পাতা:বেগম-মহল - বিনোদবিহারী শীল.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরামর্শ । « à আরম্ভ করিল ;--তখন আমি আৰ্ত্তনাদ ও চীৎকার করিয়া উঠিলাম !-- তাহার পর কি করিয়াছি মনে নাই ;-বোধ হয়। প্ৰাণের মায়া আমার দেহে বল দেওয়ায়, আমি বিছানা হইতে উঠিয়া কোন গতিকে বাহিরে ‘আসিয়া পড়িয়াছিলাম !-তাহার পর কি হইয়াছিল, আমার জ্ঞান নাই।-যখন জ্ঞান হইল, তখন দেখিলাম, তুমপনারা সকলে আমার আশে পাশে দাড়াইয়া আছেন।” একাদশ পরিচেছদ । পরামর্শ । অজিত সিংহ উঠিয়া দাড়াইয়াছিলেন,-তাহার সর্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিয়াছিল ;-তিনি নিশ্চল নিম্পন্দভাবে দণ্ডায়মান ছিলেন ;-বহুক্ষণ কোন কথাই বলিতে সক্ষম হইলেন না । এরূপ ভয়াবহ বিভীষিকার কথা তিনি পূর্বে কখনও কাহারও নিকটে শ্রবণ করেন নাই। কি ভয়ানক,-কি ভয়ানক ! বৰ্ণনা শুনিয়াই প্ৰাণ শুখাইয়া যায়,-সর্বাঙ্গে থরহরি কম্প জন্মে,-সত্য সত্য চক্ষের উপর তাহা দেখিলে বোধ হয় সকলেরই মৃত্যু ঘটে। রঘুবীর সিংহের কঠিন প্ৰাণ, তাঁহাই তিনি এ বিভীষিকা দেখিয়া এখনও বঁচিয়া আছেন । অজিত সিংহ কেবল মাত্র বলিয়া উঠিলেন, “ভয়াবহ-ভয়ঙ্কর ৷” রঘুবীর সিংহ বলিলেন, “সেনাপতি, আমার প্রাণে বড় ভয় বলিয়া যে কিছু নাই,--তাহা আপনি অনেক স্থলেই দেখিয়াছেন ;- সহজে রঘুবীর সিংহের এ অবস্থা হয় নাই!” অজিত সিংহ যাহা রাত্ৰে দেখিয়াছিলেন, তাহ রঘুবীর সিংহকে বলা উচিত কিনা,-তােহাই তিনি মনে মনে ভাবিতে । লাগিলেন।