পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο Σ ο 8 বৃহৎ বঙ্গ যখন রামপাল গৌড়রাজ্যে ভীম-কৈবৰ্ত্ত ও তাহার দলবলের উচ্ছেদ সাধন করেন, তখন সম্ভবতঃ তঁহাদের অনেকে উড়িষ্যার দিকে অগ্রসর হইয়া পরবত্তী ২১ শতাব্দীর মধ্যে বলসঞ্চয়পূর্বক তমলুক অধিকার করিয়াছিলেন। সুপ্ৰসিদ্ধ ‘মেদিনীকোষ’ রচয়িতা মেদিনীকর ‘মেদিনীপুর’ প্ৰতিষ্ঠিত করেন। ইহার পিতা প্ৰাণকর নামক জনৈক রাজা এই অঞ্চল ত্ৰয়োদশ খৃষ্টাব্দের পূর্বভাগে শাসন করিতেন। শাস্ত্রী মহাশয়ের মতে মেদিনীকর ১২০০ হইতে ১৪৩১ খৃষ্টাব্দের মধ্যে কোন সময়ে তাহার কোষ-গ্ৰন্থ রচনা করেন। রাজা গণেশের সভাসদ বৃহস্পতি মতিলাল ১৪৩১ খৃষ্টাব্দে অমরকোষের যে টীকা প্ৰণয়ন করেন, তাহাতে মেদিনীকোষের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। যোগেশ বসু মহাশয় অনুমান করেন। ১২৩৮ খৃষ্টাব্দের পূর্বে মেদিনীকরের সময় নিরূপণ করা যাইতে পারে। কর বংশের একখানি তাম্রশাসনে দৃষ্ট হয়, ইহারা ভুবনেশ্বর অঞ্চল পৰ্যন্ত রাজত্ব বিস্তার করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ অনঙ্গভীমদেবের দ্বারাই এই কর বংশের ধ্বংস সাধিত হয়। “পণ্ডিত সোমনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিয়াছেন, করেরা বৈদ্য ।” ( যোগেশবাবুর ইতিহাস, ১২৮ পূঃ) । শাস্ত্রী মহাশয় ইহাদিগকে বৌদ্ধ বলিয়া মনে করেন এবং যোগেশবাবু ইহাদিগকে তাঙ্গুলী বলিয়া অনুমান করিয়াছেন, যেহেতু সেই অঞ্চলে “কর” উপাধিধারী অনেক তাঙ্গুলী দৃষ্ট হয়। আমার অনুমান, এই তিন মতই সত্য। করেরা প্ৰথমতঃ বৈদ্য ছিলেন, তৎপরে বৌদ্ধ হইয়া জাতিচু্যত হওয়ার দরুন শেষে তাম্বুলীদের সঙ্গে মিশিয়া গিয়াছিলেন। সাভারের হরিশ্চন্দ্র রাজারও ঠিক এই গতি হইয়াছিল ( ੨yo | ਹਬਲੋ ) | মেদিনীপুরের অন্যতম ইতিহাস-লেখক ত্ৰৈলোক্যনাথ পাল নারায়ণগড়ের রাজাদের विश्लूड छेङिशन श्विाgछन् । ५८झे ब्रास्त्रद९* »२१७ श्रूः ऊँ হইতে ১৮৮৩ খৃঃ অত্ব পৰ্য্যন্ত অবিচ্ছিন্নভাবে ২৬ পুরুষ রাজত্ব করিয়াছেন। ইহাদের প্রথম রাজা গন্ধৰ্ব্ব ১২৭৩ খৃঃ অব্দে এতদ্দেশের শাসনকৰ্ত্ত-স্বরূপ জগন্নাথ দেবের নাভিকুণ্ডস্থিত চন্দন দ্বারা খুরদার রাজা কর্তৃক অভিষিক্ত হইয়াছিলেন, তদবধি ইনি এবং ইহার বংশধরগণ “শ্ৰীচন্দন” উপাধি-লাঞ্ছিত । রাজা গন্ধৰ্ব্ব-শ্ৰীচন্দন পালের পুত্ৰ নারায়ণবল্লভ-শ্ৰীচন্দন পালের নামানুসারে এই স্থান নারায়ণগড় নামে অভিহিত হইয়াছে। রাজা গন্ধৰ্ব্ব , ব্ৰহ্মাণী দেবীকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ত্ৰৈলোক্যবাবু লিখিয়াছেন, “যে দিন। ভগবতী ব্ৰহ্মাণী মন্দিরে প্ৰতিষ্ঠিত হন, সেদিন মন্দিরাভ্যন্তরে যে ঘূত-প্ৰদীপ জ্বলিয়াছিল ৬২০ বৎসর সেই দীপ সমভাবে জলিয়া আলো দান করিয়াছে। এক মুহুর্তের জন্যও নির্বাপিত হয় নাই।” এই বংশের শেষ রাজা পৃথ্বী-বল্লাভের জীবনদীপ নির্বাণের সঙ্গে সঙ্গে বিগত ১২৯০ সালে ( ১৮৮৩ খৃঃ) সেই সুচির-প্ৰজ্বলিত দীপ-শিখা অকস্মাৎ নির্বাপিত হইয়াছে। রাজা গন্ধৰ্ব ১২৯৬ খৃঃ অব্দে পরলোক-গমন করেন, তদীয় মহারাজ্ঞী পুণ্যশীল মধুমঞ্জরী স্বামীর চিন্তানলে সহগামিনী হন। fs RK-57 °sso– > RA "SO -X SRM \y ;