পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ। প্রেমের অঙ্কর আমরা মোগল দরবারের বিলাসিতার কিয়দাংশ দেখিয়াছি,-এবার আবাব দূর পরিত্যক্ত সহরের নির্জন সৌন্দৰ্য্য দেখিব। তথায় দুইটী প্ৰাণ প্ৰণয় শৃঙ্খলে আবদ্ধ হইয়া পরস্পর পরস্পরের দিকে ছুটিতেছিল, - ধীরে ধীরে যে অন্ধুর ‘অঙ্কুরিত হইতেছিল ; তাহাতে যে কি ফল প্ৰসুত হইবে,-তাহা কেবল ভবিষ্যতেই বৰ্ণনা করিতে সক্ষম।” আকাশে পূৰ্ণচন্দ্ৰ ভাসিতেছিল,—তাহার সেই কোমল স্নিগ্ধ আলোকে ঐরিদিক যেন এক অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্ঘ্যের সৃষ্টি করিয়াছে—চারিদিকে যেন শত সহস্ৰ মল্লিকা প্রস্ফুটিত করিয়াছে! ধীরে ধীরে সমীরণ চারিদিকে সুশীতলতা রমনীয়তা ছড়াইয়া প্ৰবাহিত হইতেছে । এক গভীর শান্তিপূর্ণ নিৰ্জনতা যেন প্ৰকৃতি সতীর মহানভােব প্রচার করিতেছে ! লুলিয়া কুয়ার তীরে আসিয়াছে, সেই প্রথম দিন স্ত্রীবেশী যুবককে দেখিয়া,-সেই দিন হইতেই সে আত্মতার হইয়াছে! যুবক বলিয়াছেন, “র্তাহার নাম বিমল সিংহ,-আম্বারে নিবাস, --বাদাসা র্তাহার শির লাইতে হুকুম দিয়াছেন,—তাহাই । তিনি স্ত্রীলোকের ছদ্মবেশে এখানে পালাইয়া আসিয়াছেন- এখানে লোকজন কেহ নাই ;-এখানে লুকাইয়া থাকিলে কেহ তঁহাকে খুজিয়া পাইথেগুনা।” যুৱক কাতরে বলিয়াছিলেন, “আপনি নিশ্চয় আমায় ধরাইয়া দিবেন না,-আপনি যদি লুকিয়ে আমায় দুটী দুটী খেতে দেন, তা হলে আমার প্রাণ বেঁচে যায়!?” * : ' . . . ; কোমল প্রাণী লুলিয়া এই বিপন্ন, যুবকের প্রাণ রক্ষা করিবার প্লািষ্ঠ ব্যাকুলিত হইয়া পড়িল,—এমনঃ কি হামিদকে পৰ্যন্ত যুৱকের কথা বলিল না। : - সেইদিন, : হইতে, নির্জনে, যুবকের, সহিত