প্রথম অঙ্ক । , অপর কুসুমাঞ্জলি কাব্যের প্রবন্ধ-রূপে হেথা আমি করি বিকীরণ। স্বল্পগুণ হইলেও মধুকর-সম সবে মধুবিন্দু করিও গ্রহণ ॥ এখন আমরা, সিংহ-লক্ষ্মণান্বিত কবি ভট্টনারায়ণের রচিত । বেণীসংহার নামক নাটক অভিনয় করতে উদ্ভূত। তা, কবি পরিশ্রমের অনুরোধেই হোক, উদাত্ত আখ্যান-বস্তুর গৌরবেই হোক, নবনাটক দর্শনের কৌতুহলেই হোক, আপনার এক্ষণে অবহিত হয়ে দর্শন শ্রবণ করুন, এই আমাদের প্রার্থন । (নেপথ্যে ) মহাশয়! শীঘ্র করুন-শীঘ্র করুন। এই রাজ-পুরুষ আৰ্য্য বিছরের আজ্ঞাক্ৰমে সমস্ত নটদের এই কথা বলচেন –“বান্ধবিন্যাসাদি সমস্ত কাৰ্য্য এখনি আরম্ভ করে দেও। এখন দৈবকীনন্দন চক্ৰপাণির প্রবেশ-কাল। তিনি ভরত কুলের হিত-কামনায় স্বয়ং দৌত্য স্বীকার করে মহারাজ দুৰ্য্যোধনের সন্নিবিষ্ট শিবিরের দিকে যাত্রা করতে উদ্যত, তার সঙ্গে পরাশর নারদ তুম্বুরু জামদগ্ন্য প্রভৃতি মুনিগণও আসচেন ।” স্বত্ৰধার – শুনিয়া সানন্দে) ও গো ! দেখ দেখ! যিনি সকল জগতের স্বষ্টিস্থিতি-প্রলয়কৰ্ত্তা, সেই কংসারি বিষ্ণু, কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধ-প্রলয়াগ্নি প্রশমনার্থ দৌত্য স্বীকার করে ভরতকুলকে ও সেই সঙ্গে সকলকেই অমুগৃহীত করেচেন। তবে পারিপাথিক ! তুমি এখনও কেন নটদের নিয়ে ঐক্য-সঙ্গীত আরম্ভ করচ না বল দিকি ?
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।