পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৪৮৪

”შხმად: ` भ-अश्व्ज হইয়া গিয়াছিল,-ভয়ে কে কোনদিকে পালাইয়াছিল তাহার স্থিরতা ও ছিল না-জানামহম্মদ অন্ধকারে পথ দেখিতে না পাইয়া উলটা। পথে অনেকদূর চলিয়া গিয়াছিল, প্রাতে দেখিল সে আগ্রার দিকে না আসিয়া অপর দিকে আসিয়া পড়িয়াছে, - অনেকেরই এই অবস্থা ঘটয়াছিল,--দিনের আলোকে পথ চিনিয়া তাতারা সকলে ফিরিতেছিল মধ্যে মধ্যে এ উহার সহিত মিলিত হইয়া, তাহারা অতি হতাশ । ভাবে ভগ্নোৎসাহে আগ্ৰায় যাইতেছিল ;-জা ন ন চ স্নাদ দুই এক জনের পথে দেখা পাইয়া তাহদের সঙ্গেই চলিয়াছে । এই অবস্থায় বেহারীচরণ অৰ্দ্ধপথে তাহাকে ধরিল । ভয়ে সমস্ত রাত্রি ঘোড়া ছুটাইয়াছে, ঘোড়া অৰ্দ্ধ মৃতপ্ৰায় হইয়া । গিয়াছে,-আর প্রায় চলিতে পারিতেছে না। ;-কষ্টে হঁপাইতে হঁপাইতে ধীরে ধীরে চলিয়াছে ! সুতরাং বেহাবীচরণ তাহার দীর্ঘপদ বিক্ষেপ করিয়া অতি সহজেই তাহার পাৰ্থে আসিয়া বলিল, “হুজুর !” তাহার স্বরে জানামহম্মদ প্ৰায় ঘোড়ার উপর লাফাইয়া উঠিল, কিয়ৎক্ষণ বিশ্বফারিত নয়নে বেহারীচরণের মুখের দিকে চাহিয়া রহিল,-গত রাত্রের ঘটনায় প্রকৃতই তাহার মস্তিস্কের বিপৰ্য্যয় ঘটয়াছিল, সে প্রথমে বেহাৱীচরণকে ভাল চিনিতে পারিল না,— তাহার পর ধীরে ধীরে বলিল, “তুই নয় সেই পাগলা ?” বেহারীচরণ বিনীতস্বরে বলিল, “হঁ-হুজুর, আপনার আসামি ।” জানমহম্মদ তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। এতক্ষণ তাহার বেহারীচরণ সম্বন্ধে চিন্তা করিবার সময় হয় নাই,-“এখন ঋশ্বই তাহার মনে হইতে লাগিল। লোকটা কখনই স্বাহে, নতুবা সহাজাদা কখনই তাঁহাকে সঙ্গে লইতেন না । এ যে বেশে রহিয়াছে,-ইহা তাহার ছদ্মবেশ