পাতা:বেজায় রগড় - ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেজায় রগড় Ꮌ8 দোবো বাবা-তুমি ভাবছ কেন ? এখন বোসো বাবা—তুমি আমার এই পোটুগা পার্টুলা আগলে বোসে দিকি—আমি চট্‌ ক’রে একটা মুক্তিস্নানের ডুব দিয়ে আসি । পদ্ম । ও:–মামা—বেজায় শীত—আর নেয়ে কাজ নেই ! রাম। বলিস কিরে ? দেশ থেকে গেরণের স্নান ক’ৰ্ব্ব ব’লে সমস্ত রাত হেঁটে এতটা পথ কলকাতায় এলুম,—স্নান ক’ৰ্ব্ব না ? পদ্ম। তা চলনা,—ঐ পাণ্ডাদের কাছে কাপড় চোপড় রেখে দু’জনে স্নান করিগে— F রাম। অারে পাগল নাকি ? ও উড়ে ব্যাটারা মহাচোর। ওদের কাছে কাপড় রাখলে এখুনি দু’জনের দরুণ দু’টো পয়সা নেবে ! পদ্ম । তা আজকের দিনে বামুনকে না হয় দু’টো পয়সা দিলে । পুণ্যি হবে— রাম। ওরে—পুণ্যে কি আর অন্ত রকমে করা যায়না ? আমি আসছি,—তুই পাঁচ মিনিট দাড়া না—একটা ডুব দিয়েই উঠে আসছি। আর দ্যাথ –এই হাড়িটা খুলিসনি— পদ্ম । ওতে কি আছে মামা ? রাম । শোন বলি ! গোলমাল করিস্নি । ওতে দু’টো কেউটে সাপ ধ’রে এনেছি ;–কোম্পানিকে দিলে কিছু টাকা পাওয়া যায়— তাই নিয়ে যাচ্ছি । পদ্ম । এ্যা—ওরে বাবা—সাপ ? অামি ও কাছে রাখতে পাৰ্ব্বনা । যদি কোন রকমে বেরিয়ে ফে1স ক’রে কামড়ায় ? রাম। ওরে পাগলা—তার কি আর যে আছে ? আমি সর দিয়ে স্বাকড় দিয়ে দড়ী দিয়ে মুখটা কি রকম বেঁধেছি দেখতে পাচ্ছিস না ? তুই এক পাশে রেখে বোসে আগলান,—তোর কোনো ভয় নেই।