পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গের প্রাদেশিক ইতিহাস-বন-বিষ্ণুপুর SY) dt প্রভাবে বিষ্ণুপুরে এই শিখা প্ৰজ্বলিত হয়। পূর্ণ দুই শতাব্দীকাল পৰ্যন্ত বিষ্ণুপুরের রাজসভাই বৈষ্ণব শিক্ষাদীক্ষার প্রধান কেন্দ্ৰস্বরূপ ছিল । গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হওয়ার পর বীর হাম্বির “চৈতন্য দাস” নাম গ্ৰহণ করিয়া কতকগুলি গীত রচনা করিয়াছিলেন; নরহরি চক্ৰবৰ্ত্তী তাহার ভক্তিরত্নাকরে তাহাদের কয়েকটি উদ্ধৃত করিয়াছেন। তিনি বৃন্দাবন তীর্থের এতটা অনুরক্ত হইয়াছিলেন যে, সেই তীর্থ সংক্রান্ত কতকগুলি নাম স্বীয় অধিকারে প্রচলিত করিয়াছিলেন। তিনি বিষ্ণুপুরের কয়েকটি দীঘির সেইরূপ নামকরণ করিয়াছিলেন যথা,-কালিন্দী, শ্যামকুণ্ড, রাধাকুণ্ড এবং কয়েকটি গ্রামের দ্বারকা, মথুরা প্ৰভৃতি নাম দিয়াছিলেন। শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যকে তাহার রাজ্যে চিরদিনের জন্য রাখিবার জন্য বিষ্ণুপুরের রঘুনাথ চক্ৰবৰ্ত্তীর কন্যার সহিত তাহার বিবাহ সংঘটন করিয়াছিলেন। তিনি কুরমান খা নামক মুসলমান সাধুকে নিজ রাজ্যে বাস করিবার জন্য নিষ্কর জমি দিয়াছিলেন এবং বৈষ্ণব ভক্ত বাবা আউল মনোহর দাসের জন্য ( দীনমণি চন্দ্ৰোদায়ের লেখক ) বদনগঞ্জ ও সোনামুখীতে দুইটি মঠ প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । বীর হাম্বিরের পুত্ৰ ধাড়ি হাম্বিরকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া তাহার ভ্রাতা রঘুনাথ সিংহ রাজসিংহাসন অধিকার করেন ( ১৬২৬ খৃঃ) । বীরসিংহ দ্বিতীয় আরাঞ্জেবের মত স্বীয় বংশের উচ্ছেদ সাধনে তৎপর ছিলেন (১৬৫৬-৮২ খৃঃ) । তিনি তঁাহার ভ্রাতা মাধব সিংহকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন। অপর ভ্ৰাতা ফতে সিংহ পলাইয়া যাইয়া রায়পুরে একটি ক্ষুদ্র’ রাজ্য স্থাপিত করেন। বীরসিংহ তাহার নিজ তিন পুত্রকেও হত্যার আদেশ দিয়াছিলেন, কিন্তু দুই পুত্র হত্যার পর জহিলাদের দয়াগুণে জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ নিস্কৃতি পান। কিন্তু রাজাকে জানান হয় যে, তাহার তিন কুমারকেই হত্যা করা হইয়াছে। তিনি অনেক ব্ৰহ্মোত্তর জািষ্ট আত্মসাৎ করিয়াছিলেন। এই নিষ্ঠুর কাৰ্য্যের প্রতিবাদ করাতেই মাধবসিংহ প্ৰাণ দিয়া প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়াছিলেন। তঁহ দুৰ্দান্ত শাসনে কাহারও কথা বলিবার সাধ্য ছিল না। প্ৰজাদিগকে তিনি প্রাচীরের মধ্যে DBBB DY BBBDBBDSS S DBDD BDDB BBB D gDLLDLL DD TuGDL পরাভূত করিয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া কাটিয়া ফেলিয়াছিলেন । কথিত আছে বৃদ্ধ বয়সে যখন তিন রাজকুমারকে হত্যা করার দরুন তঁাহার মনে ঘোর অনুতাপ হইয়াছিল, তখন তাহার কৰ্ম্মচারীরা মুক্তিপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ দুৰ্জন সিংহকে তঁাহার নিকট উপস্থিত করিলেন। রাজা আনন্দাশ্রতে অভিষিক্ত করিয়া জ্যেষ্ঠ পুত্রকে সিংহাসনে প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন । আরাঞ্জেবের সঙ্গে বীরসিংহের এই স্থানে একটু তফাৎ। আরাঞ্জোব র্তাহার দুস্কৃতির জন্য একদিনের জন্যও অনুতপ্ত হন নাই। রঘুনাথ সিংহ ( দ্বিতীয় ) মোগলদের পক্ষ অবলম্বনপূর্বক বিদ্রোহী শোভা সিংহ ও রহিম খাকে পরাস্ত করেন। শোভা সিংহের কন্যাকে তিনি পাটরাণী করেন এবং মুত রহিম খাঁর পত্নী লালবাইকে স্বীয় প্রাসাদে লইয়া আসেন। এই রমণী অনিন্দ্যসুন্দরী, সংগীতবিদ্যায় পারদর্শী ও মধুকণ্ঠী ছিলেন। রাজা ইহার অনুরাগে মজিয়া আত্মবিশ্বত