পঞ্চম অঙ্ক । ** চুর্য্যো —তাত ! এ সময়ে তোমাদের সাষ্ট্রন আর কি করব ? কিন্তু এখন এই একমাত্র সাস্বনী :– কুন্তীপুত্ৰগণে আমি করিব নিধন, তব পুত্রে বধিয়াছে কুন্তীর নন্দন; কুন্তীও তোমার মত পুত্ৰ-শোক-গ্ৰস্ত হইবে অচিরে –ভাবি’ হও গো আশ্বস্ত ॥ গান্ধা —জাছ! এখন এই আমাদের যথেষ্ট যে তুমি জীবিত আছ— এখন আর কার জন্য শোক করব ? তা, দেখ জাদু ! যুদ্ধ করবার তোমার এ সময় নয়—তোমার কাছে কৃতাঞ্জলি হয়ে বলছি, তুমি যুদ্ধ হতে ক্ষান্ত হও—অনুগ্রহ করে’ এই কথাটি আমাদের রাখে । ধৃত –বৎস! আমার সব পুত্রই নিহত হয়েছে—তুমিই একমাত্র অবশিষ্ট—তোমার জননীর কথা—আমার কথা শোনো বৎস। দেখ — যার পরাক্রম দেখি ভীষ্ম-দ্রোণ বল-বীৰ্য্য তুচ্ছ জ্ঞান করিত গো শক্ৰ জ্ঞাতিকুল —সেই কর্ণসম্মুখেই তার পুত্রে ফাঙ্কনী বধিল—দেখিয়া বিশ্ব ভয়েতে আকুল। সব পুত্র হত মোবু, তোমাতেই শেষ এবে, রিপুর সে প্রতিজ্ঞা-বচন মোরা অন্ধ পিতা মাতা— আমাদের অনুনয় এবে বৎস করাহ শ্রবণ ॥ দুৰ্য্যো –বুদ্ধ-ক্ষেত্র হতে ফিরে গিয়ে তার পর আমি করব কি ?
পাতা:বেণীসংহার নাটক.djvu/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।