পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৭

বিজয় কর্তৃক লঙ্কা অধিকার ዓS of (iujrat was long prevalent in Hindustan." (Bengal in the Sixteenth Century, p. 1718.) এই দুইটাই উপগয় এবং ইহাদের মধ্যে হয়ত এইটুকু সত্য ষে হিন্দুস্থানের সর্বত্র একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিল নে, বিদেশীরা গুজরাটের কতকাংশে উপনিবেশ স্থাপন করিয়া অল্পকালের জন্য তথায় রাজত্ব করিয়াছিলেন । বাঙ্গালীর গুজরাটકાનૂન જીબરિક મscવ શ્રાવ ૬ કેિ જમાન ન છપ િિછ, થાથી નેિ થીજ ऐछए°१त्रफीशू নহে । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালঘের অঙ্কশাস্ত্ৰেব ভূতপূৰ্ব্ব অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত षिड्रङिভূষণ দত্ত, এম. এ. পি. আর. এস.) ডি. এস.সি. মহাশ'। 'স্প্ৰতি আমাকে লিখিয়া سد. = }ه جا ماه “ ১৯১৯ সালে আমি গুজরাটের অন্তর্গত কাথিয়ারে ভ্ৰমণ করিতেছিলাম এবং ১৯২১ সালে আমি মধ্যপ্ৰদেশ ও মিরাটে কিছু কালের জন্য অবস্থান করিয়াছিলাম । কাথিয়ারে ওয়াদ্ধান নামক স্থানে আমি " উদীচ্য যুবক মণ্ডলীর ” সঙ্গে ছিলাম। ইহারা ব্ৰাহ্মণ এবং ‘’ উদীচ্য গৌড় ব্রাহ্মণ ” বলিয়া নিজেদের পরিচযা দিয়া থাকেন । ইহারা বলেন যে, বহু কাল পূর্বে এলাহাবাদৃেঢ়নিকটবর্তী কোন স্থান হইতে ইহারা তথায় আসিয়াছেন। এই গুজরাটবাসী ব্ৰাহ্মণের 'গৌ৬ ব্রাহ্মণ ” এবং যখন এলাহাবাদের নিকট কোন স্থান ইহাদের আদিম দেশ, ৩খন আমি গুহাদিগকে আমাদের বাঙ্গলার গৌড়ের অধিবাসী বলিয়াই অনুমান করিলাম। মিরাট সহর হইতে ৯ মাইল দরবন্ত্রী খারখোদা নামক স্থানে আমি স্বামী সোমতীর্থ মঠে দায্যের আশ্যমে বাস করিযাছিলাম। তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন যে, তাহারা ‘ তাগা-ব্ৰাহ্মণ ” এবং "ঠাতাদের প্রাচীন কুলুজীগ্রন্থ-অনুসারে তাহারা “ গৌড় বাঙ্গলা৷ ” হই৩ে আসিয়া তাদেশে বাস করিতেছেন । এইরূপ ‘ গৌড় ব্ৰাহ্মণ ” “আৰ্য্যাবর্তের উস্তুব-পশ্চিমে আরও অনেক স্থানে আছেন । আমার মনে হয়, প্ৰাচীনকালে বাঙ্গল দেশ হইতে অনেক ব্ৰাহ্মণ ঐ সকল অঞ্চলে গিয়া উপনিবিষ্ট হইয়াছিলেন । মিরাট ও তাহার নিকটবর্তী পুলিন্দসহ রাদ জেলাতে প্ৰায় চার লক্ষ “ গৌড় ব্ৰাহ্মণ ” বাস করেন; ইহারা নিজেই যখন গৌড় বাঙ্গল হইতে আসিয়াছেন বলেন, তখন তাঙ্গারা যে বাঙ্গালী সেই সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই ৷ ” বাঙ্গালীর সঙ্গে সিংহলের সংস্রব বহু পূৰ্ব্ব হইতে এ দেশে চলিয়া আসিয়াছে। শুধু ধনপতি সদাগর ও শ্ৰীমন্ত সদাগর নহে, বাঙ্গলার যে কোন বণিক বাণিজ্যে যাইবেনতঁহাকে সফর করিতে সিংহলে যাহতেই হইবে । বঙ্গীয় বহু প্ৰাচীন কাব্যে এ দেশের বণিকদের সিংহলে যাতায়াতের কথা উল্লিখিত আছে। এতদ্বারা বাঙ্গলার সঙ্গে সিংহলের একটা ব্যাপক সম্পর্ক প্ৰতিপন্ন হয় এবং সিংহলে বাঙ্গালীর যে একটা স্থায়ী রকমের আডড ছিল--এই সকল কাহিনী তাহার অপরোক্ষ ইঙ্গিত বলিয়া গ্ৰহণ করা যায়। বস্তুতঃ বাঙ্গালী জাবা, বালী, সুমাত্রা, কম্বোডিয়া, শ্যাম, জাপান ও চীন প্ৰভৃতি বহু স্থানে সেই ইতিহাস-পূৰ্ব্বযুগে উপনিবেশ স্থাপন করিয়া কীৰ্ত্তি অর্জন করিয়াছিলেন। কিন্তু বিজয়ের এই কীৰ্ত্তি সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । অজন্তার বিশ্ববিশ্রুত চিত্রাবলির মধ্যে সিংহল দেশে বিজয়ের অভিযান