পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্পচ ८दीम-भङ्ढन । কিয়ৎক্ষণ সূৰ্য্যাস্ত দেখিয়া লুলিয়া চমকিত হইয়া ফিরিল। তাহাক । বোধ হইল, যেন সে নিকটে কাহার পদশব্দ শুনিল! তবে কি হামিদ তাহার বিলম্ব দেখিয়া তাহার সন্ধানে আসিয়াছে ? সে চারিদিকে তাহার বিলোল নয়নদ্বয় বিস্ফারিত করিয়া চাহিল, কিন্তু কোন দিকে কাহাকে দেখিতে পাইল না। তখন তাহার ভুল হইয়াছে ভাবিয়া, সে কুয়া হইতে জল তুলিতে উদ্যত হইল ;-এই সময়ে কে তাঙ্গার পশ্চাতে অতিমৃদু মধুর স্বরে বলিল, “আমাকে দিন,-আমি জল তুলিয়া দিই,--আপনার হাতে লাগিবে !” চমকিত হইয়া লুলিয়া ফিরিল। এ শূন্য নগরে তাহার বুদ্ধ দাদা সলাবত পা,--তাঙ্গাদের বৃদ্ধ দাস দাসী মহম্মদজান ও হামিদ, এতদ্ব্যতীত আর জনপ্ৰাণী ছিল না । সেলিম-দরগার মোল্লা কখনও রাজপ্রাসাদের দিকে আসিতেন না,— তবে ইনি কে ? কে মধুর স্বত্বে তাহাকে সম্বোধন করিলা ? লুলিয়া চমকিত,-কতকটা ভীত,-হইয় পশ্চাতে ফিরিল,-“দেখিল একটা স্ট্রীলোক। পরম রূপবতী স্ত্রীলোক এই স্ত্রীলোক এই নিৰ্জন জনশূন্য নগরে কিরূপে কোথা হইতে আসিল ? লুলিয়া অতি বিস্মিত ভাবে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। দেখিল, - স্ত্রীলোকটী তাহাপেক্ষ আট দশ বৎসর অধিক বয়স্ক । তাঙ্গার বয়স অন্ততঃ পঞ্চবিংশের উদ্ধ নহে । তাহার পরিধান অতি মোটা কাপড়,-অঙ্গে কোনরূপ অলঙ্কারাদি নাই – দেখিলেই অতি দরিদ্রের ঘরণী বলিয়া বুঝিতে বিলম্ব হয় না। অথচ রমণী অতি পরম সুন্দরী। দরিদ্রের গৃঙ্গে যে এরূপ সুন্দরী জন্মিতে পারে, জুলিয়ার তাঙ্গা বিশ্বাস ছিল না। সে অতিবিম্মিতভাবে এই রমণীর মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। " সে চিরকাল নির্জনে লোকালয় চাইতে দূরে লালিতাপালিতা ;- ক্ষপন ও জননী, পিতা বা অন্য কোন আত্মীয় স্বজন দেখে নাই।