পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৩২৩

西校f亨有1 ত২১ তিনিই আবার স্বয়ং তঁহাকে ও সারিয়ারকে লইয়া যুদ্ধযাত্রা করিয়াছেন । জাহাঙ্গির জানিতেন, নুরজিহান এ সমস্তই সাহােজাদা পরিবেসের জন্য করিতেছেন ;-কিন্তু আজ সহসা পরবেসের মৃত্যু সম্বাদ পাইয়া তাহার হৃদয় সন্দেহপূৰ্ণ হইয়া গিয়াছে ! সন্দেহ হইবার আরও এক বিশেষ কারণ ছিল। যদি নুরজিহান পূৰ্ব্ব হইতে ইহার কিছু না জানিতেন, তবে প্রথমে তাহার শিবির হইতে এ জনরব উঠিবে কেন ? এখনও যুদ্ধক্ষেত্ৰ হইতে কোন সম্বাদ আসে নাই ; তবে কিরূপে সহসা এই ভয়ারহ জনরব প্রচার হইবার সম্ভাবনা ! জাহাঙ্গির অতি সুবুদ্ধিসম্পন্ন লোক ছিলেন ; তাহাই তিনি এত চিন্তামগ্ন হইয়াছিলেন। তবে কি তাহার কৰ্ণে সময় সময় যে কথা আরিয়াছে,-যে কথা তিনি একদিনের জন্যও বিশ্বাস করেন নাই,--- তাহাই কি সত্য ? যথার্থই কি নুরজিহান ভিতরে ভিতরে সারিয়ারকে । সিংহাসনে প্ৰতিষ্ঠিত করিতে চেষ্টা পাইতেছেন । সেই জন্যই কি তিনি খুরমকে দেশত্যাগী করিয়াছেন ? এক্ষণে গুপ্ত ষড়যন্ত্রে পরিবেসকে তত্যা করিয়াছেন ? বাদাসাহের প্রাণ শিহরিয়া উঠিল! তিনি শত1ার বলিতে লাগিলেন, “না, --নুরজিহান এতদূর রাক্ষসী নহে ।” তিনি বহুক্ষণ নীরবে বসিয়া রহিলেন। তঁহার ভাব দেখিয়া মুরজিহান ভ্রাতা আজফ খাঁ তথা হইতে নড়িতে পারিলেন না ; তিনি বুকের উপর দুই হস্ত স্থাপিত করিয়া হেটমুণ্ডে বাদসাহের সম্মুখে দণ্ডায়মান রহিলেন। সহসা জাহাঙ্গির জিজ্ঞাসা করিলেন, “পাকা খবর লইবার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বাইরাম খ্যার নিকট লোক পাঠাইয়াছ ?” আজফ খাঁ বলিলেন, “হাঁ,-তখনই লোক পঠাইয়াছি।” এই সময়ে এক যোদ্ধা আসিয়া অভিবাদন করিয়া বলিলেন, “যুদ্ধক্ষেত্ৰ । হইতে মনসুর খাঁ আসিয়াছেন,-জাহাৰ্পনার সাক্ষাৎ প্রার্থনা!” ” صفة