পাতা:বেজায় রগড় - ভূপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> (t বেজায় রগড় পদ্ম । বটে—বটে মামা ? কোম্পানির সাপ ধরে দিলে টাকা দেয় ? কেন ? ডাটা-চচ্চড়ী রোধে খায় বুঝি ? রাম। কি করে—তারাই জানে বাবা ! তুই বোস্—দেখিস্— কোথাও ঘাসনি— ( রামকমলের প্রস্থান ) পদ্ম । ও:—ব্যাটা কি পাষণ্ড ! কেমন পটি ঝেড়ে গেল দেখেছ ? নরাণাং মাতুলক্রম: ! দু’জনেই মাতব্বর । মিথ্যে কথা কারুর বাধেন বাবা ! কে জানে গঙ্গাতীরে—আর কে জানে শালগ্রাম হাতে ক’রে । ব্যাটা হাড়ীটা সমস্ত পথটা ছ'সিয়ারিতে নিয়ে এসেছে,—একবার দেখাই যাক্—কি আছে । ( তাড়াতাড়ি হাড়ীর মুখ খুলিয়া ) বা—হোয় ! বা—হোয়া ! হে হে হে!—বড় জবর ভোজ ! পো’টাক নুতন গুড়ের মোও ! ভোর বেলায় বড় ক্ষিদেই পেয়েছে ( সন্দেশ ভক্ষণ ) । আগে মুখটা যেমন ছিল বেঁধে ফেলি ! ( তথাকরণ ) বাবা—পৃথিবীর কেউটে সাপগুলো যদি সব এই রকম হয়—তা হ’লে আমি তো এখুনিই বোম্ ভোলানাথ হয়ে যাই । ঐ ব্যাট কালনিমে আসছে— ( রামকমলের পুন: প্রবেশ ) রাম। জয় গুরুগঙ্গ—জয় গুরুগঙ্গা । কই বাবা-পদ্মলাল—ইহি —ছি—ছি—বেজায় শীত ! বাপ ! শরীরটা একেবারে কালিয়ে গেল ! | হাড়ীটা ঠিক আছে তো বাবা—নাড়াচাড়া করনি তো ? পদ্ম। বল কি মামা ? আমার প্রাণের ভয় নেই ? উঃ—ব্যাটার কি রকম ফোস ফোস কচ্চে—একবার কাণ দিয়ে শোন না— রাম । থাক—থাকৃ–কিছু ভয় নেই ! তুই স্নান ক’রে আয় ! পদ্ম । মাপ কর মামা ! একে ম্যালেরিয়ার রোগী আমি—এই শীতে ভোর রাত্রে ডুব দিলে, একেবারে সন্ত সদ্য সান্ত্রিপাতিক ধৰ্ব্বে । তার