পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপস্থিত হইবেন,--যখন আপনার সঙ্গে সঙ্গে বেহারীচরণ ও দুলালী আছে,--তখন আমি জানি কেহ আপনার কেশ পৰ্য্যন্ত সম্পর্শ করিতে পরিবে না। আমার প্রতিজ্ঞ,-আমার ব্রতের কথা,- সমস্তই আপনাকে বলিয়াছি,-আমার ব্ৰত উদযাপন হইয়াছে,-আমার লুলিয়া বাদসাবেগম হইয়াছে,- আমার বিশ্বাস আছে সে এক দিন দ্বিতীয় নুরজিহান হইয়া দিল্লীর সিংহাসনের গৌরব বৃদ্ধি করিবে। বোধ হয় আপনি এক্ষণে বুঝিতে পারিয়াছেন যে, গঙ্গীয়া ও হামিদ আমার লুলিয়ার দাই মা দুই জনই একই লোক। সে কয়েকদিন আগ্ৰায় দোকান চালাইত,-আবার ফতেপুরে গিয়া লুলিয়াকে দেখিয়া আসিত! বাহিরের একজন লোক নিকটে না রাখিলে আমুর অভিসন্ধি পূর্ণ হইবে না বলিয়াই আমিই, তাহাকে এইরূপ আগ্রার চকে পানের দোকান খুলিতে বলিয়াছিলাম। আমি নুরজিহানের নামাঙ্কিত আংটীর বলে ইচ্ছামত দুর্গ হইতে বাহির হইতাম,- সুতরাং-সর্বদাই প্ৰয়োজন মত আমার সহিত গঙ্গীয়ার- দেখা হইত। যখন দেখা করিতে পারিতাম না,-তখন দুলালীকে দিয়া সম্বাদ দিতাম,-বেহারীচরণ যে কিরূপ বিশ্বস্ত লোক,-তাহার যে কতদূর ক্ষমতা তাহা ‘আপনি এতদিনে বেশ বুঝিতে পারিয়াছেন,- আপনি ব্যতীত আজ পৰ্যন্ত আর কেহ জানে না - যে বেহারীচরণ মহম্মদজান,-বেহাৱীচরণই ফতেপুরের মৌলভী! : সে যে অনায়াসে ভূত দেখাইয়া অজিত সিংহকে তাড়াইয়াছিল, তাহাও বোধ হয় আপনি বেশ বুঝিতে পারিয়াছেন। দুলালী কিরূপ বীদের অপেক্ষাও বদরগামী,-তাহাও আপনি দেখিয়াছেন। সে যেরূপ নিঃশব্দে যেখানে সেখানে যাইতে পারিত,-তেমন আর কেহ পারিত না ;-তাহার কাছে কোন জানালা দ্বরজাই কেহ বন্ধ