পাতা:বৃহৎ বঙ্গ (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WNNR, বৃহৎ বঙ্গ মুসলমান নবাবদের অনেকেই খামখেয়ালী ছিলেন। বাঙ্গলাদেশ অপেক্ষা দিল্লীর অঞ্চলে সময়ে সময়ে দৌরাত্মাটা খুব প্রবলভাবে প্রচলিত ছিল। সম্রাট আলাউদ্দিন দুরন্ত পাগল ছিলেন, তাহার মস্তিষ্ক হইতে কত যে নূতন নূতন আইনকানুন উদ্ভাবিত হইত, তাহা কবির কল্পনায়ও আসে না । “সুলতান” ত্যাহার রাজধানীর প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা নিবাবণ করিয়া দিয়াছিলেন । তাহারা পবিত্সপরের গৃহে যাতায়াত করিতে পারিতেন না, পবস্পরকে নিমন্ত্রণ করিয়া খাওয়াইতে পারিতেন না । তঁহাদিগকে সভাসমিতি করিতে দেওয়া হইত না । রাজার অনুমতি ভিন্ন তাহাদের মধ্যে কোন বিবাহ হইতে পারিত না । র্তাহাবা স্বগৃহে কোন বিদেশী লোককে স্থান দিতে পারিতেন না। চারিদিকে এত গুপ্তচর ছিল যে তাহাবা পরস্পবের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত কহিতে ভয় পাইতেন । তঁহাদের মধ্যে ভাববিনিময়ের কোন সুযোগ ছিল না। যদি তাহাবা কোন হোটেলে বা সরাইতে একত্ৰ হইতেন, সেখানে তঁহাদের মুখব্যাদান কবিবােব ক্ষমতা ছিল না, পরস্পরের দুঃখেব কথা বলা অসম্ভব ছিল ( তারিকি ফিরোজ সাহী ) । যেখানে মুসলমান আমিরদেব উপরই এইরূপ আইন জারি হইত, সেখানে হিন্দুরা যে কি কষ্টে ছিলেন তাহ অনুমান করা যাইতে পারে। “হিন্দুবা বাড়ীতে ঘোড়া রাখিতে পারিত না, তাহদের ভাল কাপড় পরিতে দেওয়া হইত না-কোন বিলাস সম্ভোগ করিতে পারিত না। কোন হিন্দু মাথা উঁচু করিয়া রাস্তায্য হাটিতে পারিত না।--তাহাদের গৃহে সোণা-রূপার কোন সামগ্রী রাখিতে দেওয়া হইত না।” সুলতান মহম্মদ টোগলকের দৌরাত্ম্য একরূপ অকথ্য । এক সমযে ( ১৩৪২ খৃঃ) তিনি আদেশ করিলেন“তিন দিনের মধ্যে সমস্ত দিল্লীবাসীকে নগর ছাড়িয়া যাইতে হইবে। অবশ্য অনেকেই সমাটের ভয়ে দিল্লী ছাডিয়া দৌলতাবাদে পলাই যা গেলেন, কিন্তু কয়েকজন রহিয়া গেলেন-- র্তাহাবা লুকাইয়া গৃহ-মধ্যে রহিলেন। সম্রাট অতি কঠোরভাবে তাঁহাদেব সন্ধান লইতে লাগিলেন। সম্রাটের চরেরা একটি পঙ্গু ও একটি অন্ধকে রাস্তায় পাইয়া কুড়াইযা আনিল । সম্রাট সেই পঙ্গুটািকে প্রাসাদশিখর হইতে গুলি করিয়া মারলেন এবং অন্ধকে হেঁচড়াইতে হেঁচড়াইতে দিল্লী হইতে দৌলতাবাদে টানাইয়া আনিলেন। দিল্পী হইতে দৌলতাবাদ ৪০ দিনের পথ । এই সমস্ত রাস্তাটা অন্ধকে টানিয়া আনার ফলে তাহার অঙ্গপ্ৰত্যঙ্গ রাস্তায় কাটিয়া ছিডিয়া পডিতে পড়িতে চলিল। যখন দৌলতাবাদে এই লোকটার অবশিষ্ট অংশ আনা হইল, তখন দেখা গেল। হতভাগ্যের মাত্র একটি পা সেই নগরে পৌছিয়াছে। (ইবন यङ्ग्रेङ् ভ্ৰমণ)। তাইমুর দিল্লীতে হিন্দুদের উপর যেরূপ হত্যাকাণ্ড করিষাছিলেন, তাহা লোমহর্ষণ । “তিনি আদেশ করিলেন, যে মুসলমান যতগুলি হিন্দু বন্দী করিয়াছে, সেই সকল বন্দীর সকলটিকে সে আদেশমাত্র হত্যা করিবে, নতুবা তাহাকে হত্যা করা হইবে। ইসলামের বীরপুরুষেরা এই আদেশ শ্রবণমাত্র তাহদের খড়গ কোষ হইতে বাহির করিয়া সমস্ত বন্দীদের নিৰ্ম্মল করিল, একদিনে একলক্ষ কাফের নিহত হইয়াছিল। একটি আমির রাজসভায় তাহার পাণ্ডিত্য, চরিত্র ও দয়াদাক্ষিণা-গুণে সকলের আদৃত ছিলেন, তিনি জীবনে थांबाशी नभांड्रेश्राप्तंब्र & Syf5