পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У o 8 বৃহৎ বঙ্গ “যদি আপনি এই সকল প্ৰশ্ন-সম্বন্ধে আমাকে সম্যক রূপে অবহিত করিতে পারেন, তবে আমি আপনার কাছে থাকিব, নতুবা এখানে কষায় ফলমূল খাইয়া বন-ভ্রমণের কোন স্বার্থকতাই তো আমি দেখিতে পাই না।” বুদ্ধদেব বললেন, “আমি তোমাকে ডাকিয়া গৃহ হইতে এখানে আনি নাই। তুমি সংসারজালায় জ্বলিয়া পুড়িযা শান্তি খুজিতেছিলে এবং সেই শান্তির জন্য আমার নিকট ‘আসিয়াছিলে । আমি তোমাকে সেই মহাশান্তি লাভের একমাত্র উপায় অষ্টমার্গ নির্দেশ করিয়া দিয়াছি। তুমি ব্যস্ত হইলে চলিবে না, যদি তুমি আমার উপদেশের বশবৰ্ত্তী না হও, তবে অনায়াসে চলিয়া যাইতে পার । “ দেখ, যেন এক জনকে কেহ বাণ মারিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিয়াছে,-অপর এক ব্যক্তি তাহার হৃদয় হইতে বাণটি তুলিবার জন্য অগ্রসর হইয়াছে, তখন যদি সে বলে “আগে বল, এই বাণটি উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম বা দক্ষিণ-কোন দিক হইতে আসিয়াছে, তবে আমি তোমাকে উহা তুলিতে দিব ; আগে বল, উহা কি কোন ব্যাধ, ক্ষত্ৰিয় বা বৈশ্যের হাত ঠাইতে নিক্ষিপ্ত হইয়াছে, তবে তোমাকে উহা তুলিতে দিব।” তোমার প্রশ্ন কি সেই শব্রাহত অবোধ ব্যক্তির মত নহে ? SsSLBLL LDS SSBSStDSDD KEK DBDD LL K DBOBDDuBDBS BDD DLDSBS S LDDDD উপায়স্বরূপ এই অষ্টমার্গ দেখাইযা দিয়াছি ! এই সকল পন্থা অনুসরণ করিলে তুমি স্বয়ং সত্য দর্শন করিবে, তুমি যাহা খাহা জিজ্ঞাসা করিয়াছ—তাতাদের উত্তর তুমি হাতে হাতে পাইবে। সত্যের সহিত সাক্ষাৎকার হইলে তুমি দ্বিধাশূন্য হইয়া সকলই চক্ষুষ দেখিতে পাইবে । কিন্তু এখন আমি যদি ঐ সকল প্রশ্নের এক একটি উত্তর বলিয়া দিই এবং তুমি অন্যত্র গমন করিয়া তোমা অপেক্ষা বিজ্ঞ বা প্ৰবীণ লোকের সঙ্গ লাভ কর, তখন তোমার মত গুলি বলিলে তিনি হয়ত অধিকতর যুক্তি ও পাণ্ডিত্যবলে সেগুলি খণ্ডন করিয়া অন্য মত স্থাপন করিবেন, তুমি তখন তাহার উত্তর দিতে পরিবে না। এবং ভাবিবে যে আচাৰ্য্য তোমাকে ভুল শিক্ষা দিয়াছিলেন । কিন্তু যদি তুমি অষ্টমার্গ অবলম্বন করিয়া সাধনার পপে স্বয়ং অগ্রসর হও এবং তোমার কামনা নিরস্ত হইয়া যায়, তখন তুমি তোমার তপোনিৰ্ম্মল চক্ষে সমস্ত আধ্যাত্মিক প্রশ্নের উত্তর নিজেই পাইবে । তখন তোমাকে সহ সুবার অন্যরূপ বুঝাইলেও কেহ তোমার বিশ্বাস টলাইতে পরিবে না | তুমি যদি এক সা ঘোড়া তোমার সম্মুখে দেখ, তবে যদি খুব পণ্ডিত ব্যক্তিও তোমাকে বুঝাইতে চেষ্টা করেন যে সেই জীবটা উট, তথাপি তুমি তাহার মত কিছুতেই গ্ৰহণ করিবে না।” বুদ্ধ সমস্ত জগৎকে নীতিমার্গের সহজপথ দেখাইয়া দিয়াছিলেন, অধ্যাত্মরাজ্যের জটিল পথ পরিহার করিয়াছিলেন । তিনি জানিতেন সুনীতির পথ অবলম্বন করিয়া লোক সত্য লাভ করিতে পারে। নতুবা অধ্যাত্মরাজ্যের কথা কেবল কুটতর্ক ও সুক্ষ্মবুদ্ধির লীলাক্ষেত্র হইয়া পক্ষে। ঋষির মত দ্রষ্টা হইতে পারিলে অধ্যাত্মরাজ্যের সমস্ত তত্ত্ব প্রত্যক্ষ হয়, নতুবা বুদ্ধের উপদেশ।