পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভয়াবহ বিভীষিকা । 6 ዓ চেষ্টা মাত্ৰও করিতে পারিতেছি না ? --রাজকুমার, সে কষ্টের न्°न्मा झुन्न न्पा !' দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া রঘুবীর সিংহ কিয়ৎক্ষণ নীরবে বসিয়া রছিলেন ; তাৎপরে ধীরে ধীরে শিহরিয়া উঠিয়া বলিতে লাগিলেন, “ভয়ানক ! —অতি ভয়ানক ! সহসা গৃহের, এক কোনে একটা যেন অতি অস্পষ্ট নীল আলো জ্বলিয়া উঠিল । আমার অনিচ্ছা সত্বে আমি সেই দিকে চাহিলাম। দেখিলাম, দুইটা গন্ধকের আলোর ন্যায় গোল আলো যেন গড়াইয়া গড়াইয়া বেড়াইতেছে ! -একবার উপরে উঠিতেছে,-আবার নামিয়া আসিতেছে ;-দুইটা আলোতে যেন খেলা করিতেছে।--সহসা দুইটা আলো এক স্থানে স্থির হইয়া দাড়াইল ;-ক্রমে আমি বুঝিলাম যে এ দুইটা আলো কোন ভয়াবহ জীবের জলন্ত চক্ষু ! সে ভয়াবহ চক্ষের বর্ণনা করিবার ক্ষমতা আমার नई ! उाडि डङ्गादश् -ङाडि डम्रादश् ।।” রঘুবীর সিংহ শিহরিয়া উঠিলেন,-কিয়ৎক্ষণ আর কিছুই বলিতে পারিলেন না। এ অবস্থায় তঁহাকে কোন কথা জিজ্ঞাসা করা উচিত নহে ভাবিয়া, অজিত সিংহ ও কোন কথা কহিলেন না ।

  • কিয়ৎক্ষণ পরে রঘুবীর সিংহ বলিলেন, “কতকক্ষণ এই ভয়াবহ চক্ষুদ্বয় আমার চক্ষের দিকে চাহিয়াছিল,-জানি না। -আমার সমস্ত দেহ এই ভয়াবহ দৃষ্টিতে ধীরে ধীবে পাষাণে পরিণত হইয়া যাইতেছিল!-- আমি কাহার চক্ষু তাহ অন্ধকারে দেখিতে পাইতেছি না। ;- অথচ বুঝিতেছি,-যেন কি এক বিভীষিকা,-তাহার বর্ণনা আমি করিতে পারিব না,-এ জীবনেও সে বিভীষিকা ভুলিব না ।”

রঘুবীর সিংহ নীরব হইলেন,-আজিত সিংহ একটু বিরক্ত আগ্ৰহ রঞ্জিত স্বরে বলিলেন, “তাহারপর কি হইল,-তাহাই বল।” রঘুবীর সিংহ মনে মনে লজ্জিত ও অপ্ৰস্তুত হইলেন ; বলিলেন,