পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহাকে হত্যা করিবে,-কিরূপে তাহাকে হত্যা করিবে ?-কে জানে ইহারা বেগম নুরজিহানের আজ্ঞাবহ নহোঁ ? তাহারা তাহার প্রাণ লাইতেছে কেন ?-যদি ইহারা নুরজিহানের লোক না হয়,- তবে নিশ্চয়ই তাহার নিরুদ্দেশে “নুরজিহান আকাশ পাতাল প্ৰকম্পিত করিবে । জুলেখার মাথার ভিতর এই সকল কথা বিদ্যুতের ন্যায় ছুটিতেছিল,- কিন্তু সে নিরুপায়,- তাহার নড়িবার চড়িবার কিম্ব চীৎকার করিবার ক্ষমতা ছিল না ! সহসা দুৰ্ব্বত্তগণ তাহাকে একস্থানে নামাইল। অতি ক্ষিপ্ৰহন্তে তাহার বন্ধন খুলিয়া দিল ;-তাহার মুখের কাপড় সরাইয়া লইল ;- জুলেখা লম্ফ দিয়া দাড়াইয়া উঠিল। তখন সে দেখিল, কয়েকজন লোক ছুটিয়া পলাইতেছে,-তাহদের আপাদমস্তক কাল আলখেল্লায় আবরিত ;-তাহারা স্ত্রীলোক কি পুরুষ,-তাহারা কে-তােহা সে কিছুই জানিতে পারিল না ! জুলেখা আত্মসংযম করিয়া লইবার পূর্বেই, এই সকল ভূতের ন্যায় কৃষ্ণমূৰ্ত্তি তাহার দৃষ্টির বহির্ভূত হইয়া গেল ! সে দেখিল, তাহারা সম্মুখস্থ দ্বরাজা সবলে বন্ধ করিয়া পলাইল । ইহাদের অনুসরণ করা বৃথা ভাবিয়া, জুলেখা দাঁড়াইল । সে কোথায় আসিয়াছে,-দুৰ্ব্বত্তিগণ তাহাকে এখানে আনিয়া কেন এরূপে ত্যাগ করিয়া পলাইল,-সে তাহার কিছুই স্থির করিতে পারিল না ! এই বিস্তৃত বেগম-মহলের কোন স্থানই প্ৰায় তাহার অবিদিত ছিল না। ;-কিন্তু সে যে কখনও এদিকে আসিয়াছে,- তাহা তাহার বোধ হইল না ! এই বেগম-মহলে কত গুপ্তগুহ,- গুপ্তদ্বার,-কত গুপ্তমড়ঙ্গপথ আছে-তােহা কেহই জানিত না ;- জানিবার উপায়ও ছিল না! যদি বেগম-মহলে কেহ এই সকল গুপ্ত ব্যাপার জানিত,-তবে সে জুলেখা,-সে ব্যতীত আর কেহই