88
দারােগার দপ্তর, ৭৩ম সংখ্যা।
আমার কথায় স্ত্রীলোেকটী কোনরূপ উত্তর প্রদান করিল না।
আমি পুনরায় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “ইহা কি তোমার স্বামীর মৃতদেহ?”
এ কথারও কোন উত্তর পাইলাম না।
সেই স্ত্রীলোেকটীর সহিত যে কয়েকটী বালক-বালিকা আসিয়াছিল, তাহাদিগের মাতার এই অবস্থা দেখিয়া, তাহারাও যেন হতবুদ্ধি হইয়া সেই স্থানে দাঁড়াইয়া রহিল। কেবল একটী নিতান্ত ছোট বালিকা তাহার মাতার মুখ ধরিয়া কহিল, “মা,—বাবা?”
বালিকার এই কথা সকলেরই হৃদয়ে শেলসম প্রবেশ করিল। তখন সকলেই বুঝিতে পারিলেন, সেই মৃতদেহ তাহার পিতার।
সেই বালক-বালিকাগণের মধ্যে যেটী সকলের বড়, তাহাকে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “এই কি তোমার পিতা?”
উত্তরে সে কহিল, “ইনিই আমার পিতা।”
আমি। ইহারই নাম কি রব্বানি?
বালক। হাঁ।
আমি। মেহের আলি তোমার কে হয়?
বালক। নানা।
আমি। তুমি জান, তিনি কোথায় কায করেন?
বালক। জানি।
আমি। সে সাহেবের নাম কি?
বালক। তাহা জানি না।