পাতা:বৃহৎ বঙ্গ - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যা ও বিদ্বানের গৌরব دهد প্ৰতিশোধ লইয়াছিলেন। ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম ভারতে ব্ৰাহ্মণদের বলবৃদ্ধি হইতেছিল, অন্ধরাজগণও ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের পুনঃসমূথানের পরিপোষক হইয়া দীর্ঘকাল রাজত্ব করিয়াছিলেন। এদিকে বৃহৎবঙ্গে পালরাজাদের সময়ে বৌদ্ধ-হাওয়া পুনরায় সৰোগে প্রবাহিত বৌদ্ধ কুল-প্ৰদীপ।। হইতেছিল। তিব্বতের রাজা লা লামা ইয়েসি, ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মের নেতা গারোয়ালের রাজার হস্তে উৎপীড়িত হইয়া প্ৰাণ হারাইয়াছিলেন। এদিকে পালরাজাদের সময়ে নালন্দা, ওদন্তপুর, বিক্রমশিলা প্রভৃতি বহু বৌদ্ধবিহারজ্ঞান ও বিদ্যার প্রখর রশ্মি বিতরণ করিয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মকে জয়যুক্ত করিয়াছিল। পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা তাহার বিস্তারিত বিবরণ প্ৰদান করিব । পালরাজগণ, বিশেষ করিয়া শেষের দিকের পালবংশের কতিপয় রাজা, প্ৰকৃত যোগ্য ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিতের প্রতি সশ্রদ্ধ থাকিলেও তঁহারা বৌদ্ধধৰ্ম্মেরই পরিপোষক ছিলেন। আৰ্য্যাবর্তের ও দক্ষিণাপথের গোড়া ব্ৰাহ্মণের দল এদেশকে অভিশপ্ত মনে করিয়া ত্যাগ করিলেন। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে-এখানে জনসাধারণ অতি পূৰ্ব্বকাল হইতেই ব্ৰাহ্মণ্য-বিরোধী ছিল এবং এদেশ বৌদ্ধ ও জৈনধৰ্ম্মের প্রধান কেন্দ্র ছিল, সুতরাং যদিও কপিল মুনির আশ্রম এবং প্রাচীন শৈবধৰ্ম্মসংক্রান্ত অনেক তীর্থ এখানে বিরাজ কারিত-তথাপি পালাধিকারে নৰেখিত ব্ৰাহ্মণগণ এই দেশকে ব্ৰাহ্মণদিগের বাসের অধোগ্য মনে করিয়া এদেশের সঙ্গে সমস্ত হিন্দু সমাজের সম্বন্ধ ত্যাগ করাইতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। অপেক্ষাকৃত আধুনিক সময়ে রাঢ় অঞ্চলের ব্ৰাহ্মণের ষ্যেরূপ পূর্ববঙ্গের কোন কোন স্থানে বৌদ্ধপ্রাধান্ত দেখিয়া পদ্মা ও বুড়িগঙ্গাকে গঙ্গার শাখা বলিয়া স্বীকার করিতে কুষ্ঠিত এবং ভগীরথী-খাত খালের গৌরব বাড়াইয়া ঐ দুইটি বৃহৎ নদীর জাতি মারিয়াছেন, তেমনই করিয়া পালাধিকারে ভারতের নবসৃষ্ট ব্ৰাহ্মণ্য-শাসিত হিন্দুসমাজ বঙ্গ ও অপরাপর বৌদ্ধাধিকৃত স্থানসমূহ তাহদের গণ্ডী হইতে বর্জন করিলেন। ফলে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সৌরাষ্ট্র ও মগধ বজ্জিত হইল। তীর্থযাত্রা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এই সকল দেশ আসিলে হিন্দুর প্রায়শ্চিত্ত করিতে হইবে-এই বিধি প্রচারিত হইল। সমুদ্রযাত্রা নিষেধ এবং ভারতের বড় বড় বাণিজ্য-কোন্ত্রের বর্জন দ্বারা ভারতবর্ষ হইতে বাণিজ্যলক্ষ্মী একরূপ বিতাড়িত হইলেন। সামাজিক এই গুরুতর পরিবর্তনের ফলে এই দেশ ব্ৰাহ্মণ-বিচুত হইয়া পড়িয়াছিল। আমরা এই পুস্তকের ৭১ পৃষ্ঠায় দেখাইয়াছি ষে এদেশ হইতে লক্ষ লক্ষ ব্ৰাহ্মণ গুজরাট প্রভৃতি প্রদেশের হিন্দু কেন্দ্ৰে আশ্রয় লইয়া জাতিরক্ষা করিয়াছিলেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব অধ্যাপক শ্ৰীযুক্ত বিভূতিভূষণ দত্ত, এম, এ, { གག་འགགས་གསལ་། পি. আর. এস. মহাশয় তাহার সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়াছেন। ৮৮ পৃষ্ঠায় সিংহল-প্রবাসী শ্ৰীযুক্ত জগদীশ্বরমের একটি প্ৰবন্ধের কতকাংশ উদ্ভূত হইয়াছে -ঐ প্ৰবন্ধটি কলিকাতা রিভিউ পত্রিকায় প্ৰকাশিত হইয়াছিল। তাহাতে অতি স্পষ্ট ভাৰে উল্লিখিত আছে-দক্ষিণাপথের কানোড়ার লক্ষ লক্ষ কক্ষণ ভাষাভাষী awr wrthryn হইতে ভৰাছ গিয়াছেন বলিয়া স্বীয় পৰিচয় প্ৰদান কৰিয়া থাকেন, তাহায়ে