই অংশেব রাজার সঙ্গে লক্ষ্মীনারায়ণের অসদ্ভাব হইযাছিল। ফলে মোগল সাহায্যে পূৰ্ব্ব কোচরাজ্যের রাজা পরীক্ষিৎকে লক্ষ্মীনারায়ণ পরাস্ত করেন এবং পরীক্ষিতের মৃত্যুর পর সেই অংশ মোগল সরকারের সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। কিন্তু কোচেরা বেশীদিন মোগলবশ্যতা স্বীকার করিল না। আকবরের সৈন্য সমস্তই তাহারা ধ্বংস করিল। পুনঃ পুনঃ জয়পরাজয়ের পরে ১৬৩৫ খৃঃ অব্দে মুসলমানেরা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হইল। কিন্তু ১৬৩৭ খৃঃ অব্দে তাহারা পুনরায় প্ৰবল হইয়া রাজা বলিনারায়ণকে পরাস্ত কারিয়া তাহাকে হত্যা করিল। পূৰ্ব্বাংশের রাজারা অহম রােজ্যাদিগের বশ্যতা স্বীকার করিয়াছিলেন, কিন্তু মুসলমানেরা অবশেষে বড় নদীর পশ্চিমের প্রদেশ অধিকার করিল। পরীক্ষিতের রাজ্য অহম্রাজদের অধিকারভুক্ত হইয়া গেল। মহারাজ লক্ষ্মীনারায়ণের সময়ে অহম্রাজ এবং ভুটিয়া-রাজ কোচবিহার-সাম্রাজ্য হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া স্বীয় স্বীয স্বাতন্ত্র্য স্থাপন করিয়াছিলেন । ১৬২১ খৃঃ অব্দে লক্ষ্মীনারায়ণের মৃত্যু ঘটিয়াছিল। তিনি মোট ৩৫ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। তৎপর লক্ষ্মীনারায়ণের পুত্র বীরনারায়ণ রাজা হইলেন, তখন কোচবিহারের সীমা অনেক সকুচিত হইয়াছিল। বায়াকত নেতারা স্বাধীন এবং মহারাজের অভিযেকোৎসবে ছত্রধরের কাজ করিতে অসম্মত, ভূটিয়ার রাজার আনুগত্য স্বীকার করিল না। মহারাজ বীরনারায়ণ আঠার-কোঠায় রাজধানী স্থাপন করিলেন এবং তঁহার রাজ-প্ৰাসাদের নাম দিলেন “মণ্ডপ আবাস” । তাহার রাজত্বকালে নারায়ণ ত্ৰৈলোক্যদর্শী নামক এক দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত কোচবিহারে MFgsg–»GRd die Re :