পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২০

ֆֆՀԵ* বৃহৎ বঙ্গ সময়ের সভ্যতার কোন নিদর্শন এখনও এখানে আবিষ্কৃত হয় নাই। তবে ইহার সন্নিকটে ২৪-পরগনা জিলার উত্তরাংশে। কতকগুলি খুব প্ৰাচীন পুরাকীৰ্ত্তির নিদর্শন বাহির হইয়াছে। উহাদের মধ্যে বেড়াচাপা ও জাক্রাগ্রামের খৃঃ পূঃ ১ম ও ২য় শতাব্দীর কয়েকটি Stealtitle Seal vs punch-marked coins উল্লেখযোগ্য (Descriptive List of Sculptures and Coins in the Museum of the Bangiya Sahitya Parisad-R. D. Banerjee, p. 18)। উক্ত বেড়াচাপা গ্রামে চন্দ্ৰকেতুর গড় ও বরাহমিহিরের বাটী নামে দুইটী ভূপ হইতেও বহু প্ৰাচীন ইষ্টক ও পোড়া মাটীর দ্রব্যাদি আবিষ্কৃত হইয়াছে। গভর্ণমেণ্টের প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের পূর্ব-চক্রের অধ্যক্ষ মহাশয় ঐ সকল নিদর্শন পরীক্ষা করিয়া এই স্থানটীকে “One of the earliest settlements in Lower Bengal' (first fits oftcar, (Annual Report, Archaeological Survey of India for l922-23, p. 109) ঐ সকল নিদর্শন ব্যতীত সুন্দরবন ও তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানে যে সমস্ত বেশী পুরাতন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হইয়াছে সেগুলি সমস্তই গুপ্তযুগের। তন্মধ্যে কালীঘাটে প্ৰাপ্ত গুপ্ত-মুদ্রা**K (British Museum Catalogue of Indian Coins-Allan, p. xvii), Sir জেলার ভরতভায়নার স্তৃপ (Annual Report, Archaeological Survey of India for 1991-22, p. 76), ও ২৪-পরগনার অন্তৰ্গত। জয়নগর থানার অধীন কাশীপুর ও সরিষাদহ গ্রামে প্ৰাপ্ত সূৰ্য্য ও নৃসিংহমূৰ্ত্তি ও মথুরাপুর থানার অধীন ১১৪ নম্বর লাট গোবিন্দপুর গ্রামের শিবমন্দিরের ভগ্নাবশেষ উল্লেখযোগ্য (The Antiquities of Khari and the Sundarbavns, Kalidas Datta, V. R. Society’s Monographs, Nos. 4 and 5) i এই সকল নিদর্শন হইতে বুঝা যায় যে গুপ্ত-রাজত্বকালেও বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী নিমবঙ্গ সমৃদ্ধ ছিল। এই যুগেই সম্রাট ২য় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে মহাকবি কালিদাসের আবির্ভাব 83 (Early History of India, V. S. Smith) fof রঘুবংশে রঘুর দিগ্বিজয় উপলক্ষে নিমবঙ্গের যে বিবরণ দিয়াছেন তাহাতে দেখা যায় যে ঐ সময়ে এদেশবাসিগণ নৌযুদ্ধে খুবই পারদর্শী ও পরাক্রমশালী ছিলেন। •व्न झाड्झुकोव्ल গুপ্তযুগের অবসানে বঙ্গদেশে মাৎস্তন্যায়ের ফলে পাল-রাজ্যের সৃষ্টি হয়। গোপালদেব এই রাজ্যের সংস্থাপক। তঁহার পুত্র ও পৌত্ৰ-ধৰ্ম্মপাল ও দেবপালের-রাজত্বকালই বাঙ্গলার ইতিহাসের গৌরবময় যুগ। দেবপালের মুঙ্গের ও নালন্দা তাম্রপট্টলিপির তৃতীয় শ্লোক পাঠে প্ৰতীয়মান হয় যে সম্ভবতঃ গোপালদেবের রাজত্বকালের প্রথমভাগেই এতদ্দেশ পালরাজ্যান্তৰ্গত হইয়াছিল। উক্ত শ্লোকে কথিত হইয়াছে যে পাল-নরপতি গোপাল বঙ্গদেশের মাৎস্তন্যায় দূরীভূত করিয়া সমুদ্ৰপৰ্য্যন্ত ধরণীমণ্ডল জয় করিয়াছিলেন। সে কারণে আর যুদ্ধোন্তমের প্রয়োজন নাই বলিয়া তাহার মদমত্ত রণকুজরগণকে বন্ধন হইতে মুক্তি দিয়াছিলেন ( গৌড়লেখমালা, অক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয়, * 8, Nalanda Copper-plate of Devapala,