পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৮

Y oʻAV বৃহৎ বঙ্গ হইতে পারিল না, রতি শৰ্ম্ম কি কারণে-কাহার কথামত এই দুরূহ কৰ্ম্ম করিল। রাজবাড়ী হাহাকার ক্ৰন্দনের ধ্বনিতে পূর্ণিত হইল। কোন ভৃত্য রাজার মুণ্ড আনিয়া শরীরের নিকট রাখিল। ‘দেবাই” অর্থাৎ রাজমাতা নিমুণ্ডদেহ ক্রোড়ে ধারণ করিয়া ‘হা পুত্ৰ হা পুত্ৰ ঋলিয়া রোদন করিতে লাগিলেন। মহাবাজের কাটা যাওয়াব সংবাদ গৌরীনন্দন মুস্তাফি ও গৌবপ্রসাদ খাসনবিস শুনিয়া হতবুদ্ধি পাগলের ন্যায় হইয়া রাজবাটীতে উপস্থিত হইয়া আবি আব্ব মন্ত্রিবর্গ সাহিত শোকসাগরে মগ্ন হইয়া বোদন কবিতে লাগিলেন।” ষষ্ঠ বৎসব বয়স্ক বালক রাজাব এবংবিধ শোচনীয় মৃত্যুব কথা বলিয়া আমবা এইখানে কোচবিহাবের ইতিহাস শেষ কবিলাম। কাবণ এখন হইতে রাজত্ব সাহ আলম সমাটেৰ নিৰ্দেশ্য- অনুসারে মুসলমানেব হস্ত হইতে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির হাতে পড়িল ( ১৭৬৫ )। ইংরেজাধিকারের কথা আমাদেব বিষয়বহির্ভূত। সংক্ষেপে নিম্নে পরবর্তী রাজগণের একটা তালিকা দিতেছি মাত্ৰ :- মহারাজ ধৈৰ্য্যেন্দ্ৰনারায়ণ ১৭৬৫-১৭৮৩ খৃঃ | ( ইহাব মধ্যে কতক সময়ের জন্য রাজসিংহাসন ত্যাগ কবিয়াছিলেন এবং রাজা হইয়াছিলেন বাজেন্দ্রনারায়ণ ) মহারাজ হরেন্দ্রনারায়ণ। ১৭৮৩-১৮৩৯ খৃঃ ! মহারাজ দেবেন্দ্ৰনারায়ণ ১৮৩৯-১৮৪৭ খৃঃ | মহাবাজ নরেন্দ্ৰনারায়ণ। ১৮৩৯-১৮৬৩ খৃঃ { মহাবাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণ ১৮৬৩ খৃঃ [ =मन्वञ्प →झिCत्रञ्कून्। কাছাড় ( হেরম্ব ) আমরা ত্ৰিপুৰা, আসাম ও কোচবিহাবের ইতিহাস আলোচনা করিতে যাইয়া কাছাড রাজ্যের পুনঃ পুনঃ উল্লেখ করিযাছি ; এই বংশের রাজারা একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিপতি হইলেও এক সময়ে প্ৰবল ও পরাক্রান্ত ছিলেন। বৰ্ত্তমান কাছাড রাজ্য ইংরেজ গভর্নমেণ্ট খাস কবিয়া লইয়াছেন; ইহার আধুনিক আয়তন ৪,২০০ বৰ্গ মাইল। বৰ্ত্তমান নাগপৰ্ব্বতে কাছাড় রাজ-বংশের দুইটি প্ৰাচীন রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ দৃষ্ট হয় : দিমাপুর ও মাইবাং। দিমাপুর রাজধানীর বিশাল অট্টালিকার স্তৃপ দেখিলে বিস্মিত হইতে হয; ইহার রাজারা যে কিরূপ পরাক্রান্ত ছিলেন,- তাহা ঐ সকল কীৰ্ত্তি দেখিলে সহজেই অনুমিত হয়। এক সময়ে কাছাড় রাজ-বংশের পদমৰ্য্যাদা ও ক্ষমতা খুব বেশ ছিল। কাছাড়ের বৃদ্ধ নৃপ৩ি খখন ত্রিপুরাধিপতি ত্ৰিলোচনের । যুধিষ্ঠিরের সমসাময়িক ) সঙ্গে তাহার কন্যার বিবাহের প্রস্তাব করিয়া পাঠান, তখন ত্রিপুরেশ্বর নিজেকে অত্যন্ত সন্মানিত মনে করিয়াছিলেন। এই বিবাহের