পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-কাছাড় ( হেরম্ব ) o AA প্ৰস্তাবের কথা শুনিয়া “সৰ্ব্ব লোক পুলকিত কহে জনে জন। ত্রিপুরকুলের বৃদ্ধি হবে হেন দেখি” ( রাজমালা, ত্ৰিলোচন-খণ্ড )। এদিকে ত্রিপুরার লোকেরা এই বিবাহ ‘কুলক্রিয়া’ বলিয়া মনে করিয়াছিল। কাছাড়ের রাজা এই সম্বন্ধ দ্বারা স্বীয় অবস্থার উন্নতি করিতে চাহিয়াছিলেন,-ম্নেচ্ছ ও কোচদিগের আক্রমণে তিনি ব্যতিব্যস্ত হইয়াপড়িয়াছিলেন, বৃদ্ধ ও অপুত্ৰক রাজা ত্রিপুরেশ্বরেব সহায়তায় স্বীয় রাজ্যের বিলয়োম্মুখ ক্ষমতার পুনরুদ্ধার করিতে চাহিয়াছিলেন ; সুতরাং একদিকে ছিল ‘কুলক্রিয়া’ ও অপরদিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য । ইহা দ্বারা অনুমিত হয় কাছাড় রাজবংশের আভিজাত্যের গৌরব সেই সময়ে খুবই ছিল। কৈলাসচন্দ্ৰ সিংহ মহাশয় এই বিবাহ্যাদির কথা না বলিয়া লিখিয়াছেন“রাজ্যভ্ৰষ্ট নরপতিব জ্যেষ্ঠপুত্র কাছাড বাজোব স্থাপন কৰ্ত্তা, সেই নরপতির কনিষ্ঠপুত্র ত্রিপুরা রাজবংশের আদি-পিতা ।” অর্থাৎ ত্ৰিলোচনাদির অস্তিত্বই তিনি অস্বীকাব করেন এবং সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে এক রাজার দুই পুত্র, একজন ত্রিপুরা ও অপরটি কাছাড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। এই অনুমানের ভিত্তি কোথায় তাহা জানি না। পূর্বেই বলা হইযাছে, বৃদ্ধ কাছাড়রাজ আভিজাত্য-গৰ্ব্বিত, কিন্তু বর্বর জাতিদের আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন। ত্ৰিলোচনের সঙ্গে কন্যায় বিবাহ দিয়া তঁহার দ্বাদশ দ্ৰৌহিত্র হইয়াছিল,-“এই দ্বাদশ দৌহিত্রের মধ্যে সর্বজ্যেষ্ঠ দৃকপতিকে তিনি রাজ্যের উত্তবাধিকারী করিয়া গিয়াছিলেন। এই জ্যেষ্ঠপুত্রকে গ্ৰহণ করাতেও দৃষ্ট হয় যে তিনি মানসম্রামে নূ্যন ছিলেন না, তাহা না হইলে ত্রিপুর-রাজ কখনই তঁহার জ্যেষ্ঠপুত্রকে শ্বশুরালয়ে চিরদিন থাকিতে দিতে সম্মত হইতেন না। ত্রিপুর-রাজবংশ যেরূপ যযাতি-পুত্র দ্রুহী হইতে তাহদের বংশলতিকা টানিয়া দেখান,- কাছাড়া-রাজারা সেইরূপ ভীম-পুত্র ঘটোৎকচকেহ তীহাদের আদিপুরুষ বলিয়া নির্দেশ করিতেন। মণিপুরের রাজাবা অৰ্জ্জুন-পুত্ৰ বক্ৰবাহনকে তঁহাদের পূর্বপুরুষ বলিয়া কীৰ্ত্তন করেন। প্ৰাগজ্যোতিষপুরের রাজারা কৃষ্ণদ্বেষী নরকাসুরের বংশধর বলিয়া পরিচয় দিয়াছেন। সুতরাং পূৰ্বাঞ্চলের রাজারা মহাভারতের রাজন্যগণের শাখা উপশাখার সঙ্গে সংস্রবের দাবী করিয়া আপনাদিগকে গৌরান্বিত মনে করিয়াছেন । উত্তর-বঙ্গের কোন কোন স্থানে বিরাটের গোগৃহ প্ৰদৰ্শিত হইয়া থাকে। আমরা দেখাইয়াছি, ঢাকা জেলার উত্তরে ভাওয়ালের জঙ্গলে চেন্দিরাজ শিশুপালের গৃহাবশেষ এখনও গল্পনবিশগণ দেখাইয়া থাকেন। মহাভারত এদেশের কল্পনাকে এরূপ প্ৰবুদ্ধ করিয়াছিল যে সেই মহাপুরাণের উল্লিখিত বীরগণের সঙ্গে রক্তসম্বন্ধ স্থাপন করিতে পারিলে এদেশের রাজারা কৃতাৰ্থ হইতেন ! এ শুধু পূৰ্ব্বভারতের কথা নয়, কোন কালে আবু পাহাড়ে যজ্ঞ করিয়া শাক-জাতীয় কয়েকজন বীরকে ব্ৰাহ্মণের “অগ্নিকুল” নাম দিয়া প্ৰতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তঁহাদের বংশধরেরা এখন সূৰ্য্যবংশীয় ক্ষত্ৰিয়। এই দুইটি জ্যোতিষ্ক একটি উজ্জ্বল, অপরটি শীতল-আৰ্য্যাবর্তের রাজপুরুষদের পূর্ব-পুরুষ,-“এখনও পূর্ব ও পশ্চিমে উদয়ান্তের লীলা করিতেছেন ও মানুষের দাবীর স্পৰ্দ্ধা দেখিয়া হয়ত भश्ॉख्ॉब्राऊन दोब्रiciब्र সাহিত সম্বন্ধ ।