পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা n/ه কলালক্ষ্মী যেন অতল জলধিতল হইতে র্তাহার প্রথম নিম্রামণের পদ-চিহ্ন সেখানে রাখিয়া BD DBD BBDBB BBB BBDBD DuDBD DBBB DD DBDB DDDDDS তাহার কতকগুলি প্রমাণ গ্রন্থভাগে ( ৪১৬-৫২, পৃঃ) প্রদত্ত হইয়াছে। বস্তুতঃ ভারতীয় জগৎপ্রসিদ্ধ শিল্প কেন্দ্রগুলির আদর্শ এখন পৰ্য্যন্ত বাঙ্গলায় রক্ষিত হইয়া আসিয়াছে। বঙ্গপত্নীতে আৰ্যসভ্যতার শেষ রেণু-কণা আমরা যে পরিমাণে কুড়াইয়া পাইয়াছি, আৰ্য্যাবর্তের অন্যত্র তাহা সুলভ নহে। এদেশের কুটির-শিল্পে আমরা মহেঞ্জোদারো, অজন্তা, অমরাবতী প্ৰভৃতি শিল্পকেন্দ্রের তীর্থ-রেণু প্রচুররূপে পাইতেছি। পাষাণের গায়ে, কাষ্ঠে, বস্ত্ৰে, তুলট কাগজে, তিরুট ও তালপত্রের পুথির মলাটে, উপাধানের আচ্ছাদনে, কঁথা— শিকা— আলপনামেঠাই – দেয়াল-চিত্রে, ঘটতে, বাটিতে, পালঙ্কে, পানের ডিবেতে, দেব-বিগ্ৰহে, কাঠের রথে সিংহাসনে, মন্দিরের পোড়া ইটে, মাদুর ও পাটীতে, হস্তিদন্তের ও ধাতব তৈজস-পত্রে, এমন কি বিছানা বাধিবার দড়ি, পুতির লাঠি, নারিকেলের মালায় রচিত নর-মুণ্ড, অস্ত্রের বঁাট, থলে আসন প্রভৃতি শত শত নিত্য-ব্যবহৃত দ্রব্যাদিতে চারুকলার যে সকল নিদর্শন পাইতেছি তাহা সুচিরাগত বৌদ্ধ শিল্পের ধর্মটি উজ্জ্বল করিয়া দেখাইতেছে। গত এক শত বৎসরের মধ্যে এই স্রোত মন্দীভূত হইয়া বিলুপ্ত হইবার আশঙ্কা জন্মাইতেছে। বাঙ্গলারশিল্প-কৃতিত্ব সম্বন্ধে আমরা পাঠকের দৃষ্টি এই পুস্তকের ২৩৫-৪৮, ৪৫৬-৫২ পৃষ্ঠার প্রতি আকৃষ্ট করিতেছি ; নানা কারণে আমরা অনুমান করিয়াছি, বাঙ্গলাদেশই মগধের প্রধান চিত্ৰ-শাল ছিল। শিল্পের আর একটি শাখাসম্বন্ধে এখানে উল্লেখ করিব। আমাদের দেশে পটুয়ারা নানারূপ পৌরাণিক উপাখ্যানের চিত্র আঁকিয়া এখন পৰ্যন্তও দূর পল্লীগ্রামে প্রদর্শন করিয়া থাকে। এসন্তু একটি উপাখ্যানের চিত্র কাগজে বা পত্রে অঙ্কিত হইয়া সুদীর্ঘ মানচিত্রের মত জড়ান থাকে এবং তা হাতে সেই বিষয়ের প্রধান প্রধান ঘটনাগুলি এরূপ সুসম্বদ্ধভাবে পর পর প্রদর্শিত হয় যে, পটুয়ারা যখন এক একটি দৃশ্য দেখাইয়া তৎসম্পর্কিত পয়ার আবৃত্তি করিয়া যায়, তখন দর্শক ও শ্ৰোতারা সমস্ত গল্পটি কৰিত্বের ভাষায় ও মনোরম চিত্ৰ-সাহায্যে উপভোগ করিবার সুবিধা পান। এই চিত্ৰপট-প্রদর্শনের রীতিটা বিক্রমপুরে “পট নাচানো” নামে পরিচিত। বঙ্গের কোন কোন স্থানে এই শ্রেণীর পটুয়াদিগকে “পটিদার” বলে। এই রীতিটি খৃষ্ট-জন্মের বহপূর্ব হইতে এদেশে প্রচলিত। বৌদ্ধগণ এইরূপ চিত্র দ্বারা জাতকের গল্পগুলি সাধারণের মধ্যে প্রচার করিতেন-ইহাদিগকে প্রাচীন কালে “মঙ্করী’ বলিত এবং চিত্রগুলিকে কখনও কখনও "যমপট বলা হইত, যেহেতু চিত্রের উপসংহারে ধৰ্ম্মরাজের সভা ও পাপের দণ্ড প্রদর্শিত হইত। শেষোক্ত প্ৰথাটা এখন পৰ্যন্তও বিদ্যমান। মুম্বারাক্ষস প্রকৃতি নাটকে এইরূপ চিত্র-প্রদর্শনের উল্লেখ আছে। বৌদ্ধদিগের অনুকরণে খৃষ্টানেরাও এইরূপ চিত্র দেখাইয়া তাহদের ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেন, রোমে ভ্যাটিকানে বৃষ্টিীয় প্রথম ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে 'পেপিয়াস’ (Papyrus) পত্রে অঙ্কিত এইরূপ কয়েকখানি ছবি আছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই প্রাচীন ধারাটি সেদিন পৰ্যন্তও বাদামী চিত্রকারেরা রক্ষণ করিয়া আসিয়াছিল। মস্কয়ী ।