পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেগম ললিয়া । 88 উঠিলেন। সাহােজাদা খুরম একবার লুলিয়ার সহিত দেখা করিতে চলিলেন।-আজ বহুদিন পরে তিনি প্রাণের লুলিয়াকে ছাড়িয়া এতক্ষণ অন্যত্র রহিয়াছেন। রাজকাৰ্য্যো প্ৰণয়ের স্থান অতি নবম পরিচ্ছেদ । বেগম লুলিয়া । সকলেই অবগত আছেন, মেবারের প্রতাপ যেরূপ কেবলই তঁাহার ‘সুসি জানিতেন,-সুখ আহলাদ আমোদ প্ৰমোদ বিলাসিত তঁাহার বিন্দুমাত্র ছিল না,-আিৰ্তাহার পুত্র তেমনই বিলাসী ও ধন গৌরবে: গৌরবান্নিত ছিলেন। তিনিই কোটী কোটি টাকা ব্যয় করিয়া উদয়পুর সৃষ্টি করিয়াছিলেন ! তাহার মৰ্ম্মর নিৰ্ম্মিত প্ৰাসাদ জগতের জহরতে ও বিলাস দ্রব্য পূর্ণ করিয়া প্রায় :তাহা আগ্রার প্রাসাদের সমতুল্য করিয়া তুলিয়াছিলেন। তঁহার অর্থের অভাব হয় নাই ; স্বয়ং জাহাঙ্গির, বাদস৷ তাহার পুত্ৰ কৰ্ণ সিংহকে কিরূপ উপঢৌকন দিয়া ছিলেন, তাহা তিনি নিজেই লিখিয়া গিয়াছেন। “যে দিন কর্ণসিংহ আমার ', দরবারে উপস্থিত হইয়াছিলেন, আর যে দিন তিনি দেশে প্ৰত্যাগমন করিলেন,- এই এক মাসের মধ্যে আমি তাহাকে যে সকল উপটৌকন । দিয়াছিলাম তাহার মূল্য দশ লাক টাকারও অধিক। এতদ্ব্যতীত আমি তাহাকে একশত দশটা অশ্ব, আর পাঁচটী হস্তি উপঢৌকন । দিয়াছিলাম।” সুতরাং এই কৰ্ণ সিংহ যে অতি শীঘ্রই গরিব লুলিয়াকে সম্পূর্ণ বাদসাবেগমে পরিণত করিবেন তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ? : লুলিয়া