পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 9 বৃহৎ বজা BBSYDO ELOLL DBDBLDB i DLDBTD DDSS SDBD BDuDD DDB DBLDB BDBDBS BDBB CB BDBBDB BDB BDBDBD DB DBBDB DBS DBBDBD DBDDB BBD DDSDD DD u DDSSS চণ্ডালের মতই ব্ৰাহ্মণও মায়ের পেট হইতে পড়ে। যখন মরে তখন অন্য জাতির মত তাহার শবও অশুচি হয় ; এ বিষয়ে কোন ভেদ দেখা যায় না। ব্ৰাহ্মণের মাংস খাওয়ার লোভে ভয়ানক নিষ্ঠুর যজ্ঞ করে। তাহারা বলে-ছাগল ইত্যাদি পশুকে মন্ত্রদ্বারা পবিত্র করিয়া যজ্ঞে বধ করিলে স্বৰ্গে যায়। যদি স্বৰ্গে যাওয়ার পথ ইহাই হয়, তবে তাহাদেৱ বাপ মা ভগিনীদিগকেই কেন সেই উত্তম পথেই স্বৰ্গে পাঠাইয়া দেয় না ? ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, বৈশুখ, শূদ্র এ সকল নামে মাত্র, এগুলিতে কোনও বিশেষ ভেদ বুঝায় না ; সমস্ত মানুষেরই পা, উরু, নখ, পার্শ্ব, পৃষ্ঠ প্রভৃতি অঙ্গগুলি ঠিকই এক রকম, কোনও কিছুতে এতটুকুও ভেদ নাই। সেজন্য চারিট আলাদা আলাদা শ্রেণী থাকিতে পারে না । ছেলেরা পথে খেলিতে খেলিতে খানিকটা ধূলা জড় করিয়া উহাকে ভাগ ভাগ করিয়া রাখিয়া বলে এই রহিল জল, এই দুধ, এই দই, এই মাংস, এই ঘি ইত্যাদি। কিন্তু তাই বলিয়া ধূলিরাশি এই সকল জিনিষের কোন একটাও হয় না । তেমনি ব্ৰাহ্মণ ইত্যাদি কতকগুলি নাম মাত্র, উহারা বিভিন্ন জিনিষ নয়। জন্তুদের মধ্যে-গরু, ঘোড়া ইত্যাদির মধ্যে আকৃতির ভেদ আছে। সেই জন্য গরু একটা জাতি, ঘোড়া আর একটা জাতি এবং আর আর জন্তু আর এক এক জাতি । তেমনি আম, জাম, খেজুর BDLL SDL DSDDDS SDD uBB g BBDBO 0DBD BDDSD BBB D B উহারা ভিন্ন জাতের হইতে পারে না । বলা হয় যে, ব্ৰাহ্মণের দেবতা হয়, ক্ষত্ৰিয়েরা হয় যক্ষ, বৈশ্যেরা হয় নাগ ও শূদ্রেরা হয় অসুর। যদি তাই হইত, যদি শ্রুতির এই কথা সত্য হইত ষে ব্ৰাহ্মণ হইতেই ব্ৰাহ্মণ ও বৈশ্য হইতেই বৈশ্য হয়, তাহা হইলে তাহদের জন্য বিশেষ কোনও চিহ্ন থাকিত । চারিটা বর্ণের সকলেই নিজ নিজ কৰ্ম্ম-ফলে স্বৰ্গলাভ করিতে পারে, জাতিবিশেষের কোনই বাধা সে বিষয়ে নাই। সেই জন্য জাতিগত কোনও বিশেষ ভেদও নিশ্চয়ই নাই। মানুষের মধ্যে যাহারা জমি চযে, বীজ বোনে, শস্ত জন্মায় তাহাদিগকে ক্ষত্ৰিয় বলে। যাহারা বিবাহ না করিয়া বনে গিয়া ঘাস-পাতার ঘর বানাইয়া ধ্যানে দিন কাটায় তাহাদিগকে ব্ৰাহ্মণ বলে। ব্ৰাহ্মণদের মধ্যে যাহারা গ্রামে থাকে ও মন্ত্র শিক্ষা দেয়, তাহাদিগকে অধ্যাপক বলে। যাহারা লাভের আশায় এটা-সেটা কাজ করে তাহাদিগকে শূদ্র বলে। যাহারা বৃথা বা হাতী চালনার কাজ লয় তাহাদিগকে মাতঙ্গী বলে। যাহারা চাষ করে তাহদের নাম চাস । যাহারা বাণিজ্য করে তাহদের নাম বণিক। যাহারা গৃহত্যাগ করিয়া সন্ন্যাস লয় তাহাদিগকে প্ৰব্ৰাজক বলে। যাহারা সৎ আচরণী-দ্বারা প্ৰজা রঞ্জন করে তাহাদিগকে বলে রাজা। ইহাদের কোনটাতেই জন্মগত বিশেষত্ব নাই।” ইং হরিজন, ७० १९] |

  • রাজেন্দ্রলাল মিত্রের লিখিত এই বিষয়টি সম্প্রতি শ্ৰীমুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় হরিজন পত্রিকায় উদ্ধৃত করিয়া একটি প্ৰবন্ধ লিখিয়াছেন এবং বাং ১৩৪০ সনের ২৯শে ভান্দ্রের