বেওয়ারিশ লাস।
১৯
যে স্থানে সেই মৃতদেহ রক্ষিত হইয়াছিল, আমি সেই স্থানে গমন করিয়া অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত দণ্ডায়মান রহিলাম, এবং যে সকল ব্যক্তি সেই মৃতদেহ দর্শন করিতে লাগিল, তাহাদিগের মধ্যে কোন্ ব্যক্তি যে কি বলে, তাহার দিকে সবিশেষরূপ লক্ষ্য রাখিলাম।
সেই সময় হঠাৎ একটী লোকের উপর আমার নয়ন আকৃষ্ট হইল। সেই ব্যক্তি আর একজন লোকের নিকট কি কথা বলিতেছিল। তখন উহার ভাবগতি দেখিয়া আমার বেশ অনুমান হইল যে, সেই মৃতদেহ সম্বন্ধেই সে কোন কথা বলিতেছে। আমার আরও অনুমান হইল যে, সেই মৃতব্যক্তি যেন তাহার পরিচিত।
এই ব্যাপার দেখিয়া আমি আর কালবিলম্ব না করিয়া ধীরে ধীরে তাহার পশ্চাৎ ভাগে গিয়া দণ্ডায়মান হইলাম, ইচ্ছা যদি তাহার মুখের কোন কথা শুনিতে পাই। সেই সময় অপর ব্যক্তি কহিল, “কেমন, তুমি বেশ চিনিতে পারিতেছ?”
উত্তরে সেই ব্যক্তি কহিল, “আমার বেশ বোধ হইতেছে, এ সে-ই ব্যক্তি।”
এই সময় আমি আর চুপ করিয়া থাকিতে পারিলাম না, তাহাকে তৎক্ষণাৎ জিজ্ঞাসা করিলাম, “এ কোন্ ব্যক্তির মৃতদেহ?”
দর্শক। আমার বোধ হইতেছে, ইহা হকদারের মৃতদেহ।
আমি। হকদার কে?
দর্শক। সে ব্রাউন কোম্পানির একজন কোচমান।