পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e বৃহৎ বঙ্গ জন্মভূমির নামানুসারে অভিহিত করিয়াছিলেন ; সেই নাম কালে কালে পরিবৰ্ত্তিত হইয়া “লাড়” নামে পরিচিত হইয়াছিল। এই লাড় এবং আমাদের “রাঢ়” বা "লাঢ়” নিশ্চয়ই একশব্দ । সিংহপুর বঙ্গ-মগধের মধ্যবৰ্ত্তী লাল-রাটুঠ ( সংস্কৃত লাঢ়রাষ্ট ) নামক স্থানে অবস্থিত । জৈনদিগের প্রাকৃত গ্ৰন্থসমূহে এই দেশ “লাঢ়,” প্ৰবোধচন্দ্রোদিয়ে “রাঢ়” এবং মীনহাজ কর্তৃক “রাল” নামে উক্ত হইয়াছে। কতকগুলি প্ৰাচীন লিপিতে সিঙ্গপুর বা সিংহপুরের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। ঐ সকল লিপিতে এই স্থান কলিঙ্গের অন্তবৰ্ত্তী বলিয়া উল্লিখিত আছে। বঙ্গদেশের বম্মবংশীয় রাজারা এই সিংহলের অধিবাসী বলিয়া দাবী করিয়াছেন । সিংহলরাজ1াজে। নিয়ঙ্কমণ ( অনুমান ১২০০ গু: ) সিংহপুরের রাজাদের বংশে উদ্ভূত এবং তিনি সিংহলরাজ্য-স্থাপয়িত বিজয়ের বংশধর বলিয়া নিজের পরিচযা দিয়াছেন । সিংহপুর দক্ষিণরাঢ়ে অবস্থিত। ঐ নগর বিজয়ের পরে কলিঙ্গ-সামাজ্যভূক্ত হইয়াগিয়াছিল। মিঃ নন্দলাল দে এই সিংহপুরকে হুগলী জেলার বর্তমান সিঙ্গুর বলিয়া সপ্রমাণ করিয়াছেন।” নগেন্দ্ৰনাথ বসু, অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় পভৃতি বাঙ্গলার পণ্ডিতগণ প্ৰায় সকলেই এই মত প্ৰকাশ করিয়াছেন । ৬ই একটি কথা এখনও সৰ্ব্বব্যাদি সম্মত সিদ্ধান্তরূপে গৃহীত হয় নাই। বাঙ্গালী গুজরাটে উপনিবেশ-স্থাপনপূর্বক উক্ত দেশের একাংশকে “রাঢ়” নাম দিয়াছিলেন, সহিদুল্লা সাহেবের এই সিদ্ধান্ত সম্ভবপর হইতে পারে যতদূর জানি তিনিই এই মতের প্রথম প্রচারক । বাঙ্গালী কর্তৃক 'গুজরাটে উপনিবেশ-স্থাপনের একটা প্ৰাচীন সংস্কার এ দেশে ছিল, তাহা আমরা অবগত আছি। কবিকঙ্কণের চণ্ডীকাব্যে কালকেতুর গুজরাটে রাজ্য-স্থাপনের একটা গল্প আছে। এই গল্পটি অন্নদামঙ্গলের বিদ্যাসুন্দরে গুণবন্ধু রাজার পুত্র সুন্দরের এবং বদ্ধমানরাজ বীরসিংহের কন্যা বিদ্যার গল্পের ন্যায় নহে। পূৰ্ববৰ্ত্তী বিদ্যাসুন্দর-লেখকগণ—যথা, কবিকঙ্কণ ও রাম প্ৰসাদ -- এই গল্পের স্থান-নির্দেশ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে করিয়াছেন । কিন্তু কবিকঙ্কণ যেমন গুজরাটে উপনিবেশের কথা লিখিয়াছেন, মাধবাচাৰ্য্য এবং তৎপূর্ববৰ্ত্তী অপরাপর চণ্ডীকাব্য-লেখকগণও সেই গুজরাটেরই উল্লেখ করিয়াছেন । সুতরাং প্রাচীন কাল হইতে এই সংঙ্গার (এ দেশে চলিয়া আসিয়াছে। গুজরাট বঙ্গদেশের কাছে নহে, অথচ প্ৰাচীন কাল হইতে বাঙ্গালীর গুজরাটে উপনিবেশ-সম্বন্ধে একটা গল্পকথা প্ৰচলিত আছে, তাহার অনেকাংশ মিথ্যা ও অবিশ্বাস্ত হইলেও মূলে কোন একটা ঐতিহাসিক ঘটনার অপুর ছিল বলিয়াই মনে হয়। প্রেসিডেন্সী কলেজের ভূতপূর্ব অধ্যাপক স্বৰ্গীয় মিঃ জে. এন. দাসগুপ্ত “মিরাট আহমদি” ন মক একখানি পুস্তকের উল্লেখ করিয়া দেখাইয়াছেন যে, শুধু কবিকঙ্কণ নহেন, উক্ত পুস্তকের মুসলমান লেখকও একটা অনুরূপ sis fittcke frt's fift Cyn, “The coincidence between the Hindu poet (Kavikankan) And the Mohammedan historian (author of Mirat Ahmadi) would suggest that a traditional account of the foundation